চুয়াডাঙ্গা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ বাংলাদেশি ছাত্রদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশ

অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করতে ভারতের রাজধানী দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় সকল স্কুলকে শিক্ষার্থীদের পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্ত ও যাচাইয়ের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

 

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ডেকান হেরাল্ড। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের জাতীয় রাজধানী দিল্লির সমস্ত স্কুলকে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিশুদের শনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন (এমসিডি)। একইসঙ্গে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় সঠিকভাবে শনাক্তকরণ এবং যাচাইকরণ করতেও নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।

 

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিএনসিটিডি’র (দিল্লি সরকার) প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির (স্বরাষ্ট্র) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন (এমসিডি)। ওই বৈঠকে তারা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন “প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা” বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে তাদের স্কুলে স্কুলে চিহ্নিত করাসহ তাদের জন্ম সনদ প্রদান না করার কথাও বলা হয়েছে।

 

এছাড়া সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড বলছে, বাংলাদেশ থেকে আসা কোনও অবৈধ অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার জন্য ভারতের জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে এমসিডি-ও তাদের এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বলে এবং তাদেরও শিক্ষার্থীদের পরিচয় সঠিকভাবে শনাক্তকরণ এবং যাচাইকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

এর পাশাপাশি এই জাতীয় অভিবাসীদের দখলে থাকা বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও তাদের অপসারণ করতেও বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এছাড়া ভারতের আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় পলাতক হাসিনা নানা সময়েই বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করে চলেছেন। হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও উঠছে এবং সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের কর্মকাণ্ডে অনেকেই ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলছেন।

 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মনোভাব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে। মূলত গত আগস্টে অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

সুত্র লিংক

প্রসংঙ্গ :

উপদেষ্টাদের অধিকাংশের রাষ্ট্র পরিচালনায় ধারণা কম: নূর

avashnews

Powered by WooCommerce

অবৈধ বাংলাদেশি ছাত্রদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশ

আপডেটঃ ০৮:৩৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করতে ভারতের রাজধানী দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় সকল স্কুলকে শিক্ষার্থীদের পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্ত ও যাচাইয়ের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

 

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ডেকান হেরাল্ড। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের জাতীয় রাজধানী দিল্লির সমস্ত স্কুলকে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিশুদের শনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন (এমসিডি)। একইসঙ্গে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় সঠিকভাবে শনাক্তকরণ এবং যাচাইকরণ করতেও নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।

 

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিএনসিটিডি’র (দিল্লি সরকার) প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির (স্বরাষ্ট্র) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন (এমসিডি)। ওই বৈঠকে তারা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন “প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা” বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে তাদের স্কুলে স্কুলে চিহ্নিত করাসহ তাদের জন্ম সনদ প্রদান না করার কথাও বলা হয়েছে।

 

এছাড়া সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড বলছে, বাংলাদেশ থেকে আসা কোনও অবৈধ অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার জন্য ভারতের জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে এমসিডি-ও তাদের এ বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বলে এবং তাদেরও শিক্ষার্থীদের পরিচয় সঠিকভাবে শনাক্তকরণ এবং যাচাইকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

এর পাশাপাশি এই জাতীয় অভিবাসীদের দখলে থাকা বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও তাদের অপসারণ করতেও বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এছাড়া ভারতের আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় পলাতক হাসিনা নানা সময়েই বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করে চলেছেন। হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও উঠছে এবং সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের কর্মকাণ্ডে অনেকেই ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলছেন।

 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মনোভাব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে। মূলত গত আগস্টে অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

সুত্র লিংক