চুয়াডাঙ্গা ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কারাগারে ঈদ কাটবে প্রায় ৭০ হাজার বন্দির


সারা দেশের কারাগারগুলোয় ঈদ করছেন প্রায় ৭০ হাজার বন্দি। সকালে ঈদের নামাজ আদায়, দিনভর বিশেষ খাবারসহ বন্দিদের জন্য নানা ধরনের আয়োজন রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

সারা দেশের কারাগারগুলোয় ঈদ করছেন প্রায় ৭০ হাজার বন্দি। সকালে ঈদের নামাজ আদায়, দিনভর বিশেষ খাবারসহ বন্দিদের জন্য নানা ধরনের আয়োজন রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ। থাকছে বাড়ির খাবার খাওয়ার সুযোগও। পাশাপাশি স্বজনদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাতের ব্যবস্থাও থাকছে। পরিবার-পরিজন ছেড়ে ঈদের দিন কারাগারে থাকা বন্দিদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই এসব আয়োজন করা হয়। ঈদকে ঘিরে কারাগারগুলোয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

কারা অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশের কারাগারগুলোয় ৪২ হাজার ৪৫০ জন ধারণক্ষমতার বিপরীতে গতকাল বন্দি ছিলেন মোট ৬০ হাজার ৯১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ বন্দি ৫৮ হাজার ৮৯০ ও নারী রয়েছেন ২ হাজার ২৪ জন। বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৫৭ জন, কাশিমপুরে চারটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬২ জনসহ ঢাকা বিভাগের অন্যান্য কারাগার মিলিয়ে মোট ১২৫ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছেন।

বন্দিদের জন্য ঈদের দিনের খাবারে থাকছে বৈচিত্র্য। সকালে নাশতা হিসেবে দেয়া হবে পায়েস ও মুড়ি। দুপুরে থাকছে পোলাও, গরু বা খাসি, রোস্ট, মিষ্টি, কোমল পানীয় ও সালাদ। এরপর রাতে দেয়া হবে সাদা ভাত, মাছ, বুটের ডাল ও ডিম। এছাড়া বন্দিরা এদিন একবারের জন্য বাড়ির খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবেন।

ঈদের দিন সকালে দেশের সব কারাগারেই নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকছে। সেই সঙ্গে দিনভর থাকবে বন্দিদের অংশগ্রহণে নানা আয়োজন। কারাগারের ভেতরে বন্দিদের অংশগ্রহণে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় কারারক্ষী ব্যারাকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যার পর স্টাফদের সন্তানদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি ও গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ঈদের তিনদিন পরিবারের সঙ্গে একটি বিশেষ সাক্ষাতেরও সুযোগ পাবেন সব কারাবন্দি।

এদিকে কারাগারগুলোয় সবসময়ই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে। ঈদ উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তা, সতর্কতা ও নজরদারি নিশ্চিত করা হয়। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সশস্ত্র প্রহরার পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর, হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর, ভেহিকল সার্চ মিরর, বডি স্ক্যানার, লাগেজ স্ক্যানার ইত্যাদি নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি।

সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘কারাগারে থাকা বন্দিরা পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকেন। ঈদের দিনে তাই তাদের জন্য বিশেষ আয়োজন রাখা হয়। বিশেষ করে উন্নত খাবার, বাড়ির রান্না করা খাবার এবং বিশেষ সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়া ঈদের পুরো দিনটিই বন্দিদের অংশগ্রহণে কারা অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন থাকছে।’

কারা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হবে তিনটি জামাত। এর মধ্যে দুটি জামাত কারাগারের স্টাফদের জন্য এবং একটি জামাতে অংশ নেবেন বন্দিরা।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার একেএম মাসুম জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিনে বন্দিদের জন্য বিশেষ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঈদের দিন স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে ৫ মিনিট বেশি সময় ধরে বন্দিরা স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে পারবেন। ঈদের দিন স্বজনরা বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে পারলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসতে পারবেন। তবে নির্ধারিত নিয়ম মেনে খাবার কারাগারে প্রবেশ করানো হবে।





Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

কারাগারে ঈদ কাটবে প্রায় ৭০ হাজার বন্দির

আপডেটঃ ০৭:৫৩:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫


সারা দেশের কারাগারগুলোয় ঈদ করছেন প্রায় ৭০ হাজার বন্দি। সকালে ঈদের নামাজ আদায়, দিনভর বিশেষ খাবারসহ বন্দিদের জন্য নানা ধরনের আয়োজন রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

সারা দেশের কারাগারগুলোয় ঈদ করছেন প্রায় ৭০ হাজার বন্দি। সকালে ঈদের নামাজ আদায়, দিনভর বিশেষ খাবারসহ বন্দিদের জন্য নানা ধরনের আয়োজন রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ। থাকছে বাড়ির খাবার খাওয়ার সুযোগও। পাশাপাশি স্বজনদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাতের ব্যবস্থাও থাকছে। পরিবার-পরিজন ছেড়ে ঈদের দিন কারাগারে থাকা বন্দিদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই এসব আয়োজন করা হয়। ঈদকে ঘিরে কারাগারগুলোয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

কারা অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশের কারাগারগুলোয় ৪২ হাজার ৪৫০ জন ধারণক্ষমতার বিপরীতে গতকাল বন্দি ছিলেন মোট ৬০ হাজার ৯১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ বন্দি ৫৮ হাজার ৮৯০ ও নারী রয়েছেন ২ হাজার ২৪ জন। বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৫৭ জন, কাশিমপুরে চারটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬২ জনসহ ঢাকা বিভাগের অন্যান্য কারাগার মিলিয়ে মোট ১২৫ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছেন।

বন্দিদের জন্য ঈদের দিনের খাবারে থাকছে বৈচিত্র্য। সকালে নাশতা হিসেবে দেয়া হবে পায়েস ও মুড়ি। দুপুরে থাকছে পোলাও, গরু বা খাসি, রোস্ট, মিষ্টি, কোমল পানীয় ও সালাদ। এরপর রাতে দেয়া হবে সাদা ভাত, মাছ, বুটের ডাল ও ডিম। এছাড়া বন্দিরা এদিন একবারের জন্য বাড়ির খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবেন।

ঈদের দিন সকালে দেশের সব কারাগারেই নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকছে। সেই সঙ্গে দিনভর থাকবে বন্দিদের অংশগ্রহণে নানা আয়োজন। কারাগারের ভেতরে বন্দিদের অংশগ্রহণে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় কারারক্ষী ব্যারাকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যার পর স্টাফদের সন্তানদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি ও গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ঈদের তিনদিন পরিবারের সঙ্গে একটি বিশেষ সাক্ষাতেরও সুযোগ পাবেন সব কারাবন্দি।

এদিকে কারাগারগুলোয় সবসময়ই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে। ঈদ উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তা, সতর্কতা ও নজরদারি নিশ্চিত করা হয়। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সশস্ত্র প্রহরার পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর, হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর, ভেহিকল সার্চ মিরর, বডি স্ক্যানার, লাগেজ স্ক্যানার ইত্যাদি নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি।

সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘কারাগারে থাকা বন্দিরা পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকেন। ঈদের দিনে তাই তাদের জন্য বিশেষ আয়োজন রাখা হয়। বিশেষ করে উন্নত খাবার, বাড়ির রান্না করা খাবার এবং বিশেষ সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়া ঈদের পুরো দিনটিই বন্দিদের অংশগ্রহণে কারা অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন থাকছে।’

কারা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হবে তিনটি জামাত। এর মধ্যে দুটি জামাত কারাগারের স্টাফদের জন্য এবং একটি জামাতে অংশ নেবেন বন্দিরা।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার একেএম মাসুম জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিনে বন্দিদের জন্য বিশেষ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঈদের দিন স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে ৫ মিনিট বেশি সময় ধরে বন্দিরা স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে পারবেন। ঈদের দিন স্বজনরা বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে পারলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসতে পারবেন। তবে নির্ধারিত নিয়ম মেনে খাবার কারাগারে প্রবেশ করানো হবে।





Source link