গ্রীষ্মকালে বাড়ে একাধিক ত্বকের সমস্যা। ত্বকে নানা রকম ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও রোদে বেরোলেই ত্বকে লাল দাগ-ছোপ পড়ে যায়। এছাড়াও গরমকালে হজমের সমস্যাও অনেক বেশি হয়। সামান্য কিছুতেই অ্যাসিডিটি, বুকে জ্বালা, পেট গরম, বদহজম এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও গরমের দিনে ফোঁড়ার সমস্যাও বেশি হয়।
এছাড়াও লু বইতে শুরু করলে বাড়ে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা। এই সব সমস্যা থেকে বাঁচতে ওয়ান স্টপ সলিউশন হল নিম ফুলের মধু। নিম ফুলের মধুর একাধিক উপকারিতা রয়েছে। অনেক ওষুধের মধ্যেও উপকরণ হিসেবে থাকে নিমের মধু কিন্তু সেই সব ওষুধ ব্যায়বহুল এবং কিছুক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে। তাই সবচাইতে ভাল হল মধু।
যাদের গরমে পিত্ত পড়ে যাওয়ার সমস্যা বেশি হয় তাদেরই বদহজম, গ্যাস এসব তুলনায় অনেক বেশি হয়। আর তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে তাজা নিমপাতা আর ফুল গাছ থেকেই পেড়ে খান। নিম ফুলের মধু শুনে অনেকেই অবাক হন, তবে এই মধুর কিন্তু একাধিক উপকারিতা রয়েছে। সজনে ফুলেরমতই নিম ফুলের তরকারি করে খেতে পারেন। নিম ফুল স্বাদে একটু তেতো তবে পেঁয়াজ, লঙ্কা আর বেগুন দিয়ে ভাজা করলে খেতে বেশ ভাল লাগে।
নিম পাতার মধ্যে যেমন থাকে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান তেমনই থাকে নিম ফুলের মধুর মধ্যেও। গরমের দিনে জ্বালা পোড়া ভাব, চুলকানি এসব অনেক বেশি বাড়ে। নিম ফুলের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইচিং উপাদান থাকে অনেক বেশি। ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে আর চুলকানির হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।
গরমে পাকস্থলি আর অন্ত্রের সমস্যাও বাড়ে। আর কৃমির সমস্যা বাচ্চাদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়। কৃমি হলে পেটে খুবই ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে পেটে অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যাসিডও তৈরি হয়। নিম ফুল আর পাতা নিয়মিত খেতে পারলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। বাচ্চাকে নিম ফুল খাওয়াতে পারেন এছাড়ান এই ফুলের মধুও কিন্তু বেশ কার্যকরী।
নিম ফুল রক্ত পরিশোধনে এবং লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতেও কাজ করে। নিম পাতা ফুটিয়ে যদি রোজ স্নান করেন তাহলে যেমন সংক্রমণ এড়াতে পারবেন তেমনই এই ফুলের মধু খেলে লিভার ভাল থাকবে।
গরমে মশার উপদ্রব বাড়ে। এছাড়াও এই সময় জ্বর, সর্দি কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। এক্ষেত্রেও খুব ভাল কাজ করে নিম ফুলের মধু। মধু না পেলে ফুল খান নিয়মিত। বুকে কফ, সর্দি বসবে না। জ্বরের পর মুখের স্বাদ ফেরাতেও বেশ ভাল কাজ করে এই নিম ফুল।
সৌজন্যেঃTV9বাংলা