রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয় বলে তাদের আলাদা সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। ডায়াবেটিক রোগীদের রোজা রাখতে বেশ কয়েকটি নিয়মকানুন অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
চলুন দেখে নিই ডায়াবেটিস রোগীদের রোজায় করণীয় কী-
অ্যাডভান্সড কিডনি রোগ যাদের ডিহাইড্রেশন হলে বিপজ্জনক
হার্টের রোগী যারা দিনে আট-দশটা ওষুধ খায়
অনেক বেশি সুগার। ফলে জটিলতার ভয় থাকে
সম্প্রতি ডায়াবেটিসের জটিলতা নিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে (যেমন কিটোএসিডসিস)
গর্ভবতীর রোজা রাখা ঠিক না
বারবার ইনসুলিন নিলে বা অন্য ওষুধ নিলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশংকা থাকলে
সতর্ক না হলে স্তনদাতা মায়ের জন্যও রোজা বিপজ্জনক
ইফতারের সময় যে ধরনের খাবার খাবেন-
সঠিক এবং স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করুন। ভুল এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
খুব বেশি খাবেন না।
চিনি সমৃদ্ধ ও ডিপ ফ্রাই করা খাবার গ্রহণ করবেন না।
রোজা ভাঙার সময় স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন, অল্প করে গ্রহণ করুন।
রোজা ভাঙার পর স্বাস্থ্যকর তরল গ্রহণ করুন। পানি সবচেয়ে ভালো পানীয়। এছাড়াও লেবু পানি, ঘোল, মিষ্টি ছাড়া লস্যি এবং প্লেইন মিল্ক পান করতে পারেন। শরবত, ফলের জুস, প্যাকেটজাত মিষ্টি পানীয় গ্রহণ এড়িয়ে চলুন।
সেহরিতে যে ধরনের খাবার খাবেন-
পর্যাপ্ত পানি পান করুন সেহরিতে। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের এবং উচ্চমাত্রার ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। এ ধরনের খাবার দীর্ঘক্ষণ পাকস্থলীতে থাকে এবং ক্ষুধা কম লাগে। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবারগুলো হচ্ছে – বাদামী চাল, গম, ওটস বা বার্লি। লিগিউম জাতীয় খাবার যেমন – মটরশুঁটি খেতে পারেন, লো ফ্যাটের দুধ ও পনির খেতে পারেন। এছাড়া একটি আস্ত ফল খান। আপনার ডায়েটে ডাল ও সবজি যোগ করুন।