চুয়াডাঙ্গা ১০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে তালা লাগিয়ে চলে গেছে অনেকে

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের (আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর) বরাদ্ধপ্রাপ্ত ঘরে অনেকেই থাকছেন না। ওই ঘরগুলোতে ঝুলছে তালা। তবে বরাদ্দ পাওয়ার পরও যারা এসব ঘরে থাকছেন না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুনদের বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

 

দেখা গেছে, উপজেলার হাউলি ইউনিয়নে দর্শনা রেলগেটের পাশে তিনটি স্থানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ৪৫টি ঘর। এর মধ্যে ১০ নম্বর এলাকায় সাতটি, ১২ নম্বরে ১১টি ও ২৩ নম্বরে ১৬টি ঘরে বসবাস করছেন বরাদ্দপ্রাপ্ত লোকজন। বাকি ঘরগুলো রয়েছে তালাবদ্ধ। এসব ঘরের বারান্দায় বস্তায় ভরা খড়কুটো রাখা রয়েছে।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের দর্শনা রেলগেট এলাকায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের (আশ্রয়ণ প্রকল্পের) দশ নম্বরে জামেলা খাতুন, স্বপন ও জামাত আলির নামে বরাদ্দ থাকলেও সেখানে কেউ বসবাস করেন না। একইভাবে ১২ নম্বরে ফুট্টুরি খাতুন ও ২৩ নম্বরে হাসিনা খাতুন, তানজিরা খাতুন, নবীছদ্দীন, ইমতিয়াজ, হাচিনা খাতুনসহ অজ্ঞাত দুজন ঘরে বসবাস করেন না। বরাদ্দ পাওয়ার পর প্রথমদিকে সকলেই ঘরে উঠলেও কিছুদিন থাকার পর তারা ঘরে তালা লাগিয়ে ঘর ছেড়ে চলে গেছেন।এখানে বসবাসকারীরা জানান, যারা চলে গেছেন তাদের কম-বেশি জমিজমা আছে। এ ছাড়াও এখানে কাজকর্ম করার মতো সুযোগ-সুবিধা নেই। যারা চলে গেছেন তারা ওইখানে কিছুদিন থেকে ঘর অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার আশায় ছিল।

 

কিন্তু ওই ঘর বিক্রির কোনো সুযোগ না থাকায় পরে তারা ঘর ছেড়ে চলে গেছেন। তারা এও বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের ত্রæটির কারনে সামান্য জমা-জমি থাকা এমন ব্যক্তি ঘর পেয়েছিল তারা চলে গেছে। ২৩ নম্বরের বসবাসকারীরা বলেন, তাদের এখানে ২৩ ঘরের জন্য দুটি টিউবয়েলের মধ্যে একটি নষ্ট হয়ে আছে। অপরটি সোমবার রাতে চুরি হয়ে যায়। এ কারণে তাদের পানির সমস্যা হচ্ছে। অপরদিকে, এখানে জসিম নামে একজন মাদক কারবারি বসবাস করায় তাদের সমস্যা হচ্ছে। প্রায় সময় পুলিশ এসে তাকে খোঁজাখুঁজি করে।

 

তাকে চিনতে না পেরে অন্যদেরকে হয়রানী করা হয়।দামুড়হুদার হাউলি ইউপির সদস্য এদের দেখাশোনা করার দায়িত্বে থাকা রিকাত আলি বলেন, তিনি এখানে বসবাসকারীদের দেখাশোনা করেন। এখান থেকে কয়েকজন চলে গেছে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। মাদক কারবারি জসিমের বিষয়ে তিনি বলেন, জসিম প্রকল্পে থাকা এক নারীকে বিয়ে করে মাদক কারবার করায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তার কারণে এখানে বসবাসকারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, অনেকে এখানে থাকেন না শুনেছি। তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সত্যতা মিললে তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুন উপকারভোগীদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলায় কৃষকদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

