চুয়াডাঙ্গা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
‘পেশা যার, মন্ত্রণালয় তার’ বাস্তবায়নে অভিন্ন ‘সেন্ট্রাল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস’ এর দাবি বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদ-এর হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ Habiganj DC Office Job 2025 কোনো মহল ফ্যাসিবাদের তোষণ করলে জনগণ ক্ষমা করবে না: নাহিদ সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ২ দিনের রিমান্ডে সব সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিল আওয়ামী লীগ ৩১ দফা কেবল দেশ ও দেশের মানুষের জন্য: তারেক রহমান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি PLC Job Circular 2025 ছয় মাস না যেতে আ.লীগ কীভাবে কর্মসূচি দেয়? যে কোনো মূল্যে মানুষের আস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি BREB Job Circular 2025

মেহেরপুরে দুই ভাই হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামে দুই ভাই রফিকুল ও  আবুজেলের হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার ( ২ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট কাজী শহীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

 

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের কিয়ামত আলীর ছেলে হালিম, আছেল হালসানের ছেলে আতিবার, মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জালাল উদ্দিন, নজীর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, দাবির উদ্দিনের ছেলে শরিফ উদ্দিন, নবীর উদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন, আফুল উদ্দিনের ছেলে আজিজুল হক,  মৃত দবীরউদ্দিনের ছেলে ফরিদ হোসেন এবং মুনছারের ছেলে মনি।

এদিকে রায় ঘোষণার পর  দণ্ডপ্রাপ্ত স্বজনদের আহাজারিতে আদালত প্রাঙ্গণ ভারী হয়ে ওঠে।

 

আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৬ জুন গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামে দুই ভাই রফিকুল ও  আবুজেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতদের বোন জরিনা বেগম বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচারক ঘটনার তদন্ত এবং ১৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৯ জনের ফাঁসির আদেশ দেন।

মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গাংনী থানার এস আই আসাদুজ্জামান।

 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এপিপি কাজী শহীদ জানান, এটা একটা লমহর্ষ ঘটনা। ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। ন্যায় বিচারে আদালত ৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে। এ ধরনের রায় একটা মাইল ফলক হয়ে থাকবে। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।

 

আসামিপক্ষে অ্যাড. একেএম শফিকুল আলম জানান, আমরা এ রায়ে অসন্তুষ্ট এবং ক্ষুব্ধ।  আমরা সঠিক বিচার পাইনি। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

avashnews

‘পেশা যার, মন্ত্রণালয় তার’ বাস্তবায়নে অভিন্ন ‘সেন্ট্রাল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস’ এর দাবি বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদ-এর

avashnews

Powered by WooCommerce

মেহেরপুরে দুই ভাই হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেটঃ ০৫:২৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামে দুই ভাই রফিকুল ও  আবুজেলের হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার ( ২ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট কাজী শহীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

 

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের কিয়ামত আলীর ছেলে হালিম, আছেল হালসানের ছেলে আতিবার, মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জালাল উদ্দিন, নজীর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, দাবির উদ্দিনের ছেলে শরিফ উদ্দিন, নবীর উদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন, আফুল উদ্দিনের ছেলে আজিজুল হক,  মৃত দবীরউদ্দিনের ছেলে ফরিদ হোসেন এবং মুনছারের ছেলে মনি।

এদিকে রায় ঘোষণার পর  দণ্ডপ্রাপ্ত স্বজনদের আহাজারিতে আদালত প্রাঙ্গণ ভারী হয়ে ওঠে।

 

আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৬ জুন গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামে দুই ভাই রফিকুল ও  আবুজেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতদের বোন জরিনা বেগম বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচারক ঘটনার তদন্ত এবং ১৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৯ জনের ফাঁসির আদেশ দেন।

মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গাংনী থানার এস আই আসাদুজ্জামান।

 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এপিপি কাজী শহীদ জানান, এটা একটা লমহর্ষ ঘটনা। ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। ন্যায় বিচারে আদালত ৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে। এ ধরনের রায় একটা মাইল ফলক হয়ে থাকবে। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।

 

আসামিপক্ষে অ্যাড. একেএম শফিকুল আলম জানান, আমরা এ রায়ে অসন্তুষ্ট এবং ক্ষুব্ধ।  আমরা সঠিক বিচার পাইনি। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।