কয়েকদিন পরই শুরু হবে গ্রীষ্মকাল, তাই এখন থেকেই শরীরকে সুস্থ রাখা আবশ্যিক। প্রখর গ্রীষ্মে শরীর যাতে ঠান্ডা থাকে তার জন্য ডায়েটে কী কী রাখা প্রয়োজন তা জানা অপরিহার্য। তাই এই সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখে এমন সবজি খাওয়া উচিত। তার মধ্যে শসা হল অন্য়তম। শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে, ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে ও সতেজ রাখতে শসার অবদান অনেক। এর স্বাস্থ্যকর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। গরমকালে শসা কেন পাতে রাখবেন তা জানা দরকার।
গ্রীষ্মকালে শসা কেন খাবেন?
১. শসা হল সবজির মধ্যে সবচেয়ে শীতল, শক্তিবর্ধক, ও পাওয়ার প্যাকড একটি সবজি, যার গুণে অগণিত রোগ নিরাময় হয় এক নিমেষে।
২. শসায় রয়েছে প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি। শরীরের মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ নির্গত করে ভালভাবে হাইড্রেটেড থাকতে শসার বেশ কার্যকরী। শরীরে পুষ্টিকর উপাদান দিতে রোজ ডায়েটে শসা খেতে পারেন। শসার মধ্যে থাকা জলের উপাদান শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
৩. শসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ‘কিউকারবিটাসিনে বি’ নামে একপ্রকার প্রাকৃতিক যৌগ, যা প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন কর্কট রোগের কোষে অ্যাপোপটোসিস-ইনডাকশনের মাধ্যমে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। এছাড়া শসার খোসা খাওয়াও উপকারী। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে, পেট থেকে বিষাক্ত পদার্থকে নির্গত করতে সাহায্য করে। কোলন ক্যানসার রোধ করতেও প্রতিদিনের খাবারে শসা রাখতে পারেন।
৪. শসার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলো রক্তচাপ কমাতে দারুণ কার্যকরী। এছাড়া হাই পটাসিয়াম ও জল থাকায় রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে।
৫. শসা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের উপকারে লাগে তা নয়, ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। টোনার হিসেবে ত্বকের জন্য ভাল। এছাড়া ফোলাভাব ও ডার্ক সার্কেল কমাতে, গ্রীষ্মের দিনে তাপে পুড়ে ত্বকে জ্বালাভাব কমাতে, লাল লাল ফুসকুড়ির প্রবণতা থাকলে তা প্রশমিত করতেও শসা ব্যবহার করা হয়। শসায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে সিলিকা, যা চুল ও নখের যত্নের জন্য দুর্দান্ত উপাদান।
৬. নিয়মিত শসা খেলে মলত্যাগ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। ডিহাইড্রেশনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া স্বাভাবিক, তাই জলের পাশাপাশি প্রতিদিন ডায়েটে রাখুন শসা। তাতে শরীর থাকবে হাইড্রেটেড। শসার গুণের কোষ্ঠকাঠিন্য় যেমন রোধ হবে, তেমনি শরীরও থাকবে সুস্থ ও সতেজ।
৭. শসাতে থাকা ভিটামিন সি ও ক্য়াফেইক অ্য়াসিড থাকায় ত্বকে থাকা ট্যানড ধীরে ধীরে প্রশমিত হয়। ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে। শসাতে থাকা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উপাদান ত্বকের উপর কালো ছোপ কমাতেও সাহায্য করে।