ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র আন্দোলন হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে তারা প্রথমবারের মতো, দক্ষিণ ইসরায়েলে আশদোদ নৌ ঘাঁটিতে এক ঝাঁক ড্রোনসহ বিমান হামলা শুরু করেছে।
পরে আরেক বিবৃতিতে তারা জানায়, তেল আবিবের এক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যারেজ এবং ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
এএফপির সাথে যোগাযোগ করা হলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী নির্দিষ্ট হামলার দাবির বিষয়ে মন্তব্য করেনি। তবে টাইমস অব ইসরাইল প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন ইসরাইলি এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। পেটাহ টিকভাতে রকেটের আঘাতে কয়েকটি গাড়িতে আগুন লেগে যায়। এছাড়া ভারী আক্রমণে হাইফায় আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।রকেটের আঘাতে উত্তরাঞ্চলীয় শহর মা’লোত-তারশিহার একটি কারখানারও ক্ষতি হয়েছে। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে যে সব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামলার আগে তেল আবিব শহরতলিসহ মধ্য ও উত্তর ইসরাইলের বেশ কয়েকটি স্থানে বিমান হামলার সাইরেন বাজছিল।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী পরে এএফপিকে বলেছে, হিজবুল্লাহ নিক্ষেপ করা প্রায় ২৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র লেবানন থেকে ইসরাইলে প্রবেশ করেছে, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হয়।
সামরিক বাহিনী বলেছে, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে কমপক্ষে এ পর্যন্ত হিজবুল্লাহ ৩৫০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। মেডিকেল এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, ইসরাইলে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে একজন মাঝারি থেকে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।
২০২৩ সালের ৮ অক্টোব থেকে, হিজবুল্লাহর নেতৃত্বাধীন বাহিনী প্রায়-দৈনিক সীমান্তে ইসরাইলি সম্প্রদায় এবং সামরিক পোস্টগুলোতে আক্রমণ করেছে। তাদের দাবি, গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এই হামলা।
হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পরপরই, হিজবুল্লাহর একই ধরনের হামলা ভয়ে লেবানন সীমান্তের উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলো থেকে প্রায় ৬০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে ইসরাইল। সে সব বাস্তচ্যুত বাসিন্দাদের এখনো ঘরে ফেরাতে পারেনি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার।