বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই, যেখানে প্রতিটি মানুষ নিজের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে, এবং সেখানে জাতপাত ও ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না।”
তিনি আরও বলেন, “একটি সমাজে লেখাপড়া করে যুবকরা বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যা করবে না, বরং তারা শিক্ষা অর্জন করেই কাজের সুযোগ পাবে। এমন একটি বাংলাদেশ আমরা চাই, যেখানে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।”
সোমবার সকালে ঝালকাঠির শহরের ব্রাকমোড় এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন দায়িত্বশীল সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা অতীতে ধৈর্য্য ধারণ করেছি, এখনো করছি, এবং ভবিষ্যতেও করব। আমরা যে ত্যাগ করেছি, আগামীতেও ত্যাগ করতে প্রস্তুত আছি, ইনশাআল্লাহ। আমরা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই, যেখানে অফিস এবং আদালতে কাউকে লাঞ্ছিত হতে হবে না এবং জনগণ তাদের অধিকার সম্মানের সাথে পাবে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যদি আমরা দায়িত্বে আসি, তবে আমরা এর সঠিক প্রতিদান দেব।”
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন, তারা আমাদের জাতীয় বীর। তাদের প্রতি আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা এবং স্যালুট।”
এ সমাবেশে জেলা জামায়াত আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী সহ অন্যান্য বক্তারা বক্তব্য রাখেন।