চুয়াডাঙ্গা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেহরিতে সবার প্রিয় দুধ-ভাত – hellobd.news


রমজান মাসে সেহরি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, কারণ সঠিক খাবার গ্রহণ করলে সারাদিন রোজা রাখার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে সেহরির সময় দুধ-ভাত একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে পরিচিত। হালকা কিন্তু পুষ্টিকর এই খাবারটি বহু বছর ধরে মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু কেন দুধ-ভাত এত জনপ্রিয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

সহজলভ্য ও দ্রুত প্রস্তুতযোগ্য
সেহরির খাবার হতে হবে সহজে প্রস্তুত করা যায় এমন এবং কম সময়ে তৈরি করা সম্ভব। দুধ-ভাত তৈরিতে কোনো জটিলতা নেই—সেদ্ধ ভাতের সঙ্গে দুধ ও সামান্য চিনি বা গুঁড় মিশিয়ে তৈরি করা যায়। চাইলে কিছু মসলা বা শুকনো ফল যোগ করেও স্বাদে বৈচিত্র্য আনা যায়। তবে আমাদের দেশে আম-দুধ-ভাত এবং কলা-দুধ-ভাত বেশি প্রচলিত।

সহজপাচ্য ও হালকা খাবার
সেহরির খাবার এমন হওয়া উচিত যা সহজে হজম হয়, যাতে সারাদিন অস্বস্তি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা না হয়। দুধ-ভাত এমন একটি খাবার যা সহজেই হজম হয় এবং পাকস্থলীতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে না। বিশেষ করে যারা মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে চান, তাদের জন্য এটি আদর্শ খাবার।

135834481 155763096333360 745978

কলা-দুধ-ভাতের সঙ্গে গুঁড় মিশিয়েও খাওয়া যায়, ছবি: ফেসবুক

দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে
দুধ-ভাতের প্রধান উপাদান কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন, যা দীর্ঘ সময় শরীরে শক্তি ধরে রাখে। ভাত থেকে পাওয়া কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে শরীরে শক্তি সরবরাহ করে, ফলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। একইসঙ্গে দুধের প্রোটিন ও ফ্যাট শরীরকে পর্যাপ্ত পুষ্টি দেয়।

পুষ্টিগুণে ভরপুর
দুধ-ভাত শুধু সহজলভ্য ও সুস্বাদু নয়, এটি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।

  • দুধ: প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও বি-কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ, যা হাড় ও মাংসপেশির জন্য উপকারী।
  • ভাত: শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস, যা শরীরকে দিনভর কর্মক্ষম রাখে।
  • অতিরিক্ত উপাদান: অনেকে দুধ-ভাতে কলা, আম, বাদাম, খেজুর বা মধু মিশিয়ে খান, যা আরও পুষ্টি যোগ করে।

হাইড্রেশন ধরে রাখে
রমজান মাসে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। দুধে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকায় এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। যারা দিনে প্রচুর পানি পান করতে পারেন না, তাদের জন্য দুধ-ভাত একটি ভালো সমাধান।

আম-দুধ-ভাত আমাদের ঐতিহ্যের অংশ, ছবি: ইউটিউব

ঐতিহ্যের অংশ
দুধ-ভাত শুধু পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবারই নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতিরও একটি অংশ। অনেকের শৈশবের স্মৃতিতে আছে দাদি-নানিদের হাতে তৈরি গরম দুধ-ভাত খাওয়ার মুহূর্ত। বিশেষত রোজার মাসে পরিবারে একসঙ্গে সেহরি করার সময় দুধ-ভাত খাওয়ার অভ্যাস অনেক পুরোনো।

সেহরিতে দুধ-ভাতের জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে এর সহজলভ্যতা, পুষ্টিগুণ, সহজপাচ্যতা এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখার ক্ষমতা। যারা হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চান, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ বিকল্প। তাই সেহরির মেনুতে দুধ-ভাত যোগ করলে শরীর থাকবে সুস্থ ও কর্মক্ষম!

