চুয়াডাঙ্গা ০৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগরতলা দূতাবাসে ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ


ভারতের আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশটিকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে সোমবার ভোরে আগরতলার হিন্দু সংগ্রাম সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল দ্বারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও আক্রমণের জন্য বাংলাদেশ সরকার  ক্ষুব্ধ।

প্রাপ্ত তথ্য চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে, বিক্ষোভকারীদের পূর্ব পরিকল্পিত উপায়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে আগ্রাসনের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরের সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরিতাপের বিষয়, প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিল না।

সহকারী হাই কমিশনের সব সদস্য গভীর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ সরকার আরও উল্লেখ করতে চায়, গত ২৮ নভেম্বর কলকাতায়ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের ওপর এই ধরণের জঘন্য হামলা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অপবিত্র করা হয়েছে।

আরও পড়ুন<<>> আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাঙচুর, ভারতের দুঃখ প্রকাশ

আগরতলায় এ ঘটনা ১৯৬১ সালে ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা আয়োজক সরকারের দায়িত্ব, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য আহবান জানায়। একই সঙ্গে ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের সহিংসতা প্রতিরোধ, কূটনীতিক, অ-কূটনৈতিক সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহবান জানায়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকে আগরতলার হিন্দু সংগ্রাম সমিতি। আগরতলার সার্কিট হাউস অবস্থিত গান্ধী মূর্তির সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়।

এক পর্যায়ে সমিতির বিক্ষুব্ধ সদস্যরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন এবং সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। পরে ভবনের সামনে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার ইতোমধ্যেই দুঃখ প্রকাশ করেছে।

আপন দেশ/এসএমএস/এবি





Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

আগরতলা দূতাবাসে ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ

আপডেটঃ ১১:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪


ভারতের আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশটিকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে সোমবার ভোরে আগরতলার হিন্দু সংগ্রাম সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল দ্বারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও আক্রমণের জন্য বাংলাদেশ সরকার  ক্ষুব্ধ।

প্রাপ্ত তথ্য চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে, বিক্ষোভকারীদের পূর্ব পরিকল্পিত উপায়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে আগ্রাসনের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরের সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরিতাপের বিষয়, প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিল না।

সহকারী হাই কমিশনের সব সদস্য গভীর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ সরকার আরও উল্লেখ করতে চায়, গত ২৮ নভেম্বর কলকাতায়ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের ওপর এই ধরণের জঘন্য হামলা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অপবিত্র করা হয়েছে।

আরও পড়ুন<<>> আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাঙচুর, ভারতের দুঃখ প্রকাশ

আগরতলায় এ ঘটনা ১৯৬১ সালে ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা আয়োজক সরকারের দায়িত্ব, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য আহবান জানায়। একই সঙ্গে ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের সহিংসতা প্রতিরোধ, কূটনীতিক, অ-কূটনৈতিক সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহবান জানায়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকে আগরতলার হিন্দু সংগ্রাম সমিতি। আগরতলার সার্কিট হাউস অবস্থিত গান্ধী মূর্তির সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়।

এক পর্যায়ে সমিতির বিক্ষুব্ধ সদস্যরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন এবং সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। পরে ভবনের সামনে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার ইতোমধ্যেই দুঃখ প্রকাশ করেছে।

আপন দেশ/এসএমএস/এবি





Source link