চুয়াডাঙ্গা ০৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডালিমের পর ইলিয়াসের লাইভে আসছেন কর্নেল রাশেদ চৌধুরী


সম্প্রতি প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভ টকশোতে দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম (বীর বিক্রম) কথা বলেছেন। এবার শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আরেক আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম রাশেদ চৌধুরীকে লাইভে আনার ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেন ইলিয়াস হোসেন। সেখানে তিনি লেখেন, আগামী শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় সরাসরি আমার ফেসবুক পেজ থেকে এ লাইভ সম্প্রচারিত হবে। পোস্টের সঙ্গে রাশেদ চৌধুরীর একটি ছবিও যুক্ত করেন তিনি। সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম রাশেদ চৌধুরী ১৯৬৯ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালে দ্বিতীয় সচিব হিসেবে জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব পান। নাইরোবি, থাইল্যান্ড, লিবিয়া, জার্মানি, কুয়ালালামপুর, ব্রাসিলিয়া, নাইজেরিয়া ও কানাডায় কূটনৈতিক চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সময়ে টোকিওতে কূটনীতিক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তখন তাকে ঢাকায় ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে না এসে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়। ২০১০ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয় এবং সেখানে রাশেদ চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।

সে সময় সরকার চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় রাশেদ চৌধুরীর ১ দশমিক ১৫ একর জমি জব্দ করে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শিকাগো, সিয়াটল, আটলান্টা ও ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে বসবাস করে আসছেন। তাকে জনসমক্ষে মাঝেমধ্যে দেখা যায়। তাকে ফেরত আনতে বাংলাদেশের তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করে।

শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পরে ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে অন্য আসামিদের সঙ্গে পলাতক অবস্থায় রাশেদ চৌধুরীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৮ নভেম্বর ২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ১২ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ২০১০ সালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের রায় কার্যকর হলেও রাশেদ চৌধুরীসহ বিদেশে পলাতক অন্যদের দণ্ড কার্যকর হয়নি।

রাশেদ চৌধুরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিজেকে নিরাপদে রাখতে সক্ষম হন। তাকে ফিরিয়ে আনতে বারবার কূটনৈতিক কথা চালাচালি হয়েছে। ২০১৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রবাসীদের একটি প্রোগ্রাম থেকে তাকে অপমান করে বের করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর মেজর (অব.) শরিফুল হক ডালিমকে লাইভে এনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন ইলিয়াস হোসেন। ইলিয়াসের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত টকশোটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। টকশোতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও পচাত্তরের ১৫ আগস্টের নেপথ্যের ইতিহাস তুলে ধরেন বিদেশে নির্বাসিত আলোচিত সাবেক এ সামরিক কর্মকর্তা।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ





Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

ডালিমের পর ইলিয়াসের লাইভে আসছেন কর্নেল রাশেদ চৌধুরী

আপডেটঃ ১২:০৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫


সম্প্রতি প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভ টকশোতে দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম (বীর বিক্রম) কথা বলেছেন। এবার শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আরেক আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম রাশেদ চৌধুরীকে লাইভে আনার ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেন ইলিয়াস হোসেন। সেখানে তিনি লেখেন, আগামী শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় সরাসরি আমার ফেসবুক পেজ থেকে এ লাইভ সম্প্রচারিত হবে। পোস্টের সঙ্গে রাশেদ চৌধুরীর একটি ছবিও যুক্ত করেন তিনি। সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম রাশেদ চৌধুরী ১৯৬৯ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালে দ্বিতীয় সচিব হিসেবে জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব পান। নাইরোবি, থাইল্যান্ড, লিবিয়া, জার্মানি, কুয়ালালামপুর, ব্রাসিলিয়া, নাইজেরিয়া ও কানাডায় কূটনৈতিক চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সময়ে টোকিওতে কূটনীতিক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তখন তাকে ঢাকায় ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে না এসে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়। ২০১০ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয় এবং সেখানে রাশেদ চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।

সে সময় সরকার চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় রাশেদ চৌধুরীর ১ দশমিক ১৫ একর জমি জব্দ করে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শিকাগো, সিয়াটল, আটলান্টা ও ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে বসবাস করে আসছেন। তাকে জনসমক্ষে মাঝেমধ্যে দেখা যায়। তাকে ফেরত আনতে বাংলাদেশের তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করে।

শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পরে ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে অন্য আসামিদের সঙ্গে পলাতক অবস্থায় রাশেদ চৌধুরীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৮ নভেম্বর ২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ১২ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ২০১০ সালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের রায় কার্যকর হলেও রাশেদ চৌধুরীসহ বিদেশে পলাতক অন্যদের দণ্ড কার্যকর হয়নি।

রাশেদ চৌধুরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিজেকে নিরাপদে রাখতে সক্ষম হন। তাকে ফিরিয়ে আনতে বারবার কূটনৈতিক কথা চালাচালি হয়েছে। ২০১৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রবাসীদের একটি প্রোগ্রাম থেকে তাকে অপমান করে বের করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর মেজর (অব.) শরিফুল হক ডালিমকে লাইভে এনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন ইলিয়াস হোসেন। ইলিয়াসের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত টকশোটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। টকশোতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও পচাত্তরের ১৫ আগস্টের নেপথ্যের ইতিহাস তুলে ধরেন বিদেশে নির্বাসিত আলোচিত সাবেক এ সামরিক কর্মকর্তা।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ





Source link