অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন তেলেগু সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তেলেঙ্গানা হাই কোর্ট তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে জুবলি হিলসের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আল্লু অর্জুনকে। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় চিকড়পল্লী থানায়। এরপর নামপল্লী আদালতে তোলা হলে আল্লু অর্জুনকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর আল্লু অর্জুনের আইনজীবী হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। হাই কোর্ট জানান, অভিনেতা হলেও একজন নাগরিক হিসেবে আল্লু অর্জুনের অধিকার ও স্বাধীনতা রয়েছে।
গত ৪ ডিসেম্বর রাতে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা সিনেমা হলে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে আল্লু অর্জুন উপস্থিত থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে উপচে পড়েন তার ভক্তরা। শত শত দর্শক ভিড় করলে ভেঙে পড়ে সিনেমা হলের প্রধান ফটক।
এতে অনেক মানুষ পদদলিত হন; জ্ঞান হারান ৩৯ বছরের রেবতি ও তার কিশোর পুত্র। দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে রেবতিকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটি চিকিৎসাধীন থাকলেও তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় হায়দরাবাদের চিকড়পল্লী থানায় আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তারক্ষী এবং সন্ধ্যা সিনেমা হলের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ এবং ১১৮ (১) ধারায় মামলা করে রেবতির পরিবার।
রেবতির পরিবারের অভিযোগ, আল্লু অর্জুনের আগমনের কোনো আগাম খবর দেওয়া হয়নি। প্রেক্ষাগৃহের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
রেবতির মৃত্যুর পর আল্লু অর্জুন তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছিলেন। ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার নায়িকা রাশমিকা মান্দানাও রেবতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছিলেন। আল্লু অর্জুন রেবতির পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি আর্থিক সাহায্য প্রদানের ঘোষণাও দেন। কিন্তু রেবতির মৃত্যুর ৯ দিন দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হন আল্লু অর্জুন।