ভারতের কাছে ১১৭ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের কাছে এমএইচ-৬০ আর মাল্টি-মিশন হেলিকপ্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার কংগ্রেসকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংস্থা জানিয়েছে, এমএইচ-৬০ আর মাল্টি-মিশন হেলিকপ্টার ভারতের সাবমেরিন যুদ্ধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের হুমকি প্রতিরোধে সহায়ক হবে।
ডিএসসিএ আরও জানিয়েছে, বিদায়বেলায় বাইডেনের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে। ইন্দো-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্তি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নির্মাতাদের মতে, এমএইচ-৬০ আর মাল্টি-মিশন হেলিকপ্টার সাবমেরিন ও পৃষ্ঠতলের যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। উন্নত ডিজিটাল সেন্সর, মাল্টি-মোড রাডার, ইলেকট্রনিক সাপোর্ট সিস্টেম ও ইলেকট্রো-অপটিক্যাল বা ইনফ্রারেড ক্যামেরাযুক্ত এই হেলিকপ্টারটি সমুদ্রপৃষ্ঠ ও জলের তলের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ধারণ করতে সক্ষম। এ ছাড়া গোপনে জাহাজ বা সাবমেরিন চিহ্নিত করে আক্রমণ করার জন্য কার্যকরী অস্ত্র যেমন- টর্পেডো, ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট এবং বন্দুক এই হেলিকপ্টারে মজুত করে রাখা যাবে।
এই চুক্তিতে ডেটা ট্রান্সফার সিস্টেম, ফুয়েল ট্যাংক, ইনফ্রারেড সিস্টেম, অপারেটর ইন্টারফেস, মজুত সরঞ্জাম, মুনিশন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রযুক্তি সহায়তাও সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তির অংশ হিসাবে লকহিড মার্টিন রোটারি অ্যান্ড মিশন সিস্টেমস নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভারতকে সার্বিক সহায়তা দেবে। এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২৫ জন প্রতিনিধি নয়তো ২০ জন সরকারি কর্মকর্তা ভারতে সফর করবেন। তারা ভারতে অবস্থান করে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও ব্যবস্থাপনা তদারকি করবেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৩৩০টিরও বেশি এমএইচ-৬০ আর হেলিকপ্টার সক্রিয় রয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনী ছাড়াও এই হেলিকপ্টার ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, সেৌদি আরব এবং ভারতের নেৌবাহিনীতে ব্যবহূত হচ্ছে। অনুসন্ধান, উদ্ধার, চিকিত্সার জন্য দ্রুত পরিবহণ, কমান্ডো, কন্ট্রোল ও রসদ পরিবহণেও এই হেলিকপ্টারটি বহুলভাবে ব্যবহূত হয়। এমএইচ-৬০ আর হেলিকপ্টারগুলো ভারতীয় চাহিদা অনুযায়ী বিশেষভাবে কাস্টমাইজড করা হয়েছে। লকহিড মার্টিন এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নে ভারতীয় সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের সঙ্গে কাজ করবে।