চুয়াডাঙ্গা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DC Office Job Circular 2025 ৮ ফেব্রুয়ারি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ হবে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নিয়োগ CS Munshiganj Job circular 2025 রমজানকে আয়ের মাস মনে করে ব্যবসায়ীরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীতে আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে পালাক্রমে সারারাত ধর্ষণ বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি BBAL Job Circular 2025 যারা আ.লীগের লিফলেট বিতরণ করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে : প্রেস সচিব রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি RMMC Job Circular 2025 রেললাইন থেকে জনগণই তুলে দেবে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

চট্টগ্রাম বন্দর জঞ্জালমুক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ নৌ উপদেষ্টার

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও শেডে পড়ে থাকা পণ্য পুরোপুরি খালাস না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

 

গত অক্টোবরে পরিদর্শনে এসে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরকে জঞ্জালমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শেডে থাকা গাড়ি এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্ক্র্যাপগুলো নিলামের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন নৌ উপদেষ্টা। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও শেড পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে উপদেষ্টা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

 

পণ্য নিলামের গতি মন্থর হওয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখানে তিন মাস আগে আমি প্রথম যখন আসলাম, যা দেখলাম মোটামুটি সে অবস্থাতেই আছে। কিছু হয়ত কমেছে। কিন্তু আরও কিছু কমাতে পারত, এটি গতি নয়। এই স্পিডে করলে আরও তিন বছরেও শেষ হবে না। আমি এনবিআরকে অনুরোধ করেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিলাম শেষ করতে।

 

তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্টরা আমার কাছ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। এর মধ্যে যদি নিলাম কর্মকাণ্ড শেষ না হয়, তাহলে বন্দর চেয়ারম্যানকে বলেছি অ্যাকশনে যেতে। এসময় নৌ উপদেষ্টা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ট্রাক শ্রমিকরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ জানান উপদেষ্টাকে। তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

 

এরপর এম সাখাওয়াত হোসেন কার অকশন শেডে গিয়ে সেখানে পড়ে থাকা গাড়ির নিলাম কার্যক্রম গতিশীল না হওয়ায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্দরে যদি এরকম বছরের পর বছর জিনিস পড়ে থাকে, তাহলে অনিয়ম হবেই। তাই সব অনিয়ম খুঁজে বের করতে হবে। পোর্ট-এক্সপোর্ট যদি সময়মতো না করা যায় তাহলে পোর্টে যথেষ্ট স্পেস থাকবে না।

 

রিট ও আইনি জটিলতায় যেসব ক্ষেত্রে নিলাম কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে তা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দেন নৌ উপদেষ্টা। এসময় দায়িত্বরত কাস্টমস কর্মকর্তা মারুফুর রহমান বলেন, আমাদের প্রায় ১৯৫টা রিট মামলা রয়েছে। এগুলো খালাস করতে গেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। না হলে খালাস করা যাবে না। অন্য ক্ষেত্রে ১৮৬টি গাড়ি আছে, যাতে রিট মামলার সংশ্লিষ্টতা নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নেব।

সুত্র বার্তাবাজার

জনপ্রিয়
avashnews

ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

avashnews

Powered by WooCommerce

চট্টগ্রাম বন্দর জঞ্জালমুক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ নৌ উপদেষ্টার

আপডেটঃ ১০:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও শেডে পড়ে থাকা পণ্য পুরোপুরি খালাস না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

 

গত অক্টোবরে পরিদর্শনে এসে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরকে জঞ্জালমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শেডে থাকা গাড়ি এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্ক্র্যাপগুলো নিলামের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন নৌ উপদেষ্টা। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও শেড পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে উপদেষ্টা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

 

পণ্য নিলামের গতি মন্থর হওয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখানে তিন মাস আগে আমি প্রথম যখন আসলাম, যা দেখলাম মোটামুটি সে অবস্থাতেই আছে। কিছু হয়ত কমেছে। কিন্তু আরও কিছু কমাতে পারত, এটি গতি নয়। এই স্পিডে করলে আরও তিন বছরেও শেষ হবে না। আমি এনবিআরকে অনুরোধ করেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিলাম শেষ করতে।

 

তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্টরা আমার কাছ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। এর মধ্যে যদি নিলাম কর্মকাণ্ড শেষ না হয়, তাহলে বন্দর চেয়ারম্যানকে বলেছি অ্যাকশনে যেতে। এসময় নৌ উপদেষ্টা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ট্রাক শ্রমিকরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ জানান উপদেষ্টাকে। তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

 

এরপর এম সাখাওয়াত হোসেন কার অকশন শেডে গিয়ে সেখানে পড়ে থাকা গাড়ির নিলাম কার্যক্রম গতিশীল না হওয়ায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্দরে যদি এরকম বছরের পর বছর জিনিস পড়ে থাকে, তাহলে অনিয়ম হবেই। তাই সব অনিয়ম খুঁজে বের করতে হবে। পোর্ট-এক্সপোর্ট যদি সময়মতো না করা যায় তাহলে পোর্টে যথেষ্ট স্পেস থাকবে না।

 

রিট ও আইনি জটিলতায় যেসব ক্ষেত্রে নিলাম কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে তা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দেন নৌ উপদেষ্টা। এসময় দায়িত্বরত কাস্টমস কর্মকর্তা মারুফুর রহমান বলেন, আমাদের প্রায় ১৯৫টা রিট মামলা রয়েছে। এগুলো খালাস করতে গেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। না হলে খালাস করা যাবে না। অন্য ক্ষেত্রে ১৮৬টি গাড়ি আছে, যাতে রিট মামলার সংশ্লিষ্টতা নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নেব।

সুত্র বার্তাবাজার