ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকে ঠাসা থাকবে। ভ্রমণপিপাসুদের সংখ্যা অন্তত হাজার ছাড়িয় যাবে। সেই ধারণায় আগাম প্রস্তুতিও ছিল বনবিভাগের। কিন্তু ঈদের দিনে আসেনি তেমন পর্যটক।
শনিবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মাত্র শ’ খানেক পর্যটক এসেছে সুন্দরবন ভ্রমণে। সুন্দরবনে করমজল পর্যটন স্পটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় হবে, তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে করমজলসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ব্যাপকভাবে সাজানো হয়। বিনোদনের জন্য নতুন করে কিছু স্থাপনাও তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটকরা আসেনি। প্রচণ্ড গরম এ কারণে হয়তো তারা আসেনি। তবে আগামীকাল থেকে পর্যটক বেশি হবে, আশা করেন তিনি।
যে ক’জন পর্যটক করমজলে এসেছে তারা সবাই মোংলার স্থানীয় এবং সুন্দরবনে আশপাশের। ৫ থেকে ৭টি ট্রলারে করে প্রায় ১০০ জন পর্যটক এসেছে এখানে। দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকারা আসেনি, তারা কাল থেকে আসবে বলে জানান বন কর্মকর্তা আজাদ কবির।
এদিকে সুন্দরবনের আরেক পর্যটন স্পট হারবাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজমের অবস্থা আরও শোচনীয়। সেখানে একজন পর্যটকও আসেনি। এখানকার কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, ‘ঈদের প্রথম দিনে সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাই পর্যটক আসেনি। তবে কাল থেকে পর্যটক বাড়বে।’
ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী আরালসি কোম্পানির মালিক মোঃ নান্টু বলেন, ঈদের ছুটি উপলক্ষ্যে তার লঞ্চে পর্যটক আসবে ২৪ তারিখ থেকে। আগাম বুকিং দেওয়া ৫৬ জন পর্যটক সুন্দরবনের কটক কচিখালী যাবেন। তবে আজ কেউ আসেনি।