দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের সওদাগরের ছেলে আজিজুল হক বাড়ি থেকে মান অভিমান করে দীর্ঘ ১৮ বছর শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার সেনরচর ইউনিয়নের বঙ্গবাজার গ্রামে কাজ করে ঐ খানেই থাকতেন। দীর্ঘ ১৮ বছরেও বাড়ির সাথে কোন প্রকার খোজ খবর রাখেনি।
বাবা শব্দটি কারও কাছে বটবৃক্ষ। কারও কাছে মাথার ওপর বিশাল একটা ছাদের ন্যায় কিংবা তপ্ত রোদে এক টুকরো মেঘ। কারও কাছে বাবা মানে ঈদ, বাবা মানে পৃথিবী—কত কিছুর সঙ্গেই না আমরা এর তুলনা করতে যাই। আসলেই কি বাবার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয়! স্বাভাবিকভাবেই না। এগুলো নিছক কিছু শব্দমাত্র। বাবার তুলনা বাবা নিজেই। এ এক সংজ্ঞাহীন শব্দ।
দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের সওদাগরের ছেলে আজিজুল হক বাড়ি থেকে মান অভিমান করে দীর্ঘ ১৮ বছর শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার সেনরচর ইউনিয়নের বঙ্গবাজার গ্রামে কাজ করে ঐ খানেই থাকতেন। দীর্ঘ ১৮ বছরেও বাড়ির সাথে কোন প্রকার খোজ খবর রাখেনি।
পরিবার সুত্রে জানাযায় আজিজুল হক(৬২) ২০০৫ সালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও পাননি। এক সময় তার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার ১৮ বছর পর তাকে ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে বাবাকে পেয়ে স্ত্রীসহ তিন পুত্র সন্তান কান্নায় ভেঙে পড়েন কিন্ত এ কান্না ছিল বড় আনন্দর
সদাবরী গ্রামের জিহাদ হোসেন , জাহিদুল ইসলাম, ও সাগরসহ সাত হতে আট জনের একটি দল কামলা খাটতে যায় ফরিদপুর ও শরীয়তপুরে হঠাৎ জনের হাটে আজিজুল হকের সাথে দেখা, জাহিদ চিনতে পেরে তাকে বাড়ি নিয়ে আসে গতকাল রোববার সন্ধ্যা,, সাড়ে ৭ টার দিকে নিজ গ্রাম সদাবরীতে পৌছালে এযেন এক আনন্দোর বন্যা বয়তে থাকে অন্য দিকে গ্রামের মানষ এক নজর তাকে দেখার জন্য বাড়ি লোকজন ভিড় জমাতে থাকে।