বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ভারত এখন জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়েছে। ভারত যাদেরকে আশ্রয় দিচ্ছে, তাদেরকে আমরা জঙ্গি মনে করি। ভারত যদি তাদেরকে সহয়তা করে, তাহলে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্কে বন্ধুত্বপূর্ণ হবে কি না তা বুঝে নেয়ার সময় এসেছে।
সদস্য সচিব আরিফ সোহেলসহ সংগঠনটির নেতাদের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালেয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। হাসনাত আবদুল্লাহ দাবি করেন, হাসিনা ভারতের বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিল। ভারত থেকে যে নির্দেশ পেত, সেভাবেই এ দেশে সব ধ্বংস করেছে।
বিভিন্ন জায়গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর আক্রমণগুলোকে সম্পূর্ণ গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলে মনে করেন এর আহ্বায়ক। এ নিয়ে বলেন, আক্রমণকারীদেরকে ধরার মতো কোনও কার্যক্রম চোখে পড়েনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি দায়িত্ব পালন না করে তবে তাদেরকে পরিবর্তন করতে দ্বিধাবোধ করবো না। ৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত একজন আওয়ামী লীগের সদস্যদের মারা হয়নি দাবি করে হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, তারাই এখন আমাদের ওপর আক্রমণ করছে।
ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৬২৫ জনকে কারা বিদেশে পার করে দিয়েছে এবং এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে বলেও জানান তিনি। যারা বাংলাদেশের বিপক্ষের শক্তি তারাই সংখ্যালঘু, এমন মন্তব্যও করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক। বললেন, সংখ্যালঘু কার্ড নিয়ে যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার কথা ভাবা হয়, তাহলে ভুল ভাবছে।