সংস্কারের পর যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন হবে, তবে এই যৌক্তিক সময় কতদিন বা কত বছর তা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাহী বিভাগ সংস্কারের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলেই নির্বাচন হতে পারে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে মেহেরপুরের ড: শহীদ সামনুজ্জোহা পার্কে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বক্তব্যে কথাগুলো বলেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার।
তিনি আরো বলেন, বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জামায়াতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের দলগুলোসহ সব দলের সাথে সংলাপ চলছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে তাদের সাথেই জোটবোদ্ধ নির্বাচন করবে জামায়াত।
ছাত্রলীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের চারদিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চারদিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা ও তার আত্মীয় স্বজন। তার বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা সেটি জনগণের উপর নির্ভর করবে। তবে কোন দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয় জামায়াত। আইনি প্রক্রিয়ায় খুনি শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর করা হবে বলেও তিনি জানান। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাময়াতের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজউদ্দিন খান। কর্মী সম্মেলনে হাজার হাজার জামাত কর্মীরা অংশ নেয়।