যশোরে সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী-খুনি আখ্যায়িত করে তাদের কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ দাবি করেছেন জেলার ওলামা মাশায়েখ এবং সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা। শনিবার বিকালে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে জেলার ওলামা মাশায়েখ ও সর্বস্থরের তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ সামাবেশ করে তারা।
তৌহিদী জনতার ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আব্দুল মান্নান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আনোয়ারুল করীম যশোরী, হাফেজ মাওলানা বেলায়েত হোসেন, আলহাজ্ব মশিউর রহমান, মাওলানা নাজির উদ্দীন, মুফতী ইয়াহইয়া, মুফতী শামসুর রহমান, মুফতী রশীদ আহমাদ বিন ওয়াক্কাস, মুফতী হাফিজুর রহমান, মুফতী উমায়ের কাসেমী, মুফতী আব্দুর রহমান এযাযী, মুফতী আব্দুল হান্নান, মুফতী আব্দুল হালিম, মুফতী মাসউদুর রহমান, মুফতী শফিউল্লাহ, ইঞ্জি: জয়নুল আবেদীন, ডাক্তার ফয়সাল প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন-‘গভীর রাতে ঢাকার টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ঘুমন্ত মুসল্লীদের ওপরে হামলা চালিয়ে শহীদ ও আহত করেছে সাদপন্থী খুনি সন্ত্রাসীরা। তাদের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে ৬দফা দাবি তুলে ধরেন নেতৃবৃন্দ।
দাবিগুলো হচ্ছে, প্রথমত, ওই হামলায় যশোরাঞ্চলের যারা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। দ্বিতীয় দাবি বৃহত্তর যশোর জেলা মারকার্স মসজিদসহ জেলার সকল মসজিদে অবিলম্বে খুনি সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। তৃতীয় দাবি, টঙ্গীর নৃশংস হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারীদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে। চতুর্থ দাবি খুনি সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের গডফাদার ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম, মুয়াজ বিন নুর, জিয়া বিন কাশেম, আব্দুল্লাহ মনসুর, রেজা আরিফসহ হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৫ম দাবি কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ এবং টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠসহ সারাদেশের সকল মসজিদে সাদপন্থীদের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মুফতী আমানুল্লাহ কাসেমী ও মুফতী উবায়দুল্লাহ শাকির।