১৫
প্রতিটি দুই টাকার নতুন নোটের বান্ডেল ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, অর্থাৎ ১৫০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। পাঁচ টাকার ১০০ নোটের জন্য বাড়তি দিতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, প্রতি বান্ডেল ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একেকটি ১০ টাকার নতুন বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা, মানে ৫০০ টাকা বেশি। রাজধানীর গুলিস্থানে নতুন টাকার হাটে সোমবার সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট সরবরাহ বন্ধের ঘোষণায় খোলা বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। এ জন্য চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা অনেক কমে গেছে বলে তারা জানান।
গুলিস্থানে নতুন নোট বিক্রেতা জামাল হোসেন হ্যালো বাংলাদেশকে জানান, বেচাকেনা একদম কম। আগে যেখানে প্রতিদিন ১৫০-২০০ বান্ডেল বিক্রি হতো, এখন ১০-২০ বান্ডেলও বিক্রি হচ্ছে না।
আরেক বিক্রেতা রায়হান জানান, তারা বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নতুন নোট কেনেন। ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এবার নতুন নোট দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এবার নতুন নোট বাজারে আসবে না—এমন খবরে সকাল থেকে তারাও দাম বাড়িয়েছেন।
বাড়তি দামের কারণে খোলা বাজারের নতুন নোট কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা। গুলিস্থানে সাইফুল ইসলাম নাম এক ক্রেতা বলেন, দুই দিন যাবত কয়েকটা বেসরকারি ব্যাংকে গিয়েছি, কোথাও নতুন টাকা নেই। এখন এখানে আসছি, এখানে ২০ টাকার বান্ডেল ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনলাম, ৫০০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে।
রাজধানীর গুলিস্থানে সারা বছরই এই ব্যবসায় জমজমাট থাকলেও উৎসবের আগে পায় নতুন মাত্রা, বিশেষ করে ঈদুল ফিতরে। সালামি, প্রিয়জনকে উপহার কিংবা দান খয়রাতেও নতুন টাকার ব্যবহার বাড়িয়ে দেয় ঈদের আনন্দ। কিন্তু এবারের সেই আনন্দে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিওয়ালা ফ্রেশ নোট বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে। ফলে বিকল্প উপায় সংগ্রহ করতে খোলাবাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেখানে ব্যয় বেড়েছে অন্তত দ্বিগুণ।
খোলাবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন টাকার সরবরাহে অনেক কমে গেছে। ফলে দুই টাকার ১০০ নোটের একটি বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া পাঁচ টাকার বান্ডেল ৭৫০ ও ১০ টাকার বান্ডেলের জন্য গুনতে হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। এছাড়া দাম বেড়েছে ২০, ৫০ ও ১০০, ২০০ টাকার নোটের।