চুয়াডাঙ্গা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন ২ হাজার ১১১ জন

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে ১২ বছর ৬ মাসের কম বয়সী ২ হাজার ১১১ জনকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

 

ফারুক ই আজম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বয়সসীমা ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করা আছে। যাঁদের বয়স এর কম, তাঁরা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই আসল মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। এটি জাতির সঙ্গে প্রতারণা। আদালত প্রমাণের পর এদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা হতে পারে। না হলে অভিযুক্ত করা হবে।’

 

 

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন। এর মধ্যে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৮৯৫ জন, বীরাঙ্গনা ৪৬৪ জন, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৩৩৩ জন এবং খেতাবপ্রাপ্ত ৩৬৮ জন।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ২৩৫ জন। শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা ৫৬০ জন।

 

রাজাকারদের তালিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের কাছে রাজাকারদের তালিকার কোনো ফাইল বা নথি নেই। ৫০ বছর আগের ঘটনাগুলো নিয়ে তালিকা তৈরি করা এখন অত্যন্ত কঠিন।’

মন্ত্রণালয়ের চেষ্টা থাকবে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখা এবং যারা প্রতারণা করেছেন, তাঁদের বিচারের আওতায় আনা।

Source link

Powered by WooCommerce

মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন ২ হাজার ১১১ জন

আপডেটঃ ০৪:৫২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে ১২ বছর ৬ মাসের কম বয়সী ২ হাজার ১১১ জনকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

 

ফারুক ই আজম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বয়সসীমা ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করা আছে। যাঁদের বয়স এর কম, তাঁরা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই আসল মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। এটি জাতির সঙ্গে প্রতারণা। আদালত প্রমাণের পর এদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা হতে পারে। না হলে অভিযুক্ত করা হবে।’

 

 

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন। এর মধ্যে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৮৯৫ জন, বীরাঙ্গনা ৪৬৪ জন, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৩৩৩ জন এবং খেতাবপ্রাপ্ত ৩৬৮ জন।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ২৩৫ জন। শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা ৫৬০ জন।

 

রাজাকারদের তালিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের কাছে রাজাকারদের তালিকার কোনো ফাইল বা নথি নেই। ৫০ বছর আগের ঘটনাগুলো নিয়ে তালিকা তৈরি করা এখন অত্যন্ত কঠিন।’

মন্ত্রণালয়ের চেষ্টা থাকবে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখা এবং যারা প্রতারণা করেছেন, তাঁদের বিচারের আওতায় আনা।

Source link