চুয়াডাঙ্গা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে সশস্ত্র দাঙ্গায় ২১ জন নিহত


পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রশাসনের উপস্থিতিতেই পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সশস্ত্র দাঙ্গায় ২১ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে অঞ্চলটিতে হামলা করে সশস্ত্র একটি সংগঠনের সদস্যরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) যাত্রীবাহী গাড়িতে সশস্ত্র হামলায় ৪৩ জন নিহত হন। এই হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে।

প্রদেশের আইনমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি, মুখ্যসচিব এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অঞ্চলটিতে অবস্থান করা অবস্থায়ই এই দাঙ্গার ঘটনা ঘটল।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানান, সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বেশ কয়েকটি ভবন ও বাজারে লুটপাট চালায়। এ ছাড়া পুলিশ চেকপোস্টে আগুন ধরিয়ে দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। পুরোপুরি নৈরাজ্য চালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।’

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, জেলার পারাচিনার এলাকা থেকে কুররাম অঞ্চলের বাগান বাজারে একটি সশস্ত্র দল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গভীর রাতে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় বিরোধী দুই দলের মধ্যে ভারী গোলাবর্ষণও হয়। এই ঘটনায় ৩০ জন আহত হন। এই গোলাগুলি চলে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।

উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, কুররামের উঁচু এলাকায়ও থেকে থেকে গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হয়নি।

এ ছাড়া সংঘর্ষে সম্পৃক্ত সশস্ত্র দলগুলো বেসামরিক নারী ও শিশুসহ অনেককেই বন্দি করেছে। তারা লাশগুলোও হস্তান্তর করছে না বলে জানান কর্মকর্তারা।

প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলি আসিফ জানান, বন্দিদের ছাড়িয়ে আনা ও লাশ উদ্ধারে আলোচনা চলছে। হামলার পর এলাকার বাসিন্দারা বাসস্থান ছেড়ে পার্শ্ববর্তী থাল ও হাঙ্গু গ্রামে পালিয়ে গেছেন।

এদিকে আইনমন্ত্রী আফতাব আলি আফ্রিদি, পুলিশপ্রধান আখতার হায়াত খানসহ বেশকিছু উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা হেলিকপ্টারে ঘটনাস্থলে আসার পথে তাদের হেলিকপ্টারটিতেও গুলি করা হয় বলে দাবি করেছে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

তবে এটি অস্বীকার করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘হেলিকপ্টারে কোনো হামলা হয়নি। আমি এবং আমার সহযাত্রীরা নিরাপদে আছি।’

এদিকে প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘চলমান সহিংসতা কাটাতে প্রাদেশিক সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কুররামের পরিস্থিতির দিকে আমি নিজে লক্ষ্য রাখছি। সূত্র: দ্য ডন



সুত্র লিংক

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে সশস্ত্র দাঙ্গায় ২১ জন নিহত

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

পাকিস্তানে সশস্ত্র দাঙ্গায় ২১ জন নিহত

প্রকাশ : ০৭:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪


পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রশাসনের উপস্থিতিতেই পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সশস্ত্র দাঙ্গায় ২১ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে অঞ্চলটিতে হামলা করে সশস্ত্র একটি সংগঠনের সদস্যরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) যাত্রীবাহী গাড়িতে সশস্ত্র হামলায় ৪৩ জন নিহত হন। এই হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে।

প্রদেশের আইনমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি, মুখ্যসচিব এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অঞ্চলটিতে অবস্থান করা অবস্থায়ই এই দাঙ্গার ঘটনা ঘটল।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানান, সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বেশ কয়েকটি ভবন ও বাজারে লুটপাট চালায়। এ ছাড়া পুলিশ চেকপোস্টে আগুন ধরিয়ে দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। পুরোপুরি নৈরাজ্য চালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।’

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, জেলার পারাচিনার এলাকা থেকে কুররাম অঞ্চলের বাগান বাজারে একটি সশস্ত্র দল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গভীর রাতে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় বিরোধী দুই দলের মধ্যে ভারী গোলাবর্ষণও হয়। এই ঘটনায় ৩০ জন আহত হন। এই গোলাগুলি চলে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।

উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, কুররামের উঁচু এলাকায়ও থেকে থেকে গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হয়নি।

এ ছাড়া সংঘর্ষে সম্পৃক্ত সশস্ত্র দলগুলো বেসামরিক নারী ও শিশুসহ অনেককেই বন্দি করেছে। তারা লাশগুলোও হস্তান্তর করছে না বলে জানান কর্মকর্তারা।

প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলি আসিফ জানান, বন্দিদের ছাড়িয়ে আনা ও লাশ উদ্ধারে আলোচনা চলছে। হামলার পর এলাকার বাসিন্দারা বাসস্থান ছেড়ে পার্শ্ববর্তী থাল ও হাঙ্গু গ্রামে পালিয়ে গেছেন।

এদিকে আইনমন্ত্রী আফতাব আলি আফ্রিদি, পুলিশপ্রধান আখতার হায়াত খানসহ বেশকিছু উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা হেলিকপ্টারে ঘটনাস্থলে আসার পথে তাদের হেলিকপ্টারটিতেও গুলি করা হয় বলে দাবি করেছে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

তবে এটি অস্বীকার করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘হেলিকপ্টারে কোনো হামলা হয়নি। আমি এবং আমার সহযাত্রীরা নিরাপদে আছি।’

এদিকে প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘চলমান সহিংসতা কাটাতে প্রাদেশিক সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কুররামের পরিস্থিতির দিকে আমি নিজে লক্ষ্য রাখছি। সূত্র: দ্য ডন



সুত্র লিংক