পুরুষরা তুলনামূলক কায়িক পরিশ্রম একটু বেশি করেন। এতে তাদের শক্তি ক্ষয়ও হয় বেশি। ফলে তাদের দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা রোগ। এসব রোগ থেকে বাঁচতে শরীরে স্ট্যামিনা বাড়ায় এমন খাবার খাওয়া জরুরি।
চলুন জেনে নেয় এমন কিছু খাবার সম্পর্কে-
মুরগির মাংস: মুরগির মাংস প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। শরীর ভালো রাখতে গেলে খেতে হবে প্রোটিন। এমনকি মুরগিতে ফ্যাটের মাত্রাও খুব কম থাকে। তাই প্রতিটি পুরুষের উচিত ডায়েটে মুরগির মাংস রাখা।
চকলেট: চকলেট রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সব ধরনের চকোলেটের মধ্যে ডার্ক চকলেট বেশি ভালো।
চেরি: চেরিতে রয়েছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ। ফলে ব্যথা কমাতে চেরি ফল অনেক উপকারী।
ফ্যাটি ফিশ: মাংসের ফ্যাট শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও মাছের ফ্যাট খাওয়া ভালো। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের ফ্যাট হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়।
আদা: শুধু মসলা হিসেবে নয়, প্রাচীন আয়ুর্বেদে আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। আদার মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। পাশাপাশি আদাতে থাকা অন্যান্য পুষ্টি উপদান শরীরকে নানা সমস্যা থেকে বাঁচায়।
দুধ ও দই: দুধেও রয়েছে প্রোটিন। এ ছাড়া ভিটামিন এ, ক্যালশিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই পানীয় আপনার শরীর সুস্থ রাখতে পারে। এবার দুধের পাশাপাশি দইও খেতে পারেন।
কলা: কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম পারে পেশি ও হাড়ের সমস্যা দূর করতে। পাশাপাশি কলা খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে। ব্লাডপ্রেশার কমাতেও কলা খাওয়া হয়।
টমেটো: টমেটোয় প্রচুর লাইকোপিন রয়েছে। এ উপাদানটি বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন টমেটো খাওয়ায় পুরুষের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
ডিম: ডিম পুষ্টি উপাদানে ভরা একটি প্রাকৃতিক খাদ্য। একে প্রোটিন এবং পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউসও বলা হয়। ডিমের প্রোটিন সহজপাচ্য হওয়ায় খুব সহজেই শরীরের গ্রহণ করে নেয়। তাই প্রতিটি মানুষের ডিম খাওয়া জরুরি। তবে দিনে একটি কুসুম ছাড়া ডিম খেতে হবে।
কফি: কফির মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন। এই ক্যাফেইন শরীরকে চাঙা রাখে। এমনকি মন ভালো রাখা থেকে শুরু করে মাথাব্যথা দূর করার মতো কাজও করে। তবে দিনে ২-৩ কাপের বেশি কফি খেতে যাবেন না। তাতে সমস্যা বাড়তে পারে।
মিক্সড ভেজিটেবল: সবজির কোনো বিকল্প নেই। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল শরীর ভালো রাখে। এমনকি এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বিভিন্ন রোগ থেকে দূর রাখবে আপনাকে।