চুয়াডাঙ্গা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DC Office Job Circular 2025 ৮ ফেব্রুয়ারি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ হবে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নিয়োগ CS Munshiganj Job circular 2025 রমজানকে আয়ের মাস মনে করে ব্যবসায়ীরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীতে আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে পালাক্রমে সারারাত ধর্ষণ বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি BBAL Job Circular 2025 যারা আ.লীগের লিফলেট বিতরণ করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে : প্রেস সচিব রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি RMMC Job Circular 2025 রেললাইন থেকে জনগণই তুলে দেবে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

পাঁচ বছর পর পর জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে


অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংস্কারের মাধ্যমে সংবিধানে একটি জায়গা নিশ্চিত করেন, পাঁচ বছর পর পর জনগণ তার স্বাধীন সার্বভৌম ক্ষমতা যেন প্রয়োগ করতে পারে। সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য যা যা করা দরকার, তা করলেই আমার মনে হয় এই সংবিধান সার্বভৌম হবে। সেই সংবিধানে বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) ‘খসড়া সংবিধানের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খসড়া সংবিধানের প্রস্তাব তুলে ধরেন ফোরামের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ উদ্দিন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হলে সংবিধানে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, মৌলিক মানবাধিকার, মৌলিক অধিকারসহ আরও যা যা প্রত্যাশার জায়গা আছে সব নিশ্চিত হবে। সেখানে যদি গরমিল থাকে তাহলে যতভাবেই প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজান না কেন, কোনো প্রতিষ্ঠানই কাজ করবে না। যেমন- কাজ করেনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

তিনি বলেন, এমনকি সুপ্রিম কোর্টও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হয়েছে আমরা দেখেছি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একমাত্র পথ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা। ভোটের মাধ্যমে জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা সংবিধান সংশোধনের কথা ভাবছি— সেটা তাদের (শহীদদের) প্রতি এক ধরনের শ্রদ্ধা জানানো। আমাদের সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা করতে হবে। সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদের যদি তাকাই তাহলে এই প্রস্তাবনাগুলো এই সরকারের জায়গা থেকে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ আছে কি না, সেটা ভেবে দেখা দরকার।

‘কেননা, এই অনুচ্ছেদে আপনি সবকিছু করতে পারবেন শুধু সংবিধান সংশোধন ছাড়া। এখন সংসদ নেই, গণভোট নেই—এসব প্রশ্ন এখানে যৌক্তিক ও আইনগতভাবে আসবে’- যোগ করেন তিনি।

আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম. এ মতিন বলেন, যে সংবিধান ফ্যাসিস্টদের জন্ম দিয়েছে, বিপ্লবের পর সেই সংবিধান গুরুত্ব হারিয়েছে। কারণ বিপ্লব তো সংবিধানের আওতায় হয়নি। এই বিপ্লব ব্যর্থ হলে বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হতো। যারা জীবন দিলো, তাদের যে চিন্তা ভাবনা, তাদের যে চাওয়া-পাওয়া এগুলোকে ধারণ করে সংলাপের ভিত্তিতে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা করা এবং একটি নির্বাচন করাই হোক লক্ষ্য।

jagonews24

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংবিধান শুধু আইজ্ঞদের বিষয় নয়, এটি জনগণের বিষয়। এখানে নাগরিকদের মতামতও থাকতে হবে। সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে কলুষিত করা হয়। তিনি শাসন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দেন দেন।

ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, এখন সংবিধানের কিছু জায়গায় নতুন চিন্তা ভাবনা হতেই পারে। তাই মৌলিক মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে কী কী ধরনের প্রতিকার আমরা পেতে পারি, ভবিষ্যতে কী করতে পারি, সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ৫৩ বছরে আমরা একটা ভালো নির্বাচনি ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি। গত ১৫ বছরে আইন করে লুটপাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৌলিক অধিকার চর্চার মতো পরিস্থিতি তৈরি না করলে কোনও চেষ্টাই ফলপ্রসূ হবে না।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, রাজনীতিবিদেরা নাগরিকদের প্রজা মনে করেন। আমরা আসলেই প্রজা হয়ে গেছি। সংবিধান বার বার ব্যর্থ হয়েছে। নাগরিকের ক্ষমতা নেই। সংসদ সদস্যরা যতক্ষণ পর্যন্ত জবাবদিহির আওতায় না আসবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদেরকে প্রজা হয়েই থাকতে হবে।

এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশন। আরও বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মাসদার হোসেন এবং ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায় প্রমুখ।

এর আগে খসড়া উপস্থাপনে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী কেউ দুবারের বেশি নির্বাচিত হতে পারবেন না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং বিচারক নিয়োগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন গঠনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

এফএইচ/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

প্রসংঙ্গ :
জনপ্রিয়
avashnews

ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

avashnews

Powered by WooCommerce

পাঁচ বছর পর পর জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে

আপডেটঃ ১১:০৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪


অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংস্কারের মাধ্যমে সংবিধানে একটি জায়গা নিশ্চিত করেন, পাঁচ বছর পর পর জনগণ তার স্বাধীন সার্বভৌম ক্ষমতা যেন প্রয়োগ করতে পারে। সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য যা যা করা দরকার, তা করলেই আমার মনে হয় এই সংবিধান সার্বভৌম হবে। সেই সংবিধানে বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) ‘খসড়া সংবিধানের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খসড়া সংবিধানের প্রস্তাব তুলে ধরেন ফোরামের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ উদ্দিন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হলে সংবিধানে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, মৌলিক মানবাধিকার, মৌলিক অধিকারসহ আরও যা যা প্রত্যাশার জায়গা আছে সব নিশ্চিত হবে। সেখানে যদি গরমিল থাকে তাহলে যতভাবেই প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজান না কেন, কোনো প্রতিষ্ঠানই কাজ করবে না। যেমন- কাজ করেনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

তিনি বলেন, এমনকি সুপ্রিম কোর্টও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হয়েছে আমরা দেখেছি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একমাত্র পথ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা। ভোটের মাধ্যমে জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা সংবিধান সংশোধনের কথা ভাবছি— সেটা তাদের (শহীদদের) প্রতি এক ধরনের শ্রদ্ধা জানানো। আমাদের সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা করতে হবে। সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদের যদি তাকাই তাহলে এই প্রস্তাবনাগুলো এই সরকারের জায়গা থেকে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ আছে কি না, সেটা ভেবে দেখা দরকার।

‘কেননা, এই অনুচ্ছেদে আপনি সবকিছু করতে পারবেন শুধু সংবিধান সংশোধন ছাড়া। এখন সংসদ নেই, গণভোট নেই—এসব প্রশ্ন এখানে যৌক্তিক ও আইনগতভাবে আসবে’- যোগ করেন তিনি।

আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম. এ মতিন বলেন, যে সংবিধান ফ্যাসিস্টদের জন্ম দিয়েছে, বিপ্লবের পর সেই সংবিধান গুরুত্ব হারিয়েছে। কারণ বিপ্লব তো সংবিধানের আওতায় হয়নি। এই বিপ্লব ব্যর্থ হলে বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হতো। যারা জীবন দিলো, তাদের যে চিন্তা ভাবনা, তাদের যে চাওয়া-পাওয়া এগুলোকে ধারণ করে সংলাপের ভিত্তিতে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা করা এবং একটি নির্বাচন করাই হোক লক্ষ্য।

jagonews24

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংবিধান শুধু আইজ্ঞদের বিষয় নয়, এটি জনগণের বিষয়। এখানে নাগরিকদের মতামতও থাকতে হবে। সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে কলুষিত করা হয়। তিনি শাসন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দেন দেন।

ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, এখন সংবিধানের কিছু জায়গায় নতুন চিন্তা ভাবনা হতেই পারে। তাই মৌলিক মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে কী কী ধরনের প্রতিকার আমরা পেতে পারি, ভবিষ্যতে কী করতে পারি, সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ৫৩ বছরে আমরা একটা ভালো নির্বাচনি ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি। গত ১৫ বছরে আইন করে লুটপাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৌলিক অধিকার চর্চার মতো পরিস্থিতি তৈরি না করলে কোনও চেষ্টাই ফলপ্রসূ হবে না।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, রাজনীতিবিদেরা নাগরিকদের প্রজা মনে করেন। আমরা আসলেই প্রজা হয়ে গেছি। সংবিধান বার বার ব্যর্থ হয়েছে। নাগরিকের ক্ষমতা নেই। সংসদ সদস্যরা যতক্ষণ পর্যন্ত জবাবদিহির আওতায় না আসবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদেরকে প্রজা হয়েই থাকতে হবে।

এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশন। আরও বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মাসদার হোসেন এবং ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায় প্রমুখ।

এর আগে খসড়া উপস্থাপনে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী কেউ দুবারের বেশি নির্বাচিত হতে পারবেন না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং বিচারক নিয়োগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন গঠনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

এফএইচ/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link