দামুড়হুদার আটকবর মোড়ে পূর্ব শক্রতার জেরে ধরে দুজন কে কুপিয়ে ও মারপিট করে জখম করা হয়েছে। জখমকৃতরা হলো বোয়ালমারী গ্রামের মৃত মোজাম্মেল মন্ডলের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪৫) ও জগনাথপুর গ্রামের ইরশাদ আলীর ছেলে ইমরান হোসেন(২১)। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার আটকবর মোড়ের ব্রীজের নিকট এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে রাতে দামুড়হুদা মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলে জানাগেছে।
লিখিত এজাহার ও ঘটনাসূত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের জগনাথপুর গ্রামের ইনজেলের ছেলে হাবিবুর রহমান গংদের সাথে বোয়ালমারী গ্রামের মৃত মোজাম্মেল মন্ডলের ছেলে জিয়াউর রহমানের দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ করে আসছিলো। এরই জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জিয়াউর রহমান (৪৫) ও ভাগ্নে মোঃ ইমরান হোসেন (২১) মোটরসাইকেল যোগে জগন্নাথপুর গ্রাম থেকে বোয়ালমারী যাবার পথে আটকবর মোড়ে ব্রীজের উপর পৌছুলে পূর্ব শত্রুতার জেরে হাবিবুর রহমান গং তাদের উপর ধারালো অস্ত্র হাসুয়া, ধারালো দাঁ, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা করে। এসময় ধারালো অস্ত্রের কোপো জিয়াউর রহমানের মাথার মাঝে ও ডান কানের উপর কেটে গিয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। ইমরান হোসেন তার মামাকে হাবিবুর গংদের হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে জখম করে। ওই সময় ইমরান কে মারপিট করে জখম করে তার কাছে থাকা নগদ ২লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন ১নং আসামী হাবিবুর রহমান। জখমকৃতরা ডাক চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জিয়াউর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রের্ফাড করে এবং ইমরানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থকে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে হাবিবুর রহমান কে ১নং আসামী সহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২/৩জনের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন জিয়াউর রহমানের ভাই আমিরুল ইসলাম।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#####