চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস এলাকায় ছেলে কে পুলিশের আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে খোদেজা বেগম(৫৫) এক নারী নিহত হয়েছে । তিনি উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের নূর ইসলামের স্ত্রী ও আটককৃত ছেলে মহসিনের মা । রোববার দিবাগত রাত ১২ দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, রোববার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার শিবনগর গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মহাসিন (২৫) একটি মিনিট্রাকে কলা ভর্তি পন্য নিয়ে দর্শনা-মুজিবনগর সড়ক দিয়ে কার্পাসডাঙ্গা দিকে যাচ্ছিল। এসময় চন্দ্রবাস গ্রাম নামক স্থানে পৌঁছালে নাটুদহ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই মশিউর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা কলা ভর্তি ট্র্যাকটা দাঁড় করে তল্লাশি শুরু করে। তখন কলা ব্যবসায়ী মহাসিন মোবাইল ফোনে তার আটকের বিষয় টি তার মা কে জানানো হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মা খোদেজা বেগম ও তার বোন।
পুলিশের কাছে জানতে চাই তার ছেলে কে আটকানো হয়েছে। পুলিশ বলে সন্দেহ হিসেবে তল্লাশি করা হচ্ছে। এ শুনে তার মা ঘনটাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তার মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করে। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে পুলিশ ভ্যানে দামুড়হুদা চিৎলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। সোমবার বিকেলে তার নিজ গ্রামে নামাজের জানাজা শেষে দাফন সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিবর রহমান জানান, রোববার রাতে মহাসিনের আটক খবর পেয়ে তার মা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে। তার ছেলে দেখে সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটুদহ ক্যাম্প ইনর্চাজ এস আই মশিউর রহমান এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রোববার রাতে মুজিবনগর সড়কের চন্দ্রবাস গ্রামে মহসিন নামের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীর একটি কলাভর্তি ট্রাক ব্যারিকেট দেয়া হয়। ট্রাকটি তল্লাশি করে কোন কিছু না পেয়ে ছেড়ে দিই। পরে আমরা পাশের একটি দোকানে বসা ছিলাম। এমন সময় মসিনের মা খোদেজা বেগম ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে পুলিশ ভ্যানে করে দামুড়হুদা চিৎলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকটাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুরে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান,রোববার রাতে আমি শুনেছি। নাটুদা পুলিশ সদস্যরা চন্দ্রবাস এলাকায় ছিল। কিছু আছে কিনা দেখছিল পুলিশ।এর মধ্যে মহসিনের মাকে কে বা করা খবর দিয়েছে। তার ছেলেকে পুলিশ আটকে রেখেছে। মহসিনীর মা খোদেজা ছুটি এসে দেখে তার ছেলে ট্রাকের মধ্যে আছে। তখন তিনি অন্যদের গালাগালি করার একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পাশে বসা পুলিশ সদস্য তখন তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এখানে আমাদের পুলিশ সদস্যের প্রতি কোন অভিযোগ নাই।