চুয়াডাঙ্গা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় ঝড়ে বৈদ্যুতিক খুটি পড়ে বসতঘর বিধ্বস্ত, বিদ্যুৎহীন ৪শ পরিবার

মোংলায় বৈদ্যুতিক পিলার/খুটি পড়ে এক মহিলা মেম্বরের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়ে পল্লী বিদ্যুৎতের এ পিলার ভেঙ্গে পড়ে। এতে একটি ঘর বিধ্বস্তের পাশাপাশি গত রাত থেকেই ওই এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।

 

 

বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর রায় জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এতে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪, ৫, ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর চন্দ্রিকা রায়ের (৩২) কাঠ-টিনের বসতঘরের উপর একটি পল্লী বিদ্যুৎতের পিলার/খুটি (ঢালাই পিলার) ভেঙ্গে পড়ে। তখন ঘরে থাকা চন্দ্রিকা ও তার স্বামী-সন্তান সজাগ থাকায় দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে যান। ফলে তাদের শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বিধ্বস্ত হয়েছে বসতঘরটি। ঘরটিতে বসবাস করার মত কোন অবস্থাই নেই।

 

 

এদিকে খুটি পড়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জনবল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পিলারটি সরানোর জন্য ঘটনাস্থলে আসেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রামপালের ভাগা কার্যালয়ের ডিজিএম নওশের আলী। তিনি বলেন, আমি ২৫জন লেবার ও প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসলেও ইউপি মেম্বর চন্দ্রিকাসহ স্থানীয়রা ঘরের ক্ষতিপূরণের দাবীতে কাজে বাঁধা দেন।

 

এরপর আলাপআলোচনা শেষে দুপুর ২টার দিকে পিলারটি সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু ঘরের ক্ষতিপূরণ না দিলে স্থানীয়রা নতুন করে পিলার বসাতে দিবেন না বলে বাঁধা সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে হয়েছে, আর এনিয়ে আমাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তারপরও কথা বার্তা চলছে যদি নতুন পিলার বসাতে না দেয়া হয় তাহলে আমরা চলে যাবো। তাতে এলাকার ৪শ পরিবার অন্ধকারে থাকবেন। তারপরও দেখছি কি করা যায়।

 

সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর চন্দ্রিকা রায় বলেন, পিলার পড়ে আমার পুরো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, ঘরের সকল মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ঘরের ক্ষতিপূরণ না দিলে আমি নতুন করে পিলার বসাতে দিবো না।

 

ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর রায় বলেন, ঝড়ে পিলারটি পড়ে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বরের বসতঘর বিধ্বস্তসহ গত রাত থেকেই বিদ্যুৎহীন রয়েছে দিগরাজ বাজার ব্যাংক রোড় হতে বুড়িরডাঙ্গার দীপক মেম্বরের বাড়ী পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটারের মধ্যে থাকা প্রায় ৪শ পরিবার।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

মোংলায় ঝড়ে বৈদ্যুতিক খুটি পড়ে বসতঘর বিধ্বস্ত, বিদ্যুৎহীন ৪শ পরিবার

আপডেটঃ ০৫:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

মোংলায় বৈদ্যুতিক পিলার/খুটি পড়ে এক মহিলা মেম্বরের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়ে পল্লী বিদ্যুৎতের এ পিলার ভেঙ্গে পড়ে। এতে একটি ঘর বিধ্বস্তের পাশাপাশি গত রাত থেকেই ওই এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।

 

 

বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর রায় জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এতে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪, ৫, ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর চন্দ্রিকা রায়ের (৩২) কাঠ-টিনের বসতঘরের উপর একটি পল্লী বিদ্যুৎতের পিলার/খুটি (ঢালাই পিলার) ভেঙ্গে পড়ে। তখন ঘরে থাকা চন্দ্রিকা ও তার স্বামী-সন্তান সজাগ থাকায় দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে যান। ফলে তাদের শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বিধ্বস্ত হয়েছে বসতঘরটি। ঘরটিতে বসবাস করার মত কোন অবস্থাই নেই।

 

 

এদিকে খুটি পড়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জনবল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পিলারটি সরানোর জন্য ঘটনাস্থলে আসেন বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রামপালের ভাগা কার্যালয়ের ডিজিএম নওশের আলী। তিনি বলেন, আমি ২৫জন লেবার ও প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসলেও ইউপি মেম্বর চন্দ্রিকাসহ স্থানীয়রা ঘরের ক্ষতিপূরণের দাবীতে কাজে বাঁধা দেন।

 

এরপর আলাপআলোচনা শেষে দুপুর ২টার দিকে পিলারটি সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু ঘরের ক্ষতিপূরণ না দিলে স্থানীয়রা নতুন করে পিলার বসাতে দিবেন না বলে বাঁধা সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে হয়েছে, আর এনিয়ে আমাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তারপরও কথা বার্তা চলছে যদি নতুন পিলার বসাতে না দেয়া হয় তাহলে আমরা চলে যাবো। তাতে এলাকার ৪শ পরিবার অন্ধকারে থাকবেন। তারপরও দেখছি কি করা যায়।

 

সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর চন্দ্রিকা রায় বলেন, পিলার পড়ে আমার পুরো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, ঘরের সকল মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ঘরের ক্ষতিপূরণ না দিলে আমি নতুন করে পিলার বসাতে দিবো না।

 

ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর রায় বলেন, ঝড়ে পিলারটি পড়ে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বরের বসতঘর বিধ্বস্তসহ গত রাত থেকেই বিদ্যুৎহীন রয়েছে দিগরাজ বাজার ব্যাংক রোড় হতে বুড়িরডাঙ্গার দীপক মেম্বরের বাড়ী পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটারের মধ্যে থাকা প্রায় ৪শ পরিবার।