দামুড়হুদায় গরুর মালিকের সহায়তায় চোরাইকৃত গরু পুড়াপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ। থানায় শাহাবুদ্দিন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রনির বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে একটি গাভী গরু ও পাশের মাঠ থেকে একটি এড়ে গরু উদ্ধার করা হয়।
জানাযায়,দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের গত মঙ্গলবার রাতে একটি গাভী গরু চুরি হয়ে যায়। একই উপজেলার দলকালক্ষীপুর গ্রামের আলম মণ্ডলের ছেলে সাজিমের গত ২৩/০১ তারিখে একটি গাভী গরু চুরি হয়ে যায়, মুক্তারপুর গ্রামের জমাত আলীর ছেলে মতিয়ার রহমানের গত ২৩/০২ ইং তারিখে একটি এঁড়ে বাছুর চুরি হয়,কেশবপুর গ্রামের আজাদ আলী খানের ছেলে হোসাইন খানের প্রথম রোজার দিন আকিকার দুইটা বড় খাসি ছাগল রাতের আধারে চুরি হয়। তারা সকলেই দামুড়হুদা মডেল থানায় জিডি করেন।
পরে দামুড়হুদা সদরে পার দামুড়হুদার মৃত নিক্সন মণ্ডলের ছেলে জাহিদুল ইসলামের গত শনিবার রাতে এঁড়ে বাছুর চুরি হয়।এরপর থেকেই গরুর মলিকেরা হন্যে হয়ে বিভিন্ন গ্রামে খুঁজতে থাকে তাদের চুরি হয়ে যাওয়া গরু।
একপর্যায়ে হোগলডাঙ্গা গ্রামের সাদ্দাম হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে সদর ইউনিয়নের পুড়া পাড়া গ্রামে রনির বাড়িতে একটি চোরাই গরু আছে। সেই মোতাবেক সাদ্দাম হোসেন পুড়া পাড়া গ্রামের রনির বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই তার চুরি হওয়া গাভী গরুটি।পরে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই শেখ তৈহিদুর রহমান দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলি ও সদস্য জহিদুল ইসলাম,সদস্য সামসুল ইসলাম এর সহযোগিতায় একটি গাভি গরু ও একই গ্রামের মাঠ থেকে একটি এঁড়ে বাছুর উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত গরু দুটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলি বলেন, চোরাই গরু উদ্ধার হওয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌয়ছায় পরে পুলিশকে খরব দিলে দুটি গরু উদ্ধার করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, দুইটি চোরায় গরু উদ্ধার করা হয়েছে। থানার মামলা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে।বাকিদের আটক করার জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।