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

সেহরিতে সবার প্রিয় দুধ-ভাত – hellobd.news

আপডেটঃ ১১:১৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫


রমজান মাসে সেহরি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, কারণ সঠিক খাবার গ্রহণ করলে সারাদিন রোজা রাখার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে সেহরির সময় দুধ-ভাত একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে পরিচিত। হালকা কিন্তু পুষ্টিকর এই খাবারটি বহু বছর ধরে মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু কেন দুধ-ভাত এত জনপ্রিয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

সহজলভ্য ও দ্রুত প্রস্তুতযোগ্য
সেহরির খাবার হতে হবে সহজে প্রস্তুত করা যায় এমন এবং কম সময়ে তৈরি করা সম্ভব। দুধ-ভাত তৈরিতে কোনো জটিলতা নেই—সেদ্ধ ভাতের সঙ্গে দুধ ও সামান্য চিনি বা গুঁড় মিশিয়ে তৈরি করা যায়। চাইলে কিছু মসলা বা শুকনো ফল যোগ করেও স্বাদে বৈচিত্র্য আনা যায়। তবে আমাদের দেশে আম-দুধ-ভাত এবং কলা-দুধ-ভাত বেশি প্রচলিত।

সহজপাচ্য ও হালকা খাবার
সেহরির খাবার এমন হওয়া উচিত যা সহজে হজম হয়, যাতে সারাদিন অস্বস্তি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা না হয়। দুধ-ভাত এমন একটি খাবার যা সহজেই হজম হয় এবং পাকস্থলীতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে না। বিশেষ করে যারা মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে চান, তাদের জন্য এটি আদর্শ খাবার।

135834481 155763096333360 745978

কলা-দুধ-ভাতের সঙ্গে গুঁড় মিশিয়েও খাওয়া যায়, ছবি: ফেসবুক

দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে
দুধ-ভাতের প্রধান উপাদান কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন, যা দীর্ঘ সময় শরীরে শক্তি ধরে রাখে। ভাত থেকে পাওয়া কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে শরীরে শক্তি সরবরাহ করে, ফলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। একইসঙ্গে দুধের প্রোটিন ও ফ্যাট শরীরকে পর্যাপ্ত পুষ্টি দেয়।

পুষ্টিগুণে ভরপুর
দুধ-ভাত শুধু সহজলভ্য ও সুস্বাদু নয়, এটি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।

  • দুধ: প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও বি-কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ, যা হাড় ও মাংসপেশির জন্য উপকারী।
  • ভাত: শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস, যা শরীরকে দিনভর কর্মক্ষম রাখে।
  • অতিরিক্ত উপাদান: অনেকে দুধ-ভাতে কলা, আম, বাদাম, খেজুর বা মধু মিশিয়ে খান, যা আরও পুষ্টি যোগ করে।

হাইড্রেশন ধরে রাখে
রমজান মাসে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। দুধে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকায় এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। যারা দিনে প্রচুর পানি পান করতে পারেন না, তাদের জন্য দুধ-ভাত একটি ভালো সমাধান।

আম-দুধ-ভাত আমাদের ঐতিহ্যের অংশ, ছবি: ইউটিউব

ঐতিহ্যের অংশ
দুধ-ভাত শুধু পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবারই নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতিরও একটি অংশ। অনেকের শৈশবের স্মৃতিতে আছে দাদি-নানিদের হাতে তৈরি গরম দুধ-ভাত খাওয়ার মুহূর্ত। বিশেষত রোজার মাসে পরিবারে একসঙ্গে সেহরি করার সময় দুধ-ভাত খাওয়ার অভ্যাস অনেক পুরোনো।

সেহরিতে দুধ-ভাতের জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে এর সহজলভ্যতা, পুষ্টিগুণ, সহজপাচ্যতা এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখার ক্ষমতা। যারা হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চান, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ বিকল্প। তাই সেহরির মেনুতে দুধ-ভাত যোগ করলে শরীর থাকবে সুস্থ ও কর্মক্ষম!