চুয়াডাঙ্গা ১২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস সেনাপ্রধানের সংসদ হবে দুই কক্ষের, মোট আসন ৫০৫:সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব এইচএমপিভি : বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ ভারতে পালানোর সময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা গ্রেপ্তার জামায়াতের আমিরের সঙ্গে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ দশম শ্রেণির ৮০ জন ছাত্রীর শার্ট খুলতে বাধ্য করলেন প্রিন্সিপাল! পড়শীর স্বামীর পরিচয় জানা গেল এজেন্সি কোটা এক‌ হাজার বহাল, ২০২৫ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত এইচএমপিভি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের পরামর্শ


সংবিধান সংস্কার কমিশনের বৈঠকে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কড়া সমালোচনা করা হয়। এছাড়া গণভোটের বিধান পুনর্বহাল ও দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদের দাবি জানানো হয়েছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সংসদ সচিবালয়ের ক্যাবিনেট কক্ষে সংবিধান সংস্কার কমিশনের বৈঠক হয়। কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআই প্রতিনিধি নাসরিন বেগম, চৌধুরী মূকিম উদ্দিন কেজে আলী, জামিল উদ্দিন মিল্টন, ইঞ্জিনিয়ার কবির হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন।

সংস্কার কমিশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী, আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী প্রমুখ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোয় প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আবরণে একটি স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিয়েছে। যা গত ১৫ বছর আমরা লক্ষ্য করেছি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট খুব জরুরি। কারণ দ্বি-কক্ষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটিতে একক ক্ষমতার বলয় বা এক ব্যক্তির শাসন চলে না। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী চাইলেই আইন প্রণয়ন ও বাতিল করতে পারেন না।

৭০ অনুচ্ছেদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই অনুচ্ছেদের এক জায়গায় বলা আছে সংসদে দলের বিপক্ষে ভোট দান করলে তাদের আসন শূন্য হবে। ফলে কোনো সংসদ সদস্য চাইলেও তার দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। তার মানে হলো সরকারি দল যা চাইবে সংসদে তা-ই হবে।

তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদগুলো মুছে দিয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনীর সমালোচনা করে বলেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের বুকে কুঠারাঘাত করা হয়েছে।

সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম বলেন, দেশের ৯০ ভাগ মুসলমান। আগে আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের কথা ছিল। এটা যেভাবে আগে ছিল, সেভাবে চাইছি।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন কীভাবে আমাদের সুপারিশ বা পরামর্শ বাস্তবায়ন করবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। গণভোট, নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ অনেক কিছু রয়েছে যা বাস্তবায়ন করা কঠিন। কমিশন আমার এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি। তারা কেবল নোট হিসেবে নিয়েছে।

এফএইচ/জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

প্রসংঙ্গ :
avashnews

পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস সেনাপ্রধানের

avashnews

Powered by WooCommerce

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের পরামর্শ

আপডেটঃ ০৪:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪


সংবিধান সংস্কার কমিশনের বৈঠকে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কড়া সমালোচনা করা হয়। এছাড়া গণভোটের বিধান পুনর্বহাল ও দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদের দাবি জানানো হয়েছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সংসদ সচিবালয়ের ক্যাবিনেট কক্ষে সংবিধান সংস্কার কমিশনের বৈঠক হয়। কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআই প্রতিনিধি নাসরিন বেগম, চৌধুরী মূকিম উদ্দিন কেজে আলী, জামিল উদ্দিন মিল্টন, ইঞ্জিনিয়ার কবির হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন।

সংস্কার কমিশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী, আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী প্রমুখ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোয় প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আবরণে একটি স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিয়েছে। যা গত ১৫ বছর আমরা লক্ষ্য করেছি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট খুব জরুরি। কারণ দ্বি-কক্ষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটিতে একক ক্ষমতার বলয় বা এক ব্যক্তির শাসন চলে না। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী চাইলেই আইন প্রণয়ন ও বাতিল করতে পারেন না।

৭০ অনুচ্ছেদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই অনুচ্ছেদের এক জায়গায় বলা আছে সংসদে দলের বিপক্ষে ভোট দান করলে তাদের আসন শূন্য হবে। ফলে কোনো সংসদ সদস্য চাইলেও তার দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। তার মানে হলো সরকারি দল যা চাইবে সংসদে তা-ই হবে।

তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদগুলো মুছে দিয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনীর সমালোচনা করে বলেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের বুকে কুঠারাঘাত করা হয়েছে।

সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম বলেন, দেশের ৯০ ভাগ মুসলমান। আগে আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের কথা ছিল। এটা যেভাবে আগে ছিল, সেভাবে চাইছি।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন কীভাবে আমাদের সুপারিশ বা পরামর্শ বাস্তবায়ন করবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। গণভোট, নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ অনেক কিছু রয়েছে যা বাস্তবায়ন করা কঠিন। কমিশন আমার এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি। তারা কেবল নোট হিসেবে নিয়েছে।

এফএইচ/জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link