দামুড়হুদায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে তালা লাগিয়ে চলে গেছে অনেকে

প্রকাশ : ০২:১২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের (আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর) বরাদ্ধপ্রাপ্ত ঘরে অনেকেই থাকছেন না। ওই ঘরগুলোতে ঝুলছে তালা। তবে বরাদ্দ পাওয়ার পরও যারা এসব ঘরে থাকছেন না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুনদের বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

 

দেখা গেছে, উপজেলার হাউলি ইউনিয়নে দর্শনা রেলগেটের পাশে তিনটি স্থানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ৪৫টি ঘর। এর মধ্যে ১০ নম্বর এলাকায় সাতটি, ১২ নম্বরে ১১টি ও ২৩ নম্বরে ১৬টি ঘরে বসবাস করছেন বরাদ্দপ্রাপ্ত লোকজন। বাকি ঘরগুলো রয়েছে তালাবদ্ধ। এসব ঘরের বারান্দায় বস্তায় ভরা খড়কুটো রাখা রয়েছে।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের দর্শনা রেলগেট এলাকায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের (আশ্রয়ণ প্রকল্পের) দশ নম্বরে জামেলা খাতুন, স্বপন ও জামাত আলির নামে বরাদ্দ থাকলেও সেখানে কেউ বসবাস করেন না। একইভাবে ১২ নম্বরে ফুট্টুরি খাতুন ও ২৩ নম্বরে হাসিনা খাতুন, তানজিরা খাতুন, নবীছদ্দীন, ইমতিয়াজ, হাচিনা খাতুনসহ অজ্ঞাত দুজন ঘরে বসবাস করেন না। বরাদ্দ পাওয়ার পর প্রথমদিকে সকলেই ঘরে উঠলেও কিছুদিন থাকার পর তারা ঘরে তালা লাগিয়ে ঘর ছেড়ে চলে গেছেন।এখানে বসবাসকারীরা জানান, যারা চলে গেছেন তাদের কম-বেশি জমিজমা আছে। এ ছাড়াও এখানে কাজকর্ম করার মতো সুযোগ-সুবিধা নেই। যারা চলে গেছেন তারা ওইখানে কিছুদিন থেকে ঘর অন্যের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার আশায় ছিল।

 

কিন্তু ওই ঘর বিক্রির কোনো সুযোগ না থাকায় পরে তারা ঘর ছেড়ে চলে গেছেন। তারা এও বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের ত্রæটির কারনে সামান্য জমা-জমি থাকা এমন ব্যক্তি ঘর পেয়েছিল তারা চলে গেছে। ২৩ নম্বরের বসবাসকারীরা বলেন, তাদের এখানে ২৩ ঘরের জন্য দুটি টিউবয়েলের মধ্যে একটি নষ্ট হয়ে আছে। অপরটি সোমবার রাতে চুরি হয়ে যায়। এ কারণে তাদের পানির সমস্যা হচ্ছে। অপরদিকে, এখানে জসিম নামে একজন মাদক কারবারি বসবাস করায় তাদের সমস্যা হচ্ছে। প্রায় সময় পুলিশ এসে তাকে খোঁজাখুঁজি করে।

 

তাকে চিনতে না পেরে অন্যদেরকে হয়রানী করা হয়।দামুড়হুদার হাউলি ইউপির সদস্য এদের দেখাশোনা করার দায়িত্বে থাকা রিকাত আলি বলেন, তিনি এখানে বসবাসকারীদের দেখাশোনা করেন। এখান থেকে কয়েকজন চলে গেছে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। মাদক কারবারি জসিমের বিষয়ে তিনি বলেন, জসিম প্রকল্পে থাকা এক নারীকে বিয়ে করে মাদক কারবার করায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তার কারণে এখানে বসবাসকারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, অনেকে এখানে থাকেন না শুনেছি। তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সত্যতা মিললে তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুন উপকারভোগীদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হবে।