চুয়াডাঙ্গা ১১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘোড়ার গোশত খাওয়া কি জায়েজ?


ঘোড়া মানুষের সম্পর্ক বহুযুগ ধরে। এটি দ্রুতগামী চতুষ্পদ প্রাণী। এটি এক সময় বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যুদ্ধেও ব্যবহৃত হতো। দ্রুতগামী বলে এর নাম তুরগ, তুরঙ্গম।

অনেকে জানতে চেয়েছেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়া কি জায়েজ?

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়া জায়েজ। ঘোড়ার গোশত হালাল। কিন্তু গণহারে ঘোড়ার গোশত খেলে জিহাদের সময় ঘোড়ার মাধ্যমে খেদমত নিতে সমস্যা হতে পারে। তাই ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরুহ। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ৫-২৯০)

ঘোড়ার গোশত খাওয়া হালাল না হারাম

বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে যদিও ব্যাপকভাবে ঘোড়ার ব্যবহার হয় না, কিন্তু তা একেবারে বন্ধও হয়ে যায়নি। এখনো অনেক দেশের সিকিউরিটি ফোর্সেস তাদের কেন্দ্রগুলোতে ঘোড়ার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। নিয়মিত প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

তাছাড়া হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত খালিদ ইবনে ওলিদ রা. বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়ার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে নাসাঈ ৮/২০৬; সুনানে আবু দাউদ ২/৫৩১) নিষিদ্ধ হওয়ার মূল সূত্র হচ্ছে এ হাদিস। আর জিহাদের কাজে ব্যবহার হওয়ার বিষয়টি একটি প্রাসঙ্গিক দলিলমাত্র। অতএব জিহাদের কাজে ঘোড়ার ব্যবহার একেবারে বন্ধ হয়ে গেলেও তা খাওয়া উপরোক্ত হাদিসের কারণে মাকরুহ তানযীহি থাকবে। (আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/১৮৩, ১৮৪; বুখারি ২/৬০৬; মুসলিম ২/১৫০)

তবে সাধারণ সময়ে ঘোড়ার গোশত খেতে কোনো সমস্যা নেই। হজরত জাবের রা. বলেন, খায়বারের যুদ্ধে রসুল সা. গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন (বুখারি ৫৫২০; মিশকাত ৪১০৭)

অন্য হাদিসে রয়েছে হজরত আসমা রা. বলেন, আমরা রসুল সা-এর যুগে ঘোড়া জবাই করেছি ও গোশত খেয়েছি (বুখারি ৫৫১৯)

রসুল সা. ব্যাপকহারে মানুষ ঘোড়ার জবাই করে গোশত খেলে যুদ্ধের সময় ঘোড়া পাওয়া যাবে না। তাই ঘোড়ার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী সা.। যদি এমন কোনো পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভবনা না থাকে তাহলে ঘোড়ার গোশত খাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই।



Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

ঘোড়ার গোশত খাওয়া কি জায়েজ?

আপডেটঃ ০৫:৩৫:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫


ঘোড়া মানুষের সম্পর্ক বহুযুগ ধরে। এটি দ্রুতগামী চতুষ্পদ প্রাণী। এটি এক সময় বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যুদ্ধেও ব্যবহৃত হতো। দ্রুতগামী বলে এর নাম তুরগ, তুরঙ্গম।

অনেকে জানতে চেয়েছেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়া কি জায়েজ?

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়া জায়েজ। ঘোড়ার গোশত হালাল। কিন্তু গণহারে ঘোড়ার গোশত খেলে জিহাদের সময় ঘোড়ার মাধ্যমে খেদমত নিতে সমস্যা হতে পারে। তাই ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরুহ। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ৫-২৯০)

ঘোড়ার গোশত খাওয়া হালাল না হারাম

বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে যদিও ব্যাপকভাবে ঘোড়ার ব্যবহার হয় না, কিন্তু তা একেবারে বন্ধও হয়ে যায়নি। এখনো অনেক দেশের সিকিউরিটি ফোর্সেস তাদের কেন্দ্রগুলোতে ঘোড়ার রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। নিয়মিত প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

তাছাড়া হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত খালিদ ইবনে ওলিদ রা. বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়ার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে নাসাঈ ৮/২০৬; সুনানে আবু দাউদ ২/৫৩১) নিষিদ্ধ হওয়ার মূল সূত্র হচ্ছে এ হাদিস। আর জিহাদের কাজে ব্যবহার হওয়ার বিষয়টি একটি প্রাসঙ্গিক দলিলমাত্র। অতএব জিহাদের কাজে ঘোড়ার ব্যবহার একেবারে বন্ধ হয়ে গেলেও তা খাওয়া উপরোক্ত হাদিসের কারণে মাকরুহ তানযীহি থাকবে। (আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/১৮৩, ১৮৪; বুখারি ২/৬০৬; মুসলিম ২/১৫০)

তবে সাধারণ সময়ে ঘোড়ার গোশত খেতে কোনো সমস্যা নেই। হজরত জাবের রা. বলেন, খায়বারের যুদ্ধে রসুল সা. গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন, ঘোড়ার গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন (বুখারি ৫৫২০; মিশকাত ৪১০৭)

অন্য হাদিসে রয়েছে হজরত আসমা রা. বলেন, আমরা রসুল সা-এর যুগে ঘোড়া জবাই করেছি ও গোশত খেয়েছি (বুখারি ৫৫১৯)

রসুল সা. ব্যাপকহারে মানুষ ঘোড়ার জবাই করে গোশত খেলে যুদ্ধের সময় ঘোড়া পাওয়া যাবে না। তাই ঘোড়ার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী সা.। যদি এমন কোনো পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভবনা না থাকে তাহলে ঘোড়ার গোশত খাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই।



Source link