চুয়াডাঙ্গা ০৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবাসী আয়ের পালে হাওয়া – hellobd.news


দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। গত সাড়ে আট মাসে প্রবাসী আয়ের ঢল নেমেছে। এ সময় দেশে ২০.১৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স প্রবাহের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি মার্চের ১৫ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৫ কোটি ৬১ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। বর্তমান বিনিময় হার (রেমিট্যান্স প্রতি ডলার ১২৩ টাকা) হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১১ কোটি শূন্য চার লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে যা ১ হাজার ৩৫৮ কোটি। মাসের বাকি ১৬ দিন (১৬ থেকে ৩১ মার্চ) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক প্রায় ৩৫০ কোটি (৩.৫ বিলিয়ন) ডলারে গিয়ে ঠেকবে, যা হবে একক মাসের হিসাবে সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক আকতার হোসেন হ্যালো বাংলাদেশকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ সামনে আরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠাবেন প্রবাসীরা। আর সেটা যদি হয়, তাহলে মার্চ মাসে রেমিট্যান্স সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে গত কয়েক মাস ধরে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সাত মাসেই ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এমনটা দেখা যায়নি।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে মোট ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৮৭ লাখ (১৮.৪৯ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। সব মিলিয়ে চলতি অর্থ বছরের সাড়ে আট মাসে (২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ) ২ হাজার ১৫ কোটি (২০.১৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।বাকি সাড়ে তিন মাসে (১৬ মার্চ থেকে ৩০ জুন) এই হারে এলে এবার অর্থ বছর শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক ২৮ বিলিয়ন (২ হাজার ৮০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে হিসাব বলছে।

২০২৫ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ (২.১৮ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৭ কোটি ৪ লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে ছিল ৮৬০ কোটি টাকা।

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৬৪ কোটি (২.৬৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৩২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার; টাকায় ছিল এক হাজার ৩৯ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ (১.৯১ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। দ্বিতীয় মাস আগস্টে পাঠান ২২২ কোটি ৪১ লাখ (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ (২.৪০ বিলিয়ন) ডলার।

চতুর্থ মাস অক্টোবরে আসে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ (২.৩৯ বিলিয়ন) ডলার। পঞ্চম মাস নভেম্বরে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ (২ বিলিয়ন) ডলার।

অর্থ বছরের সাত মাসের (জুলাই-জানুয়ারি) হিসাবে এক হাজার ৫৯৬ কোটি ৭১ লাখ (১৫.৯৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।

সব মিলিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৮৭ লাখ (১৮.৪৯ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এসেছিল ২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছিল ২১ দশমিক শূন্য তিন বিলিয়ন ডলার। ২০২০-২১ অর্থ বছরে আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল অর্থ বছরের হিসাবে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এসেছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।



Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

প্রবাসী আয়ের পালে হাওয়া – hellobd.news

আপডেটঃ ০৭:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫


দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। গত সাড়ে আট মাসে প্রবাসী আয়ের ঢল নেমেছে। এ সময় দেশে ২০.১৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স প্রবাহের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চলতি মার্চের ১৫ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৫ কোটি ৬১ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। বর্তমান বিনিময় হার (রেমিট্যান্স প্রতি ডলার ১২৩ টাকা) হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১১ কোটি শূন্য চার লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে যা ১ হাজার ৩৫৮ কোটি। মাসের বাকি ১৬ দিন (১৬ থেকে ৩১ মার্চ) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক প্রায় ৩৫০ কোটি (৩.৫ বিলিয়ন) ডলারে গিয়ে ঠেকবে, যা হবে একক মাসের হিসাবে সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক আকতার হোসেন হ্যালো বাংলাদেশকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ সামনে আরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠাবেন প্রবাসীরা। আর সেটা যদি হয়, তাহলে মার্চ মাসে রেমিট্যান্স সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে গত কয়েক মাস ধরে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সাত মাসেই ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এমনটা দেখা যায়নি।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে মোট ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৮৭ লাখ (১৮.৪৯ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। সব মিলিয়ে চলতি অর্থ বছরের সাড়ে আট মাসে (২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ) ২ হাজার ১৫ কোটি (২০.১৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।বাকি সাড়ে তিন মাসে (১৬ মার্চ থেকে ৩০ জুন) এই হারে এলে এবার অর্থ বছর শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক ২৮ বিলিয়ন (২ হাজার ৮০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে হিসাব বলছে।

২০২৫ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ (২.১৮ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৭ কোটি ৪ লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে ছিল ৮৬০ কোটি টাকা।

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৬৪ কোটি (২.৬৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৩২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার; টাকায় ছিল এক হাজার ৩৯ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ (১.৯১ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। দ্বিতীয় মাস আগস্টে পাঠান ২২২ কোটি ৪১ লাখ (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ (২.৪০ বিলিয়ন) ডলার।

চতুর্থ মাস অক্টোবরে আসে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ (২.৩৯ বিলিয়ন) ডলার। পঞ্চম মাস নভেম্বরে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ (২ বিলিয়ন) ডলার।

অর্থ বছরের সাত মাসের (জুলাই-জানুয়ারি) হিসাবে এক হাজার ৫৯৬ কোটি ৭১ লাখ (১৫.৯৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।

সব মিলিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৮৭ লাখ (১৮.৪৯ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এসেছিল ২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছিল ২১ দশমিক শূন্য তিন বিলিয়ন ডলার। ২০২০-২১ অর্থ বছরে আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল অর্থ বছরের হিসাবে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এসেছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।



Source link