কমার্শিয়াল ইম্পরট্যান্ট পারসন সিআইপি (ট্রেড-২০২১) নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। ট্রেড ক্যাটাগরি থেকে চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আজ (২৫ জুন) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি তার হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন । এ নিয়ে তিনি টানা অষ্টম বারের মত সিআইপি নির্বাচিত হলেন।
সিআইপি কার্ড গ্রহণকালে দিলীপ কুমার বলেন, যেকোন স্বীকৃতিই আনন্দদায়ক। এতে দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয়, কাজের অনুপ্রেরণা বৃদ্ধি পায়।” দিলীপ কুমার আগরওয়ালা একাধারে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এর সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক, বাংলাদেশ ডায়মন্ড মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক । এছাড়াও তারা দেবী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন ।
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইপি-২০২১ ঘোষণা করে। এবার রপ্তানি খাতে ১৪০ ও ট্রেড খাতে ৪০ জনকে সিআইপি নির্বাচিত করা হয়। দুই ধরনের সিআইপি মিলিয়ে মোট ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মনোনীত সিআইপি ব্যক্তিকে সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করে। যা তার ব্যবসায়িক ভাবমূর্তি বৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথকে আরও সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আগামী এক বছরের জন্য এই ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ির স্টিকার পাবেন। এ ছাড়া জাতীয় অনুষ্ঠান ও নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।
এ ছাড়া সিআইপিরা তাঁদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন দেবে।