হাতিয়ায় জমির সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আজিমা খাতুন নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ফরহাদ, সাহাব উদ্দিন ও বাবুলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে হাতিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চরবগুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় আজিমা খাতুন ও তার ভাই রিয়াল হাছানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রবাসীর স্ত্রী আজিমা খাতুনের সাথে প্রতিবেশী ফরহাদ উদ্দিনের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। প্রতিবেশীরা বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করত। চাঁদা না পেয়ে কয়েকবার জমি দখলের চেষ্টা, গাছপালা কেটে ফেলা, পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া সহ নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। ঘটনার দিন সকালে আজিমা খাতুন তার বসতঘরের পাশে সীমানা প্রাচীর করার সময় আসামিগণ অতর্কিতে হামলা শুরু করে। হামলায় আজিমা খাতুনকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয় এবং রড় দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় তার ভাই তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন, চরকিং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চরবগুলা গ্রামের সফিয়ল আলামের ছেলে ফরহাদ উদ্দিন (৪০), ইমান আলীর ছেলে সাহাব উদ্দিন (৫৫) মৃত আমিরুল হকের ছেলে আবু তৈয়ব বাবুল (৪৫)।
আজিমা খাতুন বলেন, আমরা বাড়ির সীমানা প্রাচীর করার জন্য ইট বালু এনে রাখলে তাদের চোখে পড়ে। তখন তারা আমার কাছে চাঁদা চেয়ে মোবাইল ফোন দেয়। আমি টাকা পয়সা দিতে অস্বীকার করলে সকালে তারা আমার রাজমিস্ত্রি কাজে বাধা দেয়। এসময় আমি ঘর থেকে বের হলে তারা অতর্কিত দা দিয়ে কুপিয়ে আমার মাথায় জখম করে এবং রড দিয়ে আমাকে আঘাত করতে থাকে। আমার চিৎকারে আমার ভাই এগিয়ে আসলে তারা আমার ভাইকেও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
আহত রিয়াল হাসান বলেন, আমরা যাতে থানায় মামলা না করি এজন্য আসামি ফরহাদ আমাকে হুমকি দেয়। এমন কি স্থানীয় ব্রিজ বাজারে আমার কাপড় দোকানটি লুট করার হুমকি দিচ্ছে।
হাতিয়া থানা ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী আজিমা খাতুনের অভিযোগটি পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/একেবি