চুয়াডাঙ্গা ১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকা বাড়ি এসে বিয়ের জন্য চাপ, আত্মহত্যা প্রেমিকের!

সংগৃহীত ছবি

সম্পর্কের টানাপোড়েনে চরম পদক্ষেপ নিলেন ভারতের বাগুইআটির এক যুবক। প্রেমিকার বিয়ের চাপ, পরিবারকে অপমান সহ্য করতে না পেরে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

 

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বাগুইআটি পূর্বাশার বাসিন্দা সৌম্যদ্বীপ সাহার সঙ্গে বাগুইআটির অশ্বিনীনগর এলাকার বাসিন্দা দিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি নতুন চাকরিতে যোগ দেন সৌম্যদ্বীপ। এরপর সেই সম্পর্ক থেকে সরে এসেছিলেন তিনি। প্রেমে প্রত্যাখান সহ্য করতে না পেরে মা, বন্ধু ও পরিবারের লোককে সঙ্গে নিয়ে সৌম্যদ্বীপের বাড়ি পৌঁছে যান প্রেমিকা দিয়া।

 

রবিবার রাতে প্রেমিকের বাড়িতে চড়াও হয়ে হন দিয়া। তাঁর পরিবারের লোকজন সৌম্যদ্বীপকে দ্রুত বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। যুবকের মা-বাবাকেও ব্যাপক অপমান করা হয়। এ নিয়ে বাড়ির ছাদের প্রচুর বাকবিতণ্ডা চলে এবং এলাকার মানুষ জড়ো হয়ে যায়। এমনকি প্রেমিকা দিয়ার মা বিয়ে না করলে হাজতবাস করানোর হুমকিও দেন সৌম্যদ্বীপকে। এতেই ব্যাপক অপমানিত বোধ করেন সৌম্য। প্রেমিকা ও তার বাড়ির লোক বাড়ি ত্যাগ করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাগুইআটির ধারে বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা সৌম্যদ্বীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

 

সৌম্যদ্বীপের মৃতদেহ হাসপাতালে আনার পর সেখান থেকেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রজু করে তদন্তে নেমেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।

 

সূত্র: এই সময়

Powered by WooCommerce

প্রেমিকা বাড়ি এসে বিয়ের জন্য চাপ, আত্মহত্যা প্রেমিকের!

আপডেটঃ ০৮:১৫:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

সম্পর্কের টানাপোড়েনে চরম পদক্ষেপ নিলেন ভারতের বাগুইআটির এক যুবক। প্রেমিকার বিয়ের চাপ, পরিবারকে অপমান সহ্য করতে না পেরে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

 

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বাগুইআটি পূর্বাশার বাসিন্দা সৌম্যদ্বীপ সাহার সঙ্গে বাগুইআটির অশ্বিনীনগর এলাকার বাসিন্দা দিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি নতুন চাকরিতে যোগ দেন সৌম্যদ্বীপ। এরপর সেই সম্পর্ক থেকে সরে এসেছিলেন তিনি। প্রেমে প্রত্যাখান সহ্য করতে না পেরে মা, বন্ধু ও পরিবারের লোককে সঙ্গে নিয়ে সৌম্যদ্বীপের বাড়ি পৌঁছে যান প্রেমিকা দিয়া।

 

রবিবার রাতে প্রেমিকের বাড়িতে চড়াও হয়ে হন দিয়া। তাঁর পরিবারের লোকজন সৌম্যদ্বীপকে দ্রুত বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। যুবকের মা-বাবাকেও ব্যাপক অপমান করা হয়। এ নিয়ে বাড়ির ছাদের প্রচুর বাকবিতণ্ডা চলে এবং এলাকার মানুষ জড়ো হয়ে যায়। এমনকি প্রেমিকা দিয়ার মা বিয়ে না করলে হাজতবাস করানোর হুমকিও দেন সৌম্যদ্বীপকে। এতেই ব্যাপক অপমানিত বোধ করেন সৌম্য। প্রেমিকা ও তার বাড়ির লোক বাড়ি ত্যাগ করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাগুইআটির ধারে বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা সৌম্যদ্বীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

 

সৌম্যদ্বীপের মৃতদেহ হাসপাতালে আনার পর সেখান থেকেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রজু করে তদন্তে নেমেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।

 

সূত্র: এই সময়