চুয়াডাঙ্গা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়ম নয়, নিজের মনের কথা শুনেন স্পোর্টস বাইকার সুমাইয়া


বাইক চালানোর রিলস দেখে শখের বসেই শেখার ইচ্ছে জাগে সুমাইয়ার। যেখানে স্কুটি চালানো শিখতেই হিমশিম খেতে হয় অনেকের, সেখানে মাত্র ৬ দিনের প্রচেষ্টায় শিখে ফেলেন স্পোর্টস বাইক চালানো। এই বাইকিংই তাকে দিয়েছে নতুন পরিচয়। সবাই তাকে চিনে লেডি বাইকার হিসাবে। নারী দিবস উপলক্ষ্যে হ্যালো বাংলাদেশের সাথে বাইকিং নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাসহ বাংলাদেশে মেয়েদের বাইকিং নিয়ে কথা বলেছেন স্পোর্টস বাইকার সুমাইয়া সুমু।

ছোটবেলা থেকেই সাহসী সুমাইয়া। কোনো কাজ যদি করবেন বলে মনস্থির করেন, তাহলে কোন বাঁধা-বিপত্তির তোয়াক্কা না করেই কাজটি করেন তিনি। ভয় ও শঙ্কার মুখোমুখি হন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। বাইকার হওয়ার পেছনে করো অনুপ্রেরণা আছে নাকি, এই প্রশ্নের উত্তরে সুমাইয়া বলেন, কাউকে দেখে কখনও তাকে অনুকরণ বা অনুসরণের ইচ্ছা তার হয় না। নিজের মনকেই বেশি প্রাধান্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় আমার নিজের মতো থাকি, কাউকে ফলো করি না।’ সাহসী সুমাইয়ার বাইকিং নিয়ে প্রথমে আপত্তি থাকলেও বুঝানোর পর পরিবার থেকেও অনুপ্রেরণা পান।

বাইক চালানোর ইচ্ছা কবে প্রথম হয়েছিল জানতে চাইলে সুমাইয়া বলেন, ৪-৫ বছর আগে ইচ্ছা হয়েছিল। পরবর্তীতে তার এক বাইকার বন্ধুর সাহায্য নিয়ে ৬ দিনের মাথায় বাইক চালানো শিখে যান তিনি। পরবর্তীতে বাইক হয় তার নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে অন্য কোন মডেলের বাইক পছন্দ না। ইয়ামাহার স্পোর্টস বাইক আর-১৫ ই তার প্রথম পছন্দ। যেহেতু তিনি লম্বা, তাই স্কুটি বা অন্য কোন মডেল থেকে, স্পোর্টস বাইকেই তাকে বেশি মানায় বলে মনে করেন সুমাইয়া। বন্ধুরাও তাই বলেন। তবে তার প্রথম বাইকটি ছিলো ইয়ামাহার এফজেডএস ভার্সন-২। ২০২১ সালে বেশ কিছু নাটক ও মিউজিক ভিডিও’তে কাজ করেছেন তিনি। পরবর্তীতে মিডিয়াতে আর কাজ করেননি তিনি। সেখানে কাজের জমানো টাকা আর মা-বাবা থেকে কিছু যোগ করে ২০২৩ এর ডিসেম্বরে নিজের প্রথম বাইক কিনেন তিনি।

বাইক নিয়ে পাগলামিও কম করেননি। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা চলে গিয়েছিলেন একা বাইক চালিয়ে। আবার সেই দিনই ঢাকা ফেরত এসেছেন বাইকে চড়েই। প্রায় ২৯০ কিলোমিটার আসা যাওয়া তার কাছে ছিল প্রচুর রোমাঞ্চকর। বাইক চালানোর জন্য ৩০০ ফিট  সবচেয়ের পছন্দের জায়গা। তার বাইকের ভিডিও কনটেন্টের বেশিরভাগই ৩০০ ফিটেই করা।

final edit sum 2

সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে লেডি বাইকার হিসেবে পরিচিত সুমাইয়া, ছবি: ফেসবুক

বাইকিং এর পাশাপাশি কনটেন্ট ক্রিয়েশনের কাজও করেন তিনি। কনটেন্ট ক্রিয়েশনের ইচ্ছা তার ছিলো না। ২০২৪ এর জানুয়ারিতে বান্ধবি ফেসবুক পেজ খুলে দেন তাকে। বাইকিং এর ভিডিও পেজে নিয়মিত আপলোড করতে উৎসাহ দেন। কিছুদিন যেতেই পেজটির ভিডিওগুলো দর্শকদের ভালোবাসা পায়। ‘রেকলেস রাইডার সুমাইয়া’ পেজটির ফলোয়ার বর্তমানে এক লাখ চব্বিশ হাজার। শুধু ফুটেজ নিতে সাহায্য প্রয়োজন হয় তার। ভিডিও এডিট, আপলোডের কাজগুলো নিজেই করেন।

প্রথম বাইক চালাতে গিয়ে বেশ বিপাকেই পড়তে হয়েছে তাকে। তার মতে, ‘আমাদের দেশের মানুষ মেয়েদের বাইক চালাতে দেখে অভ্যস্ত নয়, আমাকে বাইকে দেখলেই রাস্তার মানুষজন তাকায়, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিরা। তারা এমন ভাবে দেখতে থাকে যেন সাক্ষাৎ এলিয়েন তাদের সামনে নেমে এসেছে! তাছাড়া মেয়েদের বাইক চালাতে দেখলেই অন্য গাড়িতে বসে থাকা পুরুষ ড্রাইভার ইচ্ছা করেই বাইকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এই বিরম্বনা কোন পুরুষ ড্রাইভার এর সহ্য করতে হয় না। আমাদের দেশে নারী বাইকারদের এরকম বাঁধা বিপত্তি প্রতিদিন মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়।’

তবে বাইকিং নিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন । তিনি বলেন, ‘এখন বাইক নিয়ে বাহিরে গেলে মানুষ আমাকে চিনে। যদিও ভাইরাল হওয়ার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না, তবে বাইকিং এর ভিডিও থেকে আমাকে চিনে, কথা বলতে চায়, এই অনুভূতি ভালই লাগে।’

এছাড়া তিনি এক বছর ধরে যুক্ত আছেন ওয়াইআরসি গার্লস নামে নারী বাইকারদের গ্রুপের সাথে। টাইপিং এর প্রতি ভালোবাসা থেকে এখানে সব নারীরা একত্রিত হন। এমনকি নারী দিবসের মতো বিশেষ বিশেষ দিনে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সকলে। তবে পড়াশোনার চাপ থাকায় গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বেশি সময় দিতে পারেন না সুমাইয়া।

বর্তমানে বাংলাদেশে নারীদের প্রতি সহিংসতা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে নিরাপদে বাইকিং করতে হলে মেয়েদের অচেনা জায়গায় বাইক নিয়ে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সুমাইয়া। এবং একা না যে সাথে অবশ্যই এমন কাউকে নিতে হবে যে খুবই বিশ্বস্ত। অন্ধকার হওয়ার আগেই ফিরে আসতে হবে।

final sum sari edit

নারীদের বাইকিং এ উৎসাহিত করতে নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তা, ছবি: ফেসবুক

আমাদের দেশে নারী স্পোর্টস বাইকারের সংখ্যা বাড়াতে চাইলে সবার আগে মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, ‌ এমনটাই মনে করেন সুমাইয়া। এছাড়া তাদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থাও করতে হবে। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাইকারের মনোবল ও ইচ্ছা শক্তি। বাইকিং কে কঠিন কিছু ভাবা যাবে না, ইচ্ছা যত বেশি থাকবে বাইকিং করা ততই সহজ হবে।

অন্য সবার নেতিবাচক কথা শুনলে জীবনে আগানো কঠিন হয়ে যায়। তাই সুমাইয়ার ভাষায় কেউ নেতিবাচক কথা বললে কানে তুলা দিতে হবে ও নিজের মনের কথা শুনতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে, ‘আমি সবকিছুই পারি’। বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে নারীকে সবকিছু পারতে হবে।’

শুধু বাইক চালানো নয়, ভবিষ্যতে স্পোর্টস বাইক-এ বিভিন্ন স্টান্ট করতে চান তিনি। তবে লেখাপড়ার দিকে এখন বেশি মনোযোগ তার। সুমাইয়া বর্তমানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (আইইউবি) – এ মার্কেটিং বিভাগে মাস্টার্স করছেন। ভবিষ্যতে তার ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে। এরপর দেশের বাইরে পাড়ি জমাতে চান তিনি। সুমাইয়ার মতো যারা নির্বিঘ্নে স্পোর্টস বাইক চালাতে চান তাদের উদ্দেশ্যে সুমাইয়া বলেন, ‘ভয়কে জয় কর, নিয়মের কথা না ভেবে নিজের মনের কথা শুনো।’



Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

নিয়ম নয়, নিজের মনের কথা শুনেন স্পোর্টস বাইকার সুমাইয়া

আপডেটঃ ১১:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫


বাইক চালানোর রিলস দেখে শখের বসেই শেখার ইচ্ছে জাগে সুমাইয়ার। যেখানে স্কুটি চালানো শিখতেই হিমশিম খেতে হয় অনেকের, সেখানে মাত্র ৬ দিনের প্রচেষ্টায় শিখে ফেলেন স্পোর্টস বাইক চালানো। এই বাইকিংই তাকে দিয়েছে নতুন পরিচয়। সবাই তাকে চিনে লেডি বাইকার হিসাবে। নারী দিবস উপলক্ষ্যে হ্যালো বাংলাদেশের সাথে বাইকিং নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাসহ বাংলাদেশে মেয়েদের বাইকিং নিয়ে কথা বলেছেন স্পোর্টস বাইকার সুমাইয়া সুমু।

ছোটবেলা থেকেই সাহসী সুমাইয়া। কোনো কাজ যদি করবেন বলে মনস্থির করেন, তাহলে কোন বাঁধা-বিপত্তির তোয়াক্কা না করেই কাজটি করেন তিনি। ভয় ও শঙ্কার মুখোমুখি হন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। বাইকার হওয়ার পেছনে করো অনুপ্রেরণা আছে নাকি, এই প্রশ্নের উত্তরে সুমাইয়া বলেন, কাউকে দেখে কখনও তাকে অনুকরণ বা অনুসরণের ইচ্ছা তার হয় না। নিজের মনকেই বেশি প্রাধান্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় আমার নিজের মতো থাকি, কাউকে ফলো করি না।’ সাহসী সুমাইয়ার বাইকিং নিয়ে প্রথমে আপত্তি থাকলেও বুঝানোর পর পরিবার থেকেও অনুপ্রেরণা পান।

বাইক চালানোর ইচ্ছা কবে প্রথম হয়েছিল জানতে চাইলে সুমাইয়া বলেন, ৪-৫ বছর আগে ইচ্ছা হয়েছিল। পরবর্তীতে তার এক বাইকার বন্ধুর সাহায্য নিয়ে ৬ দিনের মাথায় বাইক চালানো শিখে যান তিনি। পরবর্তীতে বাইক হয় তার নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে অন্য কোন মডেলের বাইক পছন্দ না। ইয়ামাহার স্পোর্টস বাইক আর-১৫ ই তার প্রথম পছন্দ। যেহেতু তিনি লম্বা, তাই স্কুটি বা অন্য কোন মডেল থেকে, স্পোর্টস বাইকেই তাকে বেশি মানায় বলে মনে করেন সুমাইয়া। বন্ধুরাও তাই বলেন। তবে তার প্রথম বাইকটি ছিলো ইয়ামাহার এফজেডএস ভার্সন-২। ২০২১ সালে বেশ কিছু নাটক ও মিউজিক ভিডিও’তে কাজ করেছেন তিনি। পরবর্তীতে মিডিয়াতে আর কাজ করেননি তিনি। সেখানে কাজের জমানো টাকা আর মা-বাবা থেকে কিছু যোগ করে ২০২৩ এর ডিসেম্বরে নিজের প্রথম বাইক কিনেন তিনি।

বাইক নিয়ে পাগলামিও কম করেননি। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা চলে গিয়েছিলেন একা বাইক চালিয়ে। আবার সেই দিনই ঢাকা ফেরত এসেছেন বাইকে চড়েই। প্রায় ২৯০ কিলোমিটার আসা যাওয়া তার কাছে ছিল প্রচুর রোমাঞ্চকর। বাইক চালানোর জন্য ৩০০ ফিট  সবচেয়ের পছন্দের জায়গা। তার বাইকের ভিডিও কনটেন্টের বেশিরভাগই ৩০০ ফিটেই করা।

final edit sum 2

সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে লেডি বাইকার হিসেবে পরিচিত সুমাইয়া, ছবি: ফেসবুক

বাইকিং এর পাশাপাশি কনটেন্ট ক্রিয়েশনের কাজও করেন তিনি। কনটেন্ট ক্রিয়েশনের ইচ্ছা তার ছিলো না। ২০২৪ এর জানুয়ারিতে বান্ধবি ফেসবুক পেজ খুলে দেন তাকে। বাইকিং এর ভিডিও পেজে নিয়মিত আপলোড করতে উৎসাহ দেন। কিছুদিন যেতেই পেজটির ভিডিওগুলো দর্শকদের ভালোবাসা পায়। ‘রেকলেস রাইডার সুমাইয়া’ পেজটির ফলোয়ার বর্তমানে এক লাখ চব্বিশ হাজার। শুধু ফুটেজ নিতে সাহায্য প্রয়োজন হয় তার। ভিডিও এডিট, আপলোডের কাজগুলো নিজেই করেন।

প্রথম বাইক চালাতে গিয়ে বেশ বিপাকেই পড়তে হয়েছে তাকে। তার মতে, ‘আমাদের দেশের মানুষ মেয়েদের বাইক চালাতে দেখে অভ্যস্ত নয়, আমাকে বাইকে দেখলেই রাস্তার মানুষজন তাকায়, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিরা। তারা এমন ভাবে দেখতে থাকে যেন সাক্ষাৎ এলিয়েন তাদের সামনে নেমে এসেছে! তাছাড়া মেয়েদের বাইক চালাতে দেখলেই অন্য গাড়িতে বসে থাকা পুরুষ ড্রাইভার ইচ্ছা করেই বাইকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এই বিরম্বনা কোন পুরুষ ড্রাইভার এর সহ্য করতে হয় না। আমাদের দেশে নারী বাইকারদের এরকম বাঁধা বিপত্তি প্রতিদিন মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়।’

তবে বাইকিং নিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন । তিনি বলেন, ‘এখন বাইক নিয়ে বাহিরে গেলে মানুষ আমাকে চিনে। যদিও ভাইরাল হওয়ার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না, তবে বাইকিং এর ভিডিও থেকে আমাকে চিনে, কথা বলতে চায়, এই অনুভূতি ভালই লাগে।’

এছাড়া তিনি এক বছর ধরে যুক্ত আছেন ওয়াইআরসি গার্লস নামে নারী বাইকারদের গ্রুপের সাথে। টাইপিং এর প্রতি ভালোবাসা থেকে এখানে সব নারীরা একত্রিত হন। এমনকি নারী দিবসের মতো বিশেষ বিশেষ দিনে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সকলে। তবে পড়াশোনার চাপ থাকায় গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বেশি সময় দিতে পারেন না সুমাইয়া।

বর্তমানে বাংলাদেশে নারীদের প্রতি সহিংসতা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে নিরাপদে বাইকিং করতে হলে মেয়েদের অচেনা জায়গায় বাইক নিয়ে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সুমাইয়া। এবং একা না যে সাথে অবশ্যই এমন কাউকে নিতে হবে যে খুবই বিশ্বস্ত। অন্ধকার হওয়ার আগেই ফিরে আসতে হবে।

final sum sari edit

নারীদের বাইকিং এ উৎসাহিত করতে নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তা, ছবি: ফেসবুক

আমাদের দেশে নারী স্পোর্টস বাইকারের সংখ্যা বাড়াতে চাইলে সবার আগে মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, ‌ এমনটাই মনে করেন সুমাইয়া। এছাড়া তাদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থাও করতে হবে। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাইকারের মনোবল ও ইচ্ছা শক্তি। বাইকিং কে কঠিন কিছু ভাবা যাবে না, ইচ্ছা যত বেশি থাকবে বাইকিং করা ততই সহজ হবে।

অন্য সবার নেতিবাচক কথা শুনলে জীবনে আগানো কঠিন হয়ে যায়। তাই সুমাইয়ার ভাষায় কেউ নেতিবাচক কথা বললে কানে তুলা দিতে হবে ও নিজের মনের কথা শুনতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে, ‘আমি সবকিছুই পারি’। বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে নারীকে সবকিছু পারতে হবে।’

শুধু বাইক চালানো নয়, ভবিষ্যতে স্পোর্টস বাইক-এ বিভিন্ন স্টান্ট করতে চান তিনি। তবে লেখাপড়ার দিকে এখন বেশি মনোযোগ তার। সুমাইয়া বর্তমানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (আইইউবি) – এ মার্কেটিং বিভাগে মাস্টার্স করছেন। ভবিষ্যতে তার ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে। এরপর দেশের বাইরে পাড়ি জমাতে চান তিনি। সুমাইয়ার মতো যারা নির্বিঘ্নে স্পোর্টস বাইক চালাতে চান তাদের উদ্দেশ্যে সুমাইয়া বলেন, ‘ভয়কে জয় কর, নিয়মের কথা না ভেবে নিজের মনের কথা শুনো।’



Source link