চুয়াডাঙ্গা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল স্থল বন্দরে বিশ্রামাগার না থাকায় ভোগান্তি

দেশের প্রধান ফটক এবং ভারতের প্রবেশদ্বার বেনাপোল স্থল বন্দর। দেশের মানসন্মান মর্যাদা জুড়ে রয়েছে এই বন্দর । কারন এ পথে প্রতিদিনি হাজার হাজার দেশী বিদেশী পর্যটক, ব্যবসায়ি, রোগি, ছাত্র ভারত যাতায়াত করে থাকে। রাষ্টের এই গুরুত্বপর্ণ প্রবেশদ্বার পর্যন্ত পাসপোর্ট যাত্রীদের পৌছাতে সময় লেগে যায় প্রায় ৩ ঘন্টা। এখানে বেনাপোল স্থল বন্দর পাসপোর্ট যাত্রী প্রতি ৫৫ টাকা সুযোগ সুবিধা দেখিয়ে কর নিলেও তাদের জন্য নেই কোন সুযোগ সুবিধা।

 

রাজধানী ঢাকা সহ দেশের প্রত্যান্তঞ্চল থেকে প্রতিদিন ভারত যাওয়ার উদ্দেশ্য পাসপোর্টযাত্রীরা আগমন করে। দেশের চলমান রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোষ্টে রাত তিনটায় পরিবহন আসে পাসপোর্ট যাত্রী নিয়ে। এসব যাত্রী পরিবহন কাউন্টারে আবার কেউ কেউ আগে যাওয়ার জন্য লাইন সিরিয়াল ধরতে দাঁড়িয়ে থাকে স্থল বন্দরের আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে।

 

বেলা ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত এরা এখানে দাঁড়িয়ে থাকে। আর রোদ বৃষ্টিতে এদের এখানে সময় পার করতে হয়। কেউ যদি আগে থেকে ছাতা নিয়ে আসে তবে সে হয়ত একটু স্বস্তিতে দাড়িয়ে থাকে। এভাবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বেনাপোল স্থল বন্দর এদের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা কর আদায় করলেও গড়ে উঠে নাই যাত্রীদের জন্য কোন বিশ্রামাগার।

 

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় বেনাপোল চেকপোষ্ট গিয়ে দেখা যায় প্রচন্ড রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীরা। এর মধ্যে অনেকে অসুস্থতা বোধ করছে। প্রতিদিন এই পথে যাত্রীরা বয়স্ক ও শিশু ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

 

ঢাকা থেকে আগত পাসপোর্ট যাত্রী সুনিতা বলেন, বাড়ি থেকে এসে সব থেকে কষ্ট হয় বেনাপোল এসে। এখানে যাত্রীদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা না থাকায় রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আর রোদ বৃষ্টি এবং মশার কামড় খেয়ে পার করতে হয় দীর্ঘ সময়। এরকম লাইনে থাকা আরো অনেক যাত্রী একই অভিযোগের সুর তোলে।

 

বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকার জি এম আশরাফ বলেন, বেনাপোল চেকপোষ্ট রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপুর্ণ প্রবেশদ্বার। এই বেনাপোল চেকপোষ্ট জুড়ে রয়েছে দেশের ভাবমুর্তি। এখানে যাত্রীদের বিশ্রামাগার বাদে ও রয়েছে নানান অসুবিধা। যাত্রীরা বেনাপোল নামলে এক শ্রেনীর দালালদের উৎপাত শুরু হয় প্রশাসনের নাকের ডগায়। তার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন গলিতে নিয়ে তাদের অর্থ ছিনতাই সহ নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে। দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা বেনাপোল সহ সারা বাংলাদেশের মানুষ জানলেও নেই কোন প্রতিকার।

 

বেনাপোল স্থল বন্দরের দায়িত্ব রত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আসলে যাত্রীদের নিকট থেকে টার্মিনাল চার্জ নিলেও কোন সুযোগ সুবিধা গড়ে উঠেনি যাত্রীদের জন্য। তবে এই টার্মিনালের সাথে যে সব জমি রয়েছে সে সব জমি অধিগ্রহন করার কাজ চলছে। এসব জমি নেওয়ার পর যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মান করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় টানা প্রবল বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ২৪ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

বেনাপোল স্থল বন্দরে বিশ্রামাগার না থাকায় ভোগান্তি

প্রকাশ : ০৭:১৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

দেশের প্রধান ফটক এবং ভারতের প্রবেশদ্বার বেনাপোল স্থল বন্দর। দেশের মানসন্মান মর্যাদা জুড়ে রয়েছে এই বন্দর । কারন এ পথে প্রতিদিনি হাজার হাজার দেশী বিদেশী পর্যটক, ব্যবসায়ি, রোগি, ছাত্র ভারত যাতায়াত করে থাকে। রাষ্টের এই গুরুত্বপর্ণ প্রবেশদ্বার পর্যন্ত পাসপোর্ট যাত্রীদের পৌছাতে সময় লেগে যায় প্রায় ৩ ঘন্টা। এখানে বেনাপোল স্থল বন্দর পাসপোর্ট যাত্রী প্রতি ৫৫ টাকা সুযোগ সুবিধা দেখিয়ে কর নিলেও তাদের জন্য নেই কোন সুযোগ সুবিধা।

 

রাজধানী ঢাকা সহ দেশের প্রত্যান্তঞ্চল থেকে প্রতিদিন ভারত যাওয়ার উদ্দেশ্য পাসপোর্টযাত্রীরা আগমন করে। দেশের চলমান রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোষ্টে রাত তিনটায় পরিবহন আসে পাসপোর্ট যাত্রী নিয়ে। এসব যাত্রী পরিবহন কাউন্টারে আবার কেউ কেউ আগে যাওয়ার জন্য লাইন সিরিয়াল ধরতে দাঁড়িয়ে থাকে স্থল বন্দরের আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে।

 

বেলা ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত এরা এখানে দাঁড়িয়ে থাকে। আর রোদ বৃষ্টিতে এদের এখানে সময় পার করতে হয়। কেউ যদি আগে থেকে ছাতা নিয়ে আসে তবে সে হয়ত একটু স্বস্তিতে দাড়িয়ে থাকে। এভাবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বেনাপোল স্থল বন্দর এদের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা কর আদায় করলেও গড়ে উঠে নাই যাত্রীদের জন্য কোন বিশ্রামাগার।

 

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় বেনাপোল চেকপোষ্ট গিয়ে দেখা যায় প্রচন্ড রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীরা। এর মধ্যে অনেকে অসুস্থতা বোধ করছে। প্রতিদিন এই পথে যাত্রীরা বয়স্ক ও শিশু ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

 

ঢাকা থেকে আগত পাসপোর্ট যাত্রী সুনিতা বলেন, বাড়ি থেকে এসে সব থেকে কষ্ট হয় বেনাপোল এসে। এখানে যাত্রীদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা না থাকায় রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আর রোদ বৃষ্টি এবং মশার কামড় খেয়ে পার করতে হয় দীর্ঘ সময়। এরকম লাইনে থাকা আরো অনেক যাত্রী একই অভিযোগের সুর তোলে।

 

বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকার জি এম আশরাফ বলেন, বেনাপোল চেকপোষ্ট রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপুর্ণ প্রবেশদ্বার। এই বেনাপোল চেকপোষ্ট জুড়ে রয়েছে দেশের ভাবমুর্তি। এখানে যাত্রীদের বিশ্রামাগার বাদে ও রয়েছে নানান অসুবিধা। যাত্রীরা বেনাপোল নামলে এক শ্রেনীর দালালদের উৎপাত শুরু হয় প্রশাসনের নাকের ডগায়। তার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন গলিতে নিয়ে তাদের অর্থ ছিনতাই সহ নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে। দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা বেনাপোল সহ সারা বাংলাদেশের মানুষ জানলেও নেই কোন প্রতিকার।

 

বেনাপোল স্থল বন্দরের দায়িত্ব রত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আসলে যাত্রীদের নিকট থেকে টার্মিনাল চার্জ নিলেও কোন সুযোগ সুবিধা গড়ে উঠেনি যাত্রীদের জন্য। তবে এই টার্মিনালের সাথে যে সব জমি রয়েছে সে সব জমি অধিগ্রহন করার কাজ চলছে। এসব জমি নেওয়ার পর যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মান করা হবে।