চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার ধান্যঘরা গ্রামের ফল ব্যবসায়ি বাবর আলী (৪৫) হত্যার রহস্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন করেছে পুলিশ।হত্যাকারি নিহতের স্ত্রী মহিমাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ রোববার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টার সময় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা, (সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেন, বাবর আলী প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার রাতেও ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তার গলায় কোপ দেয়। এতে বাবার আলী রক্তাক্ত জখম হন। এসময় বাবর আলীর স্ত্রী চিৎকার করলে স্বজনরা দ্রুত ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে মর্মে একটি মিথ্যা নাটক সাজায়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন এবং চিকিৎসারত অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু বরণ করেন ।
এই সংক্রান্তে নিহত বাবর আলীর ভাই মো: সাবের আলী (৪২) এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দর্শনা থানা গত ১০ জুন মামলা রুজু করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশে হত্যা মামলার মুল রহস্য উদঘাটনের জন্য দর্শনা থানা পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষনিকভাবে মাঠে নামে। মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার বিভিন্ন পারিপার্শ্বিকতা ও স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নিহতের স্ত্রী আসামি মহিমাকে গ্রেফতার করে এবং ব্যাপক জিজ্ঞাবাদের এক পর্যায়ে সে নিজেই হত্যাকান্ডেটি ঘটিয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।
আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বসত বাড়ির শযন কক্ষের খাটের নিচ হইতে আসামী নিজেই হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত হাসুয়াটি উদ্ধার করা হয়। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জনাজায়, নিহত বাবর আলী এবং গ্রেফতারকৃত আসামি সম্পের্কে স্বামী স্ত্রী। ঘটনার দিন ৯ জুন রাত আনুমানিক পোনে ১ টার দিকে পারিবারিক কলহের কারণে নিহত বাবর আলী এর সহিত তার স্ত্রী মহিমার কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে মুত বাবর আলীর কাছে ধারালো হাসুয়া কেড়ে নিয়ে আসামী মহিমা তার স্বামী বাবর আলীর গলায় কোপ মারে। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে বাবর আলী মৃত্যু বরণ করে।
আসামীদের দেয়া তথ্য মতে হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার কৃত আসামী কে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।