শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে আমরা কত কিছুই না করি! সকাল বিকেল শরীরচর্চা, নিয়মিত হেলথ চেকআপ থেকে স্বাস্থ্যকর ডায়েট, কোনও কিছুই বাদ পড়ে না। কিন্তু ব্রেনকে সুস্থ রাখার কথা আলাদা করে ক’জনই বা ভাবে?
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের বিভিন্ন পরিবর্তন হতে থাকে। একটা সময়ের পর স্মৃতিশক্তিও কমতে থাকে, ফলে দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা। আজকের এই দ্রুত গতির জীবনে অনেক সময়ে আমাদের মাথা ঠিক কাজ করে না, ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে। তবে দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটা অভ্যাস রপ্ত করতে পারলেই মস্তিষ্ক হবে ক্ষুরধার।
জেনে নিন, কোন কোন উপায়ে মস্তিষ্ক থাকবে একেবারে সুস্থ…
শরীরচর্চা করুন
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে ব্যায়াম। গবেষণা বলছে, ব্যায়াম ও কিছু কিছু অ্যারোবিক্স মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং কগনিটিভ ফাংশন উন্নত করে। মানসিক সমস্যা, যেমন – স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা কমাতেও সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে রোজকার ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। বিভিন্ন ফলমূল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ। প্রক্রিয়াজাত ও চিনিযুক্ত খাবার কম খাওয়াই ভালো।
মেডিকেল চেকআপ করান
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ কমানো এবং নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ করাও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ঘুম মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে, মেজাজ ভালো রাখে, স্ট্রেস ও ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দেয়, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং শরীরেও শক্তি যোগায়। প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি।
মানসিক সুস্থতাও গুরুত্বপূর্ণ
এমন কাজ করুন, যাতে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকবে ও মনে রাখা সহজ হবে। ধাঁধা সমাধান করা, শব্দছক মেলানো, সুদোকু বা পাজল বোর্ড সমাধান, এই সব কাজ মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করবে। চিন্তাভাবনা, স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে। আর, মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। সামাজিক জীবনযাপন, বাইরের সকলের সঙ্গে মেলামেশা, কথাবার্তা বলা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। এটি বিষণ্ণতার আশঙ্কাও কমায়, মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই