অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে নানা রোগে ভুগতে পারেন। সুস্থ থাকতে ওজনের প্রতি নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। তাই নিজেকে ফিট রাখতে অনেকেই ওজন কমাতে চেষ্টা করে। সে চেষ্টার রেশ ধরেই খাদ্যতালিকায় আসে পরিবর্তন। অনেকেই ডায়েট চার্টের একটি বড় অংশজুড়ে রাখেন শসা। অনেকেই ওজন কমাতে শসার ওপর ভরসা রাখেন। সত্যি কি শসা খেলে ওজন করে? যদি তাই হয় তাহলে কীভাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ।হেলথলাইনের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত উঠে এসেছে।
ওজন কমাতে শসা
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে শসা দারুণ উপকারী। এক কাপ শসায় ক্যালরির পরিমাণ মাত্র ১৬ গ্রাম। অর্থাৎ এর ‘এনার্জি ডেনসিটি’ কম। আর ‘এনার্জি ডেনসিটি’ কম এমন খাবার খাওয়ার সঙ্গে ওজন কমার গভীর সম্পর্ক আছে। শসায় পানির মাত্রা বেশি হওয়ায় তা খেলে পেট ভরা থাকার অনুভূতি থাকে, ফলে খাওয়াও কম হয়।
এ ছাড়াও এতে থাকা কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে বাড়ে বিপাকের হার। সেই সুবাদেও ঝটপট মেদ কমে যেতে সময় লাগে না। তাই আপনার ওয়েট লস ডায়েটে অবশ্যই শসাকে জায়গা দিন। তাতেই উপকার মিলবে।বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী, কেবল ওজন কমানো নয়, ত্বকের জেল্লা বাড়াতে এবং দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে ডায়েটের তালিকায় শসার জুড়ি নেই। তবে শুধু ওজন কমাতে কিউকাম্বার ডায়েটই নয়, সুগার নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও শসার উপকারিতা অনেক। এজন্য প্রত্যেক বেলা খাবারে রাখতে হবে শসা।
পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শসা
শসায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। সেই সঙ্গে এতে আছে ফাইবার। এ ছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার শসা। যে কারণে নিয়মিত শসা খেলে দেহে প্রদাহ কমে। দূরে থাকে একাধিক জটিল অসুখও।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ
ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে হলে খাদ্যাভ্যাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিশেষ করে যে খাবারগুলোয় ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান কম সেসব খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। শসার ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান কম, মাত্র ১৫। এমন খাবার খেলে ‘ইন্সুলিন রেজিস্ট্যান্স’ কমে, যা পক্ষান্তরে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায়
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করার কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে শসাও অত্যন্ত উপকারী। শসার ৯৫ শতাংশই পানি। ফলে খেতে কচকচে হলেও আসলে যেন পানিই খাচ্ছেন। এতে দৈনিক তরলের চাহিদার কিছু অংশ যেমন পূরণ হবে তেমনি তা শরীরের দৈনন্দিন কার্যাবলিতে সহজাতভাবে সক্রিয় রাখতেও সাহায্য করবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
পানির পাশাপাশি শসায় ভোজ্য আঁশও থাকে প্রচুর পরিমাণে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও শসা উপকারী। শসার বীজ মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে।