চুয়াডাঙ্গা ১২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
থাকতে পারে বাংলাদেশি যাত্রী

ভারতে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ; বহু হতাহতের শঙ্কা

ছবিঃচ্যানেল 24

ভারতের উড়িষ্যা প্রদেশে দুই ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০০ জন আহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো।

 

পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে বহু আহত ও নিহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

বাংলাদেশী অনেক যাত্রী চেন্নাই , ভেলোরে, চিকিৎসার জন্যে ভারতীয় এই ট্রেনে ভ্রমন করে থাকে। শুক্রবার বিকেলে ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল এবং চেন্নাই যাচ্ছিল। ট্রেনটিতে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপশি বহু বাংলাদেশি নাগরিক দক্ষিণের ভেলোরে চিকিৎসা নিতে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন অনেক বাংলাদেশি।

coromondol

ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা দেশটির গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা গিয়েছে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে ৭টার মধ্যে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটির একাধিক কামরা। মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেই ট্রেনটির তিনটি কামরা বাদ দিয়ে ১৮টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেনটির ইঞ্জিনের পর থেকে স্লিপার ক্লাস, প্যান্ট্রি কারসহ যাত্রীবাহী বগিগুলো। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপর উঠে গিয়েছে।

 

রেল সূত্রে জানানো হয়েছে ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে ঠিক কত যাত্রী আহত বা কেউ নিহত হয়েছেন কী না তা এখনও রেলের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বিশেষত রাতের অন্ধকারে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঠিক কতটা ভয়াবহ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল আধিকারিক, কর্মী সহ বিশাল পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী। রিলিফ ভ্যান ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বলে খবর।

 

রেল সূত্রে জানানো হয়েছে ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে ঠিক কত যাত্রী আহত বা কেউ নিহত হয়েছেন কী না তা এখনও রেলের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বিশেষত রাতের অন্ধকারে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঠিক কতটা ভয়াবহ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল আধিকারিক, কর্মী সহ বিশাল পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী। রিলিফ ভ্যান ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বলে খবর।

 

 

দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন যাত্রীদের কথায়, ‘হঠাৎ করে এক বিকট আওয়াজ হয়ে থেমে যায় ট্রেনটি।’একটি মালগাড়ি এবং এক্সপ্রেস ট্রেনটি একই লাইনে কোনোভাবে চলে এসেছিল। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

প্রসঙ্গত, করমণ্ডল এক্সপ্রেসে পশ্চিমবঙ্গ, ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ ভেলোরে চিকিৎসার জন্য নিত্য যাতায়াত করেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। এখনও কতজন মানুষ ভিতরে আটকে রয়েছেন, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে।

 

তবে তাৎক্ষণিকভাবে  দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে  কিছু জানাতে পারেনি দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ।

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের বর্তমান অবস্থাসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে হেল্পলাইন সার্ভিস চালু করেছে দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ। হেল্পলাইনের নম্বর গুলো হলো- হাওড়া স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩-২৬৩৮২২১৭। খড়গপুর স্টেশন ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯। বালেশ্বর স্টেশন ৮২৪৯৫৯১৫৫৯ এবং ৭৯৭৮৪১৮৩২২। শালিমার স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ৯৯০৩৩৭০৭৪৬।

এই দুর্ঘটনার পর ৫টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে দেশটির দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রা বাতিল হওয়া ট্রেনগুলো হলো- পুরী এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি পুরী স্পেশাল, শালিমার সম্বলপুর, চেন্নাই মেইল।

 

Powered by WooCommerce

থাকতে পারে বাংলাদেশি যাত্রী

ভারতে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ; বহু হতাহতের শঙ্কা

আপডেটঃ ১০:৫১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩

ভারতের উড়িষ্যা প্রদেশে দুই ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০০ জন আহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো।

 

পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে বহু আহত ও নিহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

বাংলাদেশী অনেক যাত্রী চেন্নাই , ভেলোরে, চিকিৎসার জন্যে ভারতীয় এই ট্রেনে ভ্রমন করে থাকে। শুক্রবার বিকেলে ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল এবং চেন্নাই যাচ্ছিল। ট্রেনটিতে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপশি বহু বাংলাদেশি নাগরিক দক্ষিণের ভেলোরে চিকিৎসা নিতে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন অনেক বাংলাদেশি।

coromondol

ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা দেশটির গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা গিয়েছে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে ৭টার মধ্যে বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটির একাধিক কামরা। মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেই ট্রেনটির তিনটি কামরা বাদ দিয়ে ১৮টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেনটির ইঞ্জিনের পর থেকে স্লিপার ক্লাস, প্যান্ট্রি কারসহ যাত্রীবাহী বগিগুলো। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপর উঠে গিয়েছে।

 

রেল সূত্রে জানানো হয়েছে ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে ঠিক কত যাত্রী আহত বা কেউ নিহত হয়েছেন কী না তা এখনও রেলের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বিশেষত রাতের অন্ধকারে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঠিক কতটা ভয়াবহ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল আধিকারিক, কর্মী সহ বিশাল পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী। রিলিফ ভ্যান ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বলে খবর।

 

রেল সূত্রে জানানো হয়েছে ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে ঠিক কত যাত্রী আহত বা কেউ নিহত হয়েছেন কী না তা এখনও রেলের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বিশেষত রাতের অন্ধকারে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঠিক কতটা ভয়াবহ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল আধিকারিক, কর্মী সহ বিশাল পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী। রিলিফ ভ্যান ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বলে খবর।

 

 

দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন যাত্রীদের কথায়, ‘হঠাৎ করে এক বিকট আওয়াজ হয়ে থেমে যায় ট্রেনটি।’একটি মালগাড়ি এবং এক্সপ্রেস ট্রেনটি একই লাইনে কোনোভাবে চলে এসেছিল। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

প্রসঙ্গত, করমণ্ডল এক্সপ্রেসে পশ্চিমবঙ্গ, ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ ভেলোরে চিকিৎসার জন্য নিত্য যাতায়াত করেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। এখনও কতজন মানুষ ভিতরে আটকে রয়েছেন, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে।

 

তবে তাৎক্ষণিকভাবে  দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে  কিছু জানাতে পারেনি দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ।

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের বর্তমান অবস্থাসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে হেল্পলাইন সার্ভিস চালু করেছে দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ। হেল্পলাইনের নম্বর গুলো হলো- হাওড়া স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩-২৬৩৮২২১৭। খড়গপুর স্টেশন ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯। বালেশ্বর স্টেশন ৮২৪৯৫৯১৫৫৯ এবং ৭৯৭৮৪১৮৩২২। শালিমার স্টেশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ৯৯০৩৩৭০৭৪৬।

এই দুর্ঘটনার পর ৫টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে দেশটির দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রা বাতিল হওয়া ট্রেনগুলো হলো- পুরী এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি পুরী স্পেশাল, শালিমার সম্বলপুর, চেন্নাই মেইল।