চুয়াডাঙ্গা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন বিলম্বের গোপন উদ্দেশ্য থাকলে পরিণাম হবে ভয়াবহ: ইশরাক হোসেন


বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরেই নির্বাচনে যেতে হবে সরকারকে। তার আগে করলে ‘নির্বাচন’ এর বদলে খুনি হাসিনার ভোট ডাকাতির প্রহসন হবে। এ ব্যাপারে সব দল ও সর্বসাধারণ একমত। তবে এই অজুহাতে নির্বাচন বিলম্ব করার গোপন উদ্দেশ্য থাকলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ ও আত্মঘাতী।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন বিএনপির এই তরুণ নেতা। ওই পোস্টে ইশরাক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ১৬ বছর ধরে লড়াই সংগ্রাম করেছে তাদের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে। গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদলের অনুপস্থিতির কারণে যে ভয়াবহ জুলুম, নির্যাতন, বৈষম্য, ভারতীয় আগ্রাসন ও মানব স্বাধীনতা হরণের ঘটনা ঘটেছে, তার বিরুদ্ধে তিল তিল করে রক্ত ঝরিয়ে ও অকাতরে জীবন বিলিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করা হয়েছিল। এটি চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছেছে ছাত্র-জনতা-সিপাহির সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। লক্ষ্য একটাই হাসিনা খেদাও তথা গণতন্ত্র মুক্ত করো।

তিনি আরও বলেন, এই গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও নির্বাচনের প্রশ্নে এক চুল ছাড় দেওয়া হবে না। আমার হাজার হাজার ভাইবোনেরা গণতন্ত্রের জন্যেই জীবন দিয়েছে। সেটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা প্রতিটি হত্যা ও প্রতি ফোটা রক্তের প্রতিশোধ নিবো।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কোনো গোষ্ঠীর যদি হাসিনার মত অন্য চিন্তা থাকে তাহলে সতর্ক হয়ে যান। প্রয়োজনে যুদ্ধে হবে আরেকবার। এক আবু সাইদের ত্যাগের দৃষ্টান্তে এইবার কয়েক হাজার আবু সাঈদরা বুক পাতার জন্যে অপেক্ষা করছে। নির্বাচন বিলম্বিত করে কেও ভিন্ন উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করতে চাইলে তারাই সবার আগে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

 

বার্তাবাজার/এস এইচ





সুত্র লিংক

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

নির্বাচন বিলম্বের গোপন উদ্দেশ্য থাকলে পরিণাম হবে ভয়াবহ: ইশরাক হোসেন

আপডেটঃ ০২:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪


বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরেই নির্বাচনে যেতে হবে সরকারকে। তার আগে করলে ‘নির্বাচন’ এর বদলে খুনি হাসিনার ভোট ডাকাতির প্রহসন হবে। এ ব্যাপারে সব দল ও সর্বসাধারণ একমত। তবে এই অজুহাতে নির্বাচন বিলম্ব করার গোপন উদ্দেশ্য থাকলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ ও আত্মঘাতী।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন বিএনপির এই তরুণ নেতা। ওই পোস্টে ইশরাক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ১৬ বছর ধরে লড়াই সংগ্রাম করেছে তাদের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে। গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদলের অনুপস্থিতির কারণে যে ভয়াবহ জুলুম, নির্যাতন, বৈষম্য, ভারতীয় আগ্রাসন ও মানব স্বাধীনতা হরণের ঘটনা ঘটেছে, তার বিরুদ্ধে তিল তিল করে রক্ত ঝরিয়ে ও অকাতরে জীবন বিলিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করা হয়েছিল। এটি চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছেছে ছাত্র-জনতা-সিপাহির সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। লক্ষ্য একটাই হাসিনা খেদাও তথা গণতন্ত্র মুক্ত করো।

তিনি আরও বলেন, এই গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও নির্বাচনের প্রশ্নে এক চুল ছাড় দেওয়া হবে না। আমার হাজার হাজার ভাইবোনেরা গণতন্ত্রের জন্যেই জীবন দিয়েছে। সেটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা প্রতিটি হত্যা ও প্রতি ফোটা রক্তের প্রতিশোধ নিবো।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কোনো গোষ্ঠীর যদি হাসিনার মত অন্য চিন্তা থাকে তাহলে সতর্ক হয়ে যান। প্রয়োজনে যুদ্ধে হবে আরেকবার। এক আবু সাইদের ত্যাগের দৃষ্টান্তে এইবার কয়েক হাজার আবু সাঈদরা বুক পাতার জন্যে অপেক্ষা করছে। নির্বাচন বিলম্বিত করে কেও ভিন্ন উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করতে চাইলে তারাই সবার আগে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

 

বার্তাবাজার/এস এইচ





সুত্র লিংক