চুয়াডাঙ্গা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্য কেরালা স্টোরি প্রসঙ্গে কি বললেন তসলিমা নাসরিন?

আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে প্রায়ই ব্যক্তিজীবন এবং সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। এবার কথা বললেন বহুল আলোচিত-সমালোচিত সিনেমা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমা নিয়ে।

 

সোমবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে এ লেখিকা লেখেন, ‘দ্য কেরালা স্টোরি নামের একটি সিনেমা নিয়ে হৈ চৈ হচ্ছে ভারতবর্ষে। কিছু কিছু প্রেক্ষাগৃহ থেকে সিনেমাটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হৈ চৈ হলেই বইয়ের মুদ্রণ এবং বিক্রয় বন্ধ করে দিতে হবে, হৈ চৈ হলেই সিনেমা দেখানো বন্ধ করে দিতে হবে, হৈ চৈ হলেই চিত্র প্রদর্শনী বন্ধ করে দিতে হবে। কেন?’

 

তিনি লেখেন, ‘কোনো লেখককে নিয়ে হৈ চৈ হলেই তাকে দেশ থেকে, রাজ্য থেকে এমন কী দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিতে হবে, এমন বিশ্বাস পোষণ করে বহু মানুষ। কিন্তু কেন? কেন হৈ চৈ বা কন্ট্রোভার্সি বা বিতর্ককে সুশীল সমাজ সহ্য করতে পারে না? কেন মনে করে স্ট্যাটাস কুয়ো খুব ভালো জিনিস, কেন মনে করে বিতর্ক ব্যাপারটা স্বাস্থ্যকর নয়?

এ লেখিকা আরও যোগ করেন, ‘হৈ চৈটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে লোকজনের ম্যাচ্যুরিটি কতটা তার ওপর। ম্যাচ্যুরিটি কম হলেই ভাবা যায় নিজের মতের সঙ্গে না মিললে অন্যের মতবাদ ভুল এবং সেই মতবাদ প্রচারের যোগ্য নয়। যে মতের পক্ষে লোক বেশি, সেই মতকে সঠিক মত বলে ভাবার প্রবণতা তো আছেই।

 

fb

 

তিনি লেখন, ‘দ্য কেরালা স্টোরি যদি সত্য কাহিনির ওপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে, খুব ভালো। যদি না হয়ে থাকে, তাহলে না হোক। সিনেমাটি ঘৃণা ছড়াচ্ছে কি? আমি মনে করি শিল্প-সাহিত্য ঘৃণা ছড়ায় না, কোথাও আগুনও ধরায় না, যদি না মানুষের মনে আগে থেকেই ঘৃণা ঘাপটি মেরে বসে থাকে। শিল্পীর কারণে রায়ট ঘটে না, রায়ট ঘটে রাজনীতিকদের কারণে, তাদের বদ রাজনীতির কারণে। তাদের অদক্ষতা, অপরিপক্বতা, মূর্খতা আর মূঢ়তার কারণে।’

 

সবশেষ তসলিমা নাসরিন লেখেন, ‘ভাবছি ভাঙা পা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হলেও সিনেমাটা দেখতে যাব কাল। জন্ম থেকে মত প্রকাশের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছি, এইটুকু তো করতেই হবে। সিনেমা ভালো না লাগলে সোজা বলে দেব কী কী এর খারাপ। কিন্তু কখনো বলব না এই সিনেমাকে বয়কট করো, এই সিনেমাকে ব্যান করো বা সেন্সর করো। ওসব করে অসভ্য লোকেরা।’

Powered by WooCommerce

দ্য কেরালা স্টোরি প্রসঙ্গে কি বললেন তসলিমা নাসরিন?

আপডেটঃ ০৮:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩

আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে প্রায়ই ব্যক্তিজীবন এবং সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। এবার কথা বললেন বহুল আলোচিত-সমালোচিত সিনেমা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমা নিয়ে।

 

সোমবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে এ লেখিকা লেখেন, ‘দ্য কেরালা স্টোরি নামের একটি সিনেমা নিয়ে হৈ চৈ হচ্ছে ভারতবর্ষে। কিছু কিছু প্রেক্ষাগৃহ থেকে সিনেমাটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হৈ চৈ হলেই বইয়ের মুদ্রণ এবং বিক্রয় বন্ধ করে দিতে হবে, হৈ চৈ হলেই সিনেমা দেখানো বন্ধ করে দিতে হবে, হৈ চৈ হলেই চিত্র প্রদর্শনী বন্ধ করে দিতে হবে। কেন?’

 

তিনি লেখেন, ‘কোনো লেখককে নিয়ে হৈ চৈ হলেই তাকে দেশ থেকে, রাজ্য থেকে এমন কী দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিতে হবে, এমন বিশ্বাস পোষণ করে বহু মানুষ। কিন্তু কেন? কেন হৈ চৈ বা কন্ট্রোভার্সি বা বিতর্ককে সুশীল সমাজ সহ্য করতে পারে না? কেন মনে করে স্ট্যাটাস কুয়ো খুব ভালো জিনিস, কেন মনে করে বিতর্ক ব্যাপারটা স্বাস্থ্যকর নয়?

এ লেখিকা আরও যোগ করেন, ‘হৈ চৈটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে লোকজনের ম্যাচ্যুরিটি কতটা তার ওপর। ম্যাচ্যুরিটি কম হলেই ভাবা যায় নিজের মতের সঙ্গে না মিললে অন্যের মতবাদ ভুল এবং সেই মতবাদ প্রচারের যোগ্য নয়। যে মতের পক্ষে লোক বেশি, সেই মতকে সঠিক মত বলে ভাবার প্রবণতা তো আছেই।

 

fb

 

তিনি লেখন, ‘দ্য কেরালা স্টোরি যদি সত্য কাহিনির ওপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে, খুব ভালো। যদি না হয়ে থাকে, তাহলে না হোক। সিনেমাটি ঘৃণা ছড়াচ্ছে কি? আমি মনে করি শিল্প-সাহিত্য ঘৃণা ছড়ায় না, কোথাও আগুনও ধরায় না, যদি না মানুষের মনে আগে থেকেই ঘৃণা ঘাপটি মেরে বসে থাকে। শিল্পীর কারণে রায়ট ঘটে না, রায়ট ঘটে রাজনীতিকদের কারণে, তাদের বদ রাজনীতির কারণে। তাদের অদক্ষতা, অপরিপক্বতা, মূর্খতা আর মূঢ়তার কারণে।’

 

সবশেষ তসলিমা নাসরিন লেখেন, ‘ভাবছি ভাঙা পা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হলেও সিনেমাটা দেখতে যাব কাল। জন্ম থেকে মত প্রকাশের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছি, এইটুকু তো করতেই হবে। সিনেমা ভালো না লাগলে সোজা বলে দেব কী কী এর খারাপ। কিন্তু কখনো বলব না এই সিনেমাকে বয়কট করো, এই সিনেমাকে ব্যান করো বা সেন্সর করো। ওসব করে অসভ্য লোকেরা।’