চুয়াডাঙ্গা ০২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম আদালতের ক্লার্ক অফিসের নথিপত্রে আগুন

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বহনকারী প্রিজনভ্যান আটকে বিক্ষোভের সময় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের সদস্যদের (ইসকন) সহায়তা করার অভিযোগে চট্টগ্রাম আদালতের ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের অফিসের (মুন্সি সমিতি) নথিপত্রে আগুন দিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ।

 

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতের প্রবেশ মুখে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার উল্টো পাশে অবস্থিত ওই সমিতিতে এ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

 

বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের অভিযোগ– মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর ইসকন সদস্যরা তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ করেন। এসময় মুন্সি সমিতির সদস্যরা নিজেদের পোশাক এবং খাবার পানি বিক্ষোভকারীদের সরবরাহ করেছেন। এছাড়াও তারা উসকানিমূলক বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন।

 

ফিরোজুল ইসলাম তালুকদার নামে এক বিক্ষুব্ধ আইনজীবী বলেন, ‘এখান থেকে গতকাল মুন্সির পোশাক পরে গিয়ে ইসকনকে সাপোর্ট করেছে। তারা আইনজীবীদের অংশ। তারা তো এটা করতে পারে না। সাধারণ আইনজীবীরা এ নিয়ে ক্ষুব্ধ।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘মুন্সিখানার নাম দিয়ে এখানে সব অপকর্ম করা হয়। প্রায় ১৮শ চেম্বার আছে আদালতে। তারা চেম্বারে না গিয়ে এখানে বসে থাকে। সকালে তাদের ফোন করে স্যার বলে বলে চেম্বারে নিতে হয়। আমরা চেম্বারে যাই ৯টায়, তারা সাহেবের মতো ১০টা নইলে ১২টার দিকে আসে।’

 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আদালতের মুন্সি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিপন কান্তি নাথ বলেন, ‘আমাদের নথি, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, ডিপিএসের কাগজপত্র, সমিতির সদস্যদের হিসাবের বই, আলমারি ভেঙে বের করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সমিতিতে গতকাল কোনো বহিরাগত ঢোকেনি। আমাদের সংগঠনে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান– সবাই আছে।’

 

তিনি বলেন, ‘সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও গতকাল আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আমি গতকালের কোনো কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। এখন আমরা চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’

সুত্র আলোকিত বাংলাদেশ

Powered by WooCommerce

চট্টগ্রাম আদালতের ক্লার্ক অফিসের নথিপত্রে আগুন

আপডেটঃ ০৪:২১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বহনকারী প্রিজনভ্যান আটকে বিক্ষোভের সময় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের সদস্যদের (ইসকন) সহায়তা করার অভিযোগে চট্টগ্রাম আদালতের ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের অফিসের (মুন্সি সমিতি) নথিপত্রে আগুন দিয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ।

 

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতের প্রবেশ মুখে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার উল্টো পাশে অবস্থিত ওই সমিতিতে এ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

 

বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের অভিযোগ– মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর ইসকন সদস্যরা তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ করেন। এসময় মুন্সি সমিতির সদস্যরা নিজেদের পোশাক এবং খাবার পানি বিক্ষোভকারীদের সরবরাহ করেছেন। এছাড়াও তারা উসকানিমূলক বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন।

 

ফিরোজুল ইসলাম তালুকদার নামে এক বিক্ষুব্ধ আইনজীবী বলেন, ‘এখান থেকে গতকাল মুন্সির পোশাক পরে গিয়ে ইসকনকে সাপোর্ট করেছে। তারা আইনজীবীদের অংশ। তারা তো এটা করতে পারে না। সাধারণ আইনজীবীরা এ নিয়ে ক্ষুব্ধ।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘মুন্সিখানার নাম দিয়ে এখানে সব অপকর্ম করা হয়। প্রায় ১৮শ চেম্বার আছে আদালতে। তারা চেম্বারে না গিয়ে এখানে বসে থাকে। সকালে তাদের ফোন করে স্যার বলে বলে চেম্বারে নিতে হয়। আমরা চেম্বারে যাই ৯টায়, তারা সাহেবের মতো ১০টা নইলে ১২টার দিকে আসে।’

 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আদালতের মুন্সি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিপন কান্তি নাথ বলেন, ‘আমাদের নথি, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, ডিপিএসের কাগজপত্র, সমিতির সদস্যদের হিসাবের বই, আলমারি ভেঙে বের করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সমিতিতে গতকাল কোনো বহিরাগত ঢোকেনি। আমাদের সংগঠনে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান– সবাই আছে।’

 

তিনি বলেন, ‘সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও গতকাল আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আমি গতকালের কোনো কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। এখন আমরা চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’

সুত্র আলোকিত বাংলাদেশ