অন্তর্বর্তী সরকারের বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কোনো সংস্থা নিষিদ্ধ করার কোনো আলোচনা সরকারের মধ্যে হয়নি। দাবি উঠতে পারে। দাবি নিয়ে মানুষ কর্মসূচিও দিতে পারে। ব্যক্তির অপরাধের সঙ্গে সংস্থার অপরাধকে সরকার জড়িয়ে ফেলছে না।
তিনি বলেন, একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ব্যাপারে একটি আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তিনি অভিযুক্ত হতে পারেন, না-ও হতে পারেন। সেটি আদালত দেখবেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্তসহ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এ সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, পত্রিকায় দেখেছেন ইসকনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে তাদের সঙ্গে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। এতে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, হেফাজত ও ছাত্রদের সর্বস্তরের জনতা অংশ নেন। বিক্ষোভ সমাবেশে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানানো হয়।
এদিকে বাংলাদেশে দেশদ্রোহিতার অপরাধে গ্রেফতার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইস্যু নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় এ নিয়ে বিবৃতি দেবেন বলে জানা গেছে।