চুয়াডাঙ্গা ০৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের ঝুঁকি কম,মিয়ানমারে হানবে মূল আঘাত

ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শাহ আজিজুর রহমান

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারের ওপর। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র মূল কেন্দ্র কক্সবাজারের ২৫০ কিলোমিটার কাছে চলে এসেছে। ইতোমধ্যে এর অগ্রভাগ কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে। বিকেল নাগাদ এর মূল কেন্দ্রটি উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম শেষ করবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিটুই অঞ্চল দিয়ে প্রভাবিত হবে। রোববার (১৪ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তর ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

তিনি জানান, টেকনাফের মিয়ানমারের সিটওয়ায় মূল আঘাত হানবে মোখা। বাংলাদেশে ঝুঁকি কমে এসেছে। বিকেলের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অংশ অতিক্রম করার পর এটি দুর্বল হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের মূল ঝুঁকিটা চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল, এখন আর ততটা নেই।’

 

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

জনপ্রিয়

Powered by WooCommerce

বাংলাদেশের ঝুঁকি কম,মিয়ানমারে হানবে মূল আঘাত

আপডেটঃ ১২:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারের ওপর। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র মূল কেন্দ্র কক্সবাজারের ২৫০ কিলোমিটার কাছে চলে এসেছে। ইতোমধ্যে এর অগ্রভাগ কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে। বিকেল নাগাদ এর মূল কেন্দ্রটি উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম শেষ করবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিটুই অঞ্চল দিয়ে প্রভাবিত হবে। রোববার (১৪ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তর ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

তিনি জানান, টেকনাফের মিয়ানমারের সিটওয়ায় মূল আঘাত হানবে মোখা। বাংলাদেশে ঝুঁকি কমে এসেছে। বিকেলের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অংশ অতিক্রম করার পর এটি দুর্বল হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের মূল ঝুঁকিটা চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল, এখন আর ততটা নেই।’

 

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।