চুয়াডাঙ্গা ১০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে এলো ৪৫ টন কাঁচা মরিচ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে।

 

রোববার বিকেলে ছয়টি ট্রাকে বেনাপোল বন্দরে এসব কাঁচা মরিচ প্রবেশ করে। ঢাকা ও খুলনার তিনটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব কাঁচা মরিচ নিয়ে আসে। কাঁচা মরিচের ওই তিনটি চালান রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।

 

বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, আজ ভারত থেকে তিনটি চালানের বিপরীতে ৬ ট্রাকে ৪৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে। এগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমান্তের ওপারে আরও কয়েক ট্রাক কাঁচা মরিচ এপারে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

এদিন নিয়ে আসা কাঁচা মরিচের মধ্যে ঢাকার মেসার্স ঊষা ট্রেডিং দুই ট্রাকে ২০ মেট্রিক টন, এন এস এন্টারপ্রাইজ দুই ট্রাকে দেড় মেট্রিক টন ও খুলনার এস এম করপোরেশন দুই ট্রাকে ১০ মেট্রিক টন আমদানি করে।

 

বেনাপোল কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা কলিমুল্লাহ্ জানান, জরুরি ও পচনশীল পণ্য হওয়ায় তারা এদিন কাঁচা মরিচের চালানগুলো ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত খালাসের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

 

তিনি আরও জানান, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের আমদানি মূল্য দশমিক ২১৫ মার্কিন ডলার (২২ সেন্ট)। টাকার অঙ্কে ২৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর প্রতি কেজির বিপরীতে কাস্টম শুল্ক দিতে হয়েছে দশমিক ৫ মার্কিন ডলার (৫০ সেন্ট), যা টাকার অঙ্কে ৩৮ টাকা ৮২ পয়সা।

 

আমদানিকারক ঊষা ট্রেডিংয়ের সিএণ্ডএফ এজেন্ট বেনাপোলের রয়েল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী  রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, আমদানি হওয়া কাঁচামরিচ তাদের রপ্তাতানিকারকরা বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করেছেন। আমদানি মূল্য ও কাস্টম শুল্ক ছাড়াও পরিবহনসহ দুই দেশের অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তাদের ২০ টনের পণ্য চালানটি ঢাকার বাজারে পৌঁছাতে আরও এক লাখ টাকার উপরে গুনতে হবে। সব মিলিয়ে ঢাকার পাইকারের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচের দাম পড়বে ১৫০-১৬০ টাকার মতো। এর সঙ্গে বাজারের টোল ও সামান্য লাভ যোগ করে পণ্য বিক্রি করবেন।

 

সীমান্তের ওপারের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর রপ্তানিকারক ফিরোজ বিশ্বাস জানান, রোববার বনগাঁর স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের পাইকারি দর ছিল ১৮০ থেকে ২০০ রুপি কেজি। আর খুচরা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩০০ রুপিতে। এদিন ভারতের নাগপুরে কেজি প্রতি পাইকারি দর ছিল ৮০ রুপি।

 

প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ঘাটতি ও উচ্চমূল্য ঠেকাতে ভারত থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলায় কৃষকদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

বেনাপোল বন্দর দিয়ে এলো ৪৫ টন কাঁচা মরিচ

প্রকাশ : ০৭:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে।

 

রোববার বিকেলে ছয়টি ট্রাকে বেনাপোল বন্দরে এসব কাঁচা মরিচ প্রবেশ করে। ঢাকা ও খুলনার তিনটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব কাঁচা মরিচ নিয়ে আসে। কাঁচা মরিচের ওই তিনটি চালান রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।

 

বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, আজ ভারত থেকে তিনটি চালানের বিপরীতে ৬ ট্রাকে ৪৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে। এগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমান্তের ওপারে আরও কয়েক ট্রাক কাঁচা মরিচ এপারে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

এদিন নিয়ে আসা কাঁচা মরিচের মধ্যে ঢাকার মেসার্স ঊষা ট্রেডিং দুই ট্রাকে ২০ মেট্রিক টন, এন এস এন্টারপ্রাইজ দুই ট্রাকে দেড় মেট্রিক টন ও খুলনার এস এম করপোরেশন দুই ট্রাকে ১০ মেট্রিক টন আমদানি করে।

 

বেনাপোল কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা কলিমুল্লাহ্ জানান, জরুরি ও পচনশীল পণ্য হওয়ায় তারা এদিন কাঁচা মরিচের চালানগুলো ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত খালাসের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

 

তিনি আরও জানান, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের আমদানি মূল্য দশমিক ২১৫ মার্কিন ডলার (২২ সেন্ট)। টাকার অঙ্কে ২৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর প্রতি কেজির বিপরীতে কাস্টম শুল্ক দিতে হয়েছে দশমিক ৫ মার্কিন ডলার (৫০ সেন্ট), যা টাকার অঙ্কে ৩৮ টাকা ৮২ পয়সা।

 

আমদানিকারক ঊষা ট্রেডিংয়ের সিএণ্ডএফ এজেন্ট বেনাপোলের রয়েল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী  রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, আমদানি হওয়া কাঁচামরিচ তাদের রপ্তাতানিকারকরা বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করেছেন। আমদানি মূল্য ও কাস্টম শুল্ক ছাড়াও পরিবহনসহ দুই দেশের অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তাদের ২০ টনের পণ্য চালানটি ঢাকার বাজারে পৌঁছাতে আরও এক লাখ টাকার উপরে গুনতে হবে। সব মিলিয়ে ঢাকার পাইকারের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচের দাম পড়বে ১৫০-১৬০ টাকার মতো। এর সঙ্গে বাজারের টোল ও সামান্য লাভ যোগ করে পণ্য বিক্রি করবেন।

 

সীমান্তের ওপারের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর রপ্তানিকারক ফিরোজ বিশ্বাস জানান, রোববার বনগাঁর স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের পাইকারি দর ছিল ১৮০ থেকে ২০০ রুপি কেজি। আর খুচরা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩০০ রুপিতে। এদিন ভারতের নাগপুরে কেজি প্রতি পাইকারি দর ছিল ৮০ রুপি।

 

প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ঘাটতি ও উচ্চমূল্য ঠেকাতে ভারত থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।