চুয়াডাঙ্গা ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে মাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছেলে ২৭ বছর পর গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে মাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ছেলে বাদশা মিয়া ওরফে আলী আকবরকে দীর্ঘ ২৭ বছর পর রোববার(২ এপ্রিল) ভোরে আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব-১৪)। র‌্যাব-১৪ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

গ্রেপ্তারকৃত বাদশা মিয়া ওরফে আলী আকবর(৫৫) টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের কালোহা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে। র‌্যাব-১৪ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাদশা মিয়া ও তার বোন কহিনুর বেগমের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলছিল।

১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাদশা মিয়া বাড়ির উঠানে তার ছোট বোন কহিনুর বেগমকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করতে গেলে তাদের মা নিহত তমিরন নেছা বাঁধা দেন। তখন একটি দা দিয়ে বাদশা মিয়া তার ছোটবোনকে মারতে গেলে  তাকে বাঁচাতে মা তমিরন নেছা দায়ের কোপে নিহত ও বোন কহিনুর আহত হন।

 

এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। বাদশা মিয়া নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর নাম নিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে প্রথমে ঢাকা মহনগরের বাড্ডা এবং পরে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার কান্দাইল এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। মামলায় তার অনুপস্থিতিতে ২০০৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত
দায়রা জজ প্রথম আদালত বাদশা মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

 

র‌্যাব-১৪ আরও জানায়, গোপনে খবর পেয়ে সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়েরের নেতৃত্বে একদল র‌্যাব আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাদশা মিয়া ওরফে আলী
আকবরকে আটক করে।

জনপ্রিয় সংবাদ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

টাঙ্গাইলে মাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছেলে ২৭ বছর পর গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ০৫:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

টাঙ্গাইলে মাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ছেলে বাদশা মিয়া ওরফে আলী আকবরকে দীর্ঘ ২৭ বছর পর রোববার(২ এপ্রিল) ভোরে আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব-১৪)। র‌্যাব-১৪ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

গ্রেপ্তারকৃত বাদশা মিয়া ওরফে আলী আকবর(৫৫) টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের কালোহা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে। র‌্যাব-১৪ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাদশা মিয়া ও তার বোন কহিনুর বেগমের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলছিল।

১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাদশা মিয়া বাড়ির উঠানে তার ছোট বোন কহিনুর বেগমকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করতে গেলে তাদের মা নিহত তমিরন নেছা বাঁধা দেন। তখন একটি দা দিয়ে বাদশা মিয়া তার ছোটবোনকে মারতে গেলে  তাকে বাঁচাতে মা তমিরন নেছা দায়ের কোপে নিহত ও বোন কহিনুর আহত হন।

 

এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। বাদশা মিয়া নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর নাম নিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে প্রথমে ঢাকা মহনগরের বাড্ডা এবং পরে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার কান্দাইল এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। মামলায় তার অনুপস্থিতিতে ২০০৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত
দায়রা জজ প্রথম আদালত বাদশা মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

 

র‌্যাব-১৪ আরও জানায়, গোপনে খবর পেয়ে সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়েরের নেতৃত্বে একদল র‌্যাব আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাদশা মিয়া ওরফে আলী
আকবরকে আটক করে।