চুয়াডাঙ্গা ১০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় ঋণের বোঝা সইতে না পেরে কৃষকের আত্মহত্যা

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে মজনু মালিথা (৫০) নামে এক কৃষক ঘাসপোড়া বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন।

গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে বুধবার ভোর ৪টায় নিজ বাড়িতে থাকা ঘাসপোড়া বিষপান করেন তিনি।

 

সকালে বিষয়টি দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। নিহত মজনু মালিথা আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের কুলচারা গ্রামের ইউসুফ মালিথার ছেলে। তিনি এক ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক।

 

মজনু মালিথার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মানজেরুল হাসান। তিনি জানান, নিহত মজনু মালিথা দীর্ঘদিন যাবত অভাব অনটনে ভুগছিলেন। তিনি একাধিক সমিতি থেকে ঋণ নেন।

 

এক পর্যায়ে এসে তিনি এসব লোন পরিশোধ করতে হিমশিমে পড়েন। ঋণের বোঝা সইতে না পেরে গত বুধবার ভোর ৪টায় ঘাস পোড়া বিষপান করেন তিনি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহবুবা মুস্তোরি মৌ বলেন, বিষপান করা এক ব্যক্তি হাসপাতালে এলে আমরা তাকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখি। পরবর্তীতে রাতে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।

Powered by WooCommerce

আলমডাঙ্গায় ঋণের বোঝা সইতে না পেরে কৃষকের আত্মহত্যা

আপডেটঃ ০৯:৫৯:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে মজনু মালিথা (৫০) নামে এক কৃষক ঘাসপোড়া বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন।

গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে বুধবার ভোর ৪টায় নিজ বাড়িতে থাকা ঘাসপোড়া বিষপান করেন তিনি।

 

সকালে বিষয়টি দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। নিহত মজনু মালিথা আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের কুলচারা গ্রামের ইউসুফ মালিথার ছেলে। তিনি এক ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক।

 

মজনু মালিথার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মানজেরুল হাসান। তিনি জানান, নিহত মজনু মালিথা দীর্ঘদিন যাবত অভাব অনটনে ভুগছিলেন। তিনি একাধিক সমিতি থেকে ঋণ নেন।

 

এক পর্যায়ে এসে তিনি এসব লোন পরিশোধ করতে হিমশিমে পড়েন। ঋণের বোঝা সইতে না পেরে গত বুধবার ভোর ৪টায় ঘাস পোড়া বিষপান করেন তিনি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহবুবা মুস্তোরি মৌ বলেন, বিষপান করা এক ব্যক্তি হাসপাতালে এলে আমরা তাকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখি। পরবর্তীতে রাতে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।