চুয়াডাঙ্গা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিলের পচা মাছের দু’র্গন্ধ ছড়ানো নিয়ে বিরোধে ৩জন আহত

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইটঘাটে ‘কমলার দোহা’ বিলের মরা মাছের দুর্গন্ধ ছড়ানো নিয়ে ( আ: লীগের দুই গ্রুপের ) নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও পরাজিত প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ উভয়পক্ষের তিনজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটার আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) রাতে গাইটঘাট গ্রামের কমলার দোহাপাড়ায় এঘটনা ঘটে।

IMG 20240313 000034 169

এঘটনায় স্থানীয় অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিশ্বজিৎ সাহা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরেই তার লোকজন হাট-ঘাট আর বিল বাউড় দখল নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছে। এখন তার লোকজন বিভিন্ন ইসু নিয়ে এখন মারামারি আর গ্যাঞ্জাম করছে।’

প্রথম পক্ষের আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাইটঘাট গ্রামের ইলাহি বক্সের দুই ছেলে ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (৫৪) ও মিকাইল ইসলাম (৪৫)।

অপর পক্ষের আহত একই গ্রামের মোস্তাফার ছেলে জালাল উদ্দিন (৩৫)।

আহত রফিকুল ইসলাম বলেন, কমলার দোহা বিলে আমার ভাই মতিয়ারের ২০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। সম্প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামীগীগের সভাপতি ও বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা তার কর্মী পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের জাফরকে দিয়ে আমার ভাই সহ বিলের অন্যান্য পার্টনারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। এরই জের ধরে ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জাফর, গাইটঘাট গ্রামের জালাল, নুরুল ও রাসেল ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। আমাকে আমার হাতে ও বুকে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়। আমার ভাইকেও মারধর করে তারা। এ বিষয়ে আমি মামলা দায়ের করব।

মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আরশাদ উদ্দীন চন্দন অভিযোগ করে বলেন, কমলার দোহা বিলে মাছ নিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহার উস্কানিতে আমার কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। একজনের মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। শুনেছি এঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।

বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ঘটনার পরই আহতদের খোজখবর নিতে সদর হাসপাতালে ছুটে গিয়েছি। মূলত দুদিন আগে কমলা দোহা বিলে মারা যাওয়া মাছ পচে এলাকায় দূর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। এ নিয়ে আমার কর্মী জাফর উচ্চস্বরে তাদেরকে মাছগুলো সরাতে বললে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই জাফরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মোবাইলে অভিযোগ করেন তারা। সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মাছগুলো বিল থেকে সরানোর জন্য বলে। এরই জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমার কর্মী জালালকে মারধর ও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। এটা কোনো নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় না। আর আমার লোকজন কোনো হাট-ঘাট দখলের পায়তারাও করছে না। আমি জনতার ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছি। বিরোধী পক্ষ এটা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি কমলার দোহার বিলে মরা মাছ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। দুই পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাবো যাবে।##

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

বিলের পচা মাছের দু’র্গন্ধ ছড়ানো নিয়ে বিরোধে ৩জন আহত

প্রকাশ : ০২:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইটঘাটে ‘কমলার দোহা’ বিলের মরা মাছের দুর্গন্ধ ছড়ানো নিয়ে ( আ: লীগের দুই গ্রুপের ) নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও পরাজিত প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ উভয়পক্ষের তিনজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটার আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) রাতে গাইটঘাট গ্রামের কমলার দোহাপাড়ায় এঘটনা ঘটে।

IMG 20240313 000034 169

এঘটনায় স্থানীয় অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিশ্বজিৎ সাহা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরেই তার লোকজন হাট-ঘাট আর বিল বাউড় দখল নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছে। এখন তার লোকজন বিভিন্ন ইসু নিয়ে এখন মারামারি আর গ্যাঞ্জাম করছে।’

প্রথম পক্ষের আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাইটঘাট গ্রামের ইলাহি বক্সের দুই ছেলে ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (৫৪) ও মিকাইল ইসলাম (৪৫)।

অপর পক্ষের আহত একই গ্রামের মোস্তাফার ছেলে জালাল উদ্দিন (৩৫)।

আহত রফিকুল ইসলাম বলেন, কমলার দোহা বিলে আমার ভাই মতিয়ারের ২০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। সম্প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামীগীগের সভাপতি ও বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা তার কর্মী পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের জাফরকে দিয়ে আমার ভাই সহ বিলের অন্যান্য পার্টনারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। এরই জের ধরে ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জাফর, গাইটঘাট গ্রামের জালাল, নুরুল ও রাসেল ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। আমাকে আমার হাতে ও বুকে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়। আমার ভাইকেও মারধর করে তারা। এ বিষয়ে আমি মামলা দায়ের করব।

মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আরশাদ উদ্দীন চন্দন অভিযোগ করে বলেন, কমলার দোহা বিলে মাছ নিয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহার উস্কানিতে আমার কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। একজনের মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। শুনেছি এঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।

বিজয়ী চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ঘটনার পরই আহতদের খোজখবর নিতে সদর হাসপাতালে ছুটে গিয়েছি। মূলত দুদিন আগে কমলা দোহা বিলে মারা যাওয়া মাছ পচে এলাকায় দূর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। এ নিয়ে আমার কর্মী জাফর উচ্চস্বরে তাদেরকে মাছগুলো সরাতে বললে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই জাফরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মোবাইলে অভিযোগ করেন তারা। সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মাছগুলো বিল থেকে সরানোর জন্য বলে। এরই জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমার কর্মী জালালকে মারধর ও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। এটা কোনো নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় না। আর আমার লোকজন কোনো হাট-ঘাট দখলের পায়তারাও করছে না। আমি জনতার ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছি। বিরোধী পক্ষ এটা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলি বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি কমলার দোহার বিলে মরা মাছ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। দুই পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাবো যাবে